দেশের স্বার্থে ভালো রাজনৈতিক দল খুঁজে বের করতে হবে
Published: 12th, March 2025 GMT
দেশে এযাবৎকালের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দল সরকারে গিয়ে জনগণের জন্য কাজ করেনি। ক্ষমতায় গিয়ে তারা লুটপাটের মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছে। তাই দেশ ও জনগণের স্বার্থে ভালো রাজনৈতিক দল খুঁজে বের করতে হবে।
আজ বুধবার আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির উদ্যোগে চলমান গণ–ইফতার কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক এ কে এম ওয়ারেসুল করিম এ কথাগুলো বলেন। রাজধানীর সায়হাম স্কাইভিউ টাওয়ারের নিচে (বিজয় ৭১ চত্বর) এই গণ–ইফতার অনুষ্ঠিত হয়।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলের ডিন ওয়ারেসুল করিম বলেন, ‘দেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সরকারে গিয়ে জনগণের জন্য কাজ করার পরিবর্তে লুটপাটের মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছিল। গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে কোন দল মানবিকভাবে কাজ করছে, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। এখন সময় এসেছে দুর্নীতি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার। অন্তর্বর্তী সরকারকে দুর্নীতি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করবে না, চাঁদাবাজি করবে না, টেন্ডার বাজি করবে না—এমন দলকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান তিনি। আগামীর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবি পার্টি সে রকমই একটি দল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে দলের সহসভাপতি অধ্যাপক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.
গণ–ইফতার অনুষ্ঠানে এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু হেলাল, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সহসম্পাদক বোরহান উদ্দিন রাব্বানী, লালমনিরহাটের আশরাফুল আলম মোল্লা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক রাফিউর রহমান বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, এ বি এম খালিদ হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান প্রমুখ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব