মানুষের টাকা নিয়ে সমবায় প্রতিষ্ঠান উধাও, কান্না থামছে না রোকেয়াদের
Published: 13th, March 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের চাঁনপুর বাজারে সড়কের পাশে বসে কান্না করছিলেন এক গৃহবধূ। বুধবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে ওই গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁর নাম রোকেয়া বেগম (৪০)। তিনি চাঁনপুর মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানে মুনাফার আশায় ৩০ লাখ টাকা জমা রেখেছিলেন। সেই কার্যালয়ে এখন তালা ঝুলছে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো.
রোকেয়া বেগম ভৈরব শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মহেশপুর গ্রামের আবু কালামের স্ত্রী। তাঁর স্বামী দিনমজুর। এক ছেলে থাকেন প্রবাসে। কাঁদতে কাঁদতে রোকেয়া বলেন, ‘দুই বছর আগে চার লাখ দিছিলাম। লাখে দুই হাজার পাইতাম। পরে দিলাম সাত লাখ। মানুষের কাছ থাইক্কা আইনা দিছি আরও কয়েক লাখ। সব মিলিয়ে ৩০ লাখ হইছিল। কয়েক মাস ধরে লাভ পাই না। কইছিল ঈদের আগে ৪৮ হাজার দিব। চিন্তা কইরা রাখছি এই টেহা দিয়া ঈদ করুম...।’ এই বলে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন রোকেয়া। তিনি বলেন, ‘কই করুম ঈদ। এহন দেহি হে (শাহ আলম) আমার পুঞ্জি (পুঁজি) লইয়া বাগছে। টেহা না পাইলে কইব্বরে (কবর) যাওয়া ছাড়া উপায় থাকব না। রাস্তার মধ্যে পইরা থাহুম।’
ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা জড়ো হয়ে চাঁনপুর মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহ আলমের খোঁজ করেন। মঙ্গলবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার চাঁনপুর বাজারেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. মামুন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. মামুন উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, পরিত্যক্ত ভবনে লাশটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের একাধিক ফোলা চিহ্ন রয়েছে। তবে তা কীসের আঘাত সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।