জীবনকে আটকে রেখে সিনেমা মুক্তির ঘোষণা দিলেন মোশাররফ
Published: 12th, March 2025 GMT
আসছে ঈদে মুক্তির মিছিলে রয়েছে প্রায় হাফ ডজন সিনেমা। নতুন করে যুক্ত হয়েছে মোশাররফ করিম অভিনীত ‘চক্কর ৩০২’, যা পরিচালনা করেছেন শরাফ আহমেদ জীবন। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা।
সম্প্রতি এক ভিডিওতে নাটকীয় এক প্রমোশনাল ভিডিওর মাধ্যমে ‘চক্কর ৩০২’ ঈদে মুক্তির ঘোষণা দেন মোশাররফ করিম ও নির্মাতা জীবন।
ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ঘরে জীবনকে মুখ আঁটকে রেখে দড়ি দিয়ে বেঁধে চেয়ারে বসিয়ে রাখা হয়। সেখানে মোশাররফ করিম অনেকটা বিরক্ত হয়ে জীবনকে বলেন, তুমি অনেক যন্ত্রণা দিয়েছো আমাকে। এজন্য আটকে রাখা হয়েছে। বারবার জীবন তার বাঁধন খুলে দিতে বললে কোনোভাবে মোশাররফ করিম রাজি হন না। একপর্যায়ে মুখে লাগানো টেপ খুলে দিয়ে মোশাররফ করিম বলেন, সিনেমা রিলিজ দেয়া তোমার দায়িত্ব, দিচ্ছো না কেন? আমি অভিনেতা। সব কাজ করে দিয়েছি। এখন তুমি টিজার, গান রিলিজ আরও যা আছে সেগুলো দিচ্ছো না কেন?
শেষে মোশাররফ করিম জীবনকে আবার মুখ আটকে বলে দেন, ঈদে চক্কর রিলিজ হবে, প্রমোশন হবে সবই কিন্তু জীবন তোমার রিলিজ নাই।
মুক্তির আগে অভিনেতা ও নির্মাতার এমন ব্যতিক্রমী প্রমোশনাল ভিডিওতে নজর কেড়েছে। পরিচালক শরাফ আহমেদ জীবনের ভাষ্য, চক্কর’র মানবিক স্পর্শ ও থ্রিলার গল্পের ছবি। মানুষ দেখা শুরু করলে গুড এক্সপেরিয়েন্স পাবে।
‘চক্কর ৩০২’ সিনেমায় ইন্সপেক্টর মইনুল চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। সরকারি অনুদানে ও কারখানা প্রোডাকশন্সের প্রযোজনায় এর শুটিং হয়েছে। সহ-প্রযোজনায় গামাফ্লিক্স।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ বনক
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।