রাহুল দ্রাবিড়ের একটি ছবি গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করেছে রাজস্থান রয়্যালস। ভারতের এক ক্রিকেটপ্রেমীর সেই পোস্টে মন্তব্য, ‘এমনকি সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষাব্যবস্থারও রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন হয়। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, কিংবদন্তি।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রয়্যালসের পোস্ট অনুসরণ না করলে কিংবা দ্রাবিড়ের হালনাগাদ খবর অজানা থাকলে ভক্তটির শেষ কথায় খটকা লাগতে পারে। সুস্থ হয়ে ওঠা! দ্রাবিড় কি তবে অসুস্থ? হ্যাঁ, রয়্যালসের পোস্ট করা ছবিটি দেখলেই বোঝা যায়। শর্টস এবং টি-শার্ট পরে চেয়ারে বসে আছেন কিংবদন্তি। মুখেও হাসির ছটা। শুধু বাঁ পায়ে মেডিকেল ওয়াকিং বুট। অর্থাৎ বাঁ পায়ে চোট পেয়েছেন দ্রাবিড়।

আরও পড়ুনকত টাকা বেতন পান ভারতের কোচ গম্ভীর, সঙ্গে আর কী সুযোগ-সুবিধা৬ ঘণ্টা আগে

কীভাবে চোট পেয়েছেন—সে প্রশ্নের উত্তরে ওই কথাটি বলতে হয় সবার আগে, জাত ক্রিকেটাররা ‘ব্যাট-বল’ জমা দিলেও ‘অনুশীলন’ জমা দেন না। মানে, ক্রিকেট রক্তে ঢুকে গেলে বয়স যতই হোক না কেন, খেলাটা আসলে কেউ ছাড়তে পারে না। ৫২ বছর বয়সী দ্রাবিড় এক যুগ আগে পেশাদার ক্রিকেট ছাড়লেও খেলতে গিয়েছিলেন স্থানীয় এক লিগে। সেখানেই ব্যাটিংয়ের সময় চোট পান টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বল খেলার রেকর্ডধারী ‘দ্য ওয়াল’খ্যাত কিংবদন্তি।

দ্রাবিড়কে নিয়ে একটি ভিডিও আজ পোস্ট করা হয় রয়্যালসের এক্স হ্যান্ডলে। সেখানে দেখা যায়, পায়ের চোট নিয়েই ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটির আইপিএল প্রাক্‌-মৌসুম অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকা দ্রাবিড়। গলফ কার্টে চড়ে মাঠে ঢোকেন। নামেন ক্রাচে ভর করে। এরপর অবশ্য বেশ ভালোই যুক্ত হয়ে পড়েন অনুশীলনে। রয়্যালসের তরুণ খেলোয়াড় রিয়ান পরাগ, যশস্বী জয়সোয়ালদের সঙ্গে কথা বলেন। ভিডিওতে দেখা যায়, জয়সোয়াল তাঁর ‘শ্যাডো শট’ দেখিয়ে কোনো একটি বিষয়ে কথা বলছিলেন দ্রাবিড়ের সঙ্গে। সম্ভবত পরামর্শ নিচ্ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম শুদ্ধ ও সুন্দর ব্যাটসম্যানটির কাছ থেকে। পুরো অনুশীলন সেশনই বসে দেখেছেন দ্রাবিড়।

ভারতের হয়ে ১৬৩ টেস্টে ১৩২৬৫ রান (দ্বিতীয় সর্বোচ্চ) করা দ্রাবিড়ের চোট পাওয়ার ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে রয়্যালস লিখেছে, ‘বেঙ্গালুরুতে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছেন প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়। তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং আজ (কাল) জয়পুরে আমাদের অনুশীলনে যোগ দেবেন।’

আরও পড়ুনচলে গেলেন সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা ভারতীয় ক্রিকেটার সৈয়দ আবিদ আলী১ ঘণ্টা আগে

শ্রী নাসুর মেমোরিয়াল শিল্ডে গত সপ্তাহে গ্রুপ ওয়ান, ডিভিশন টু সেমিফাইনালে জয়ানগর ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে বিজয়া ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন দ্রাবিড়। ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, নিজের ১৬ বছর বয়সী ছেলে অন্বয়ের সঙ্গে ম্যাচটি খেলেন দ্রাবিড়। মাত্র দুটি বল খেলার পরই পায়ের মাংসপেশির চোটে পড়েন। কিন্তু এই চোট নিয়েই চতুর্থ উইকেটে ছেলের সঙ্গে জুটি গড়ার পথে ৬৬ বলে ৪৩ রান করেন দ্রাবিড়। তাঁর দল বিজয়া ক্রিকেট ক্লাব অবশ্য ম্যাচটি হেরেছে।

সর্বশেষ ১৩ বছরের মধ্যে দ্রাবিড় গত মাসে প্রথমবারের মতো ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নেন। সেটাও ছিল লিগ ম্যাচ, যেখানে দ্রাবিড়ের ব্যাট থেকে আসে ১০ রান এবং তাঁর ছেলে অন্বয় করে ৬০ বলে ৫৮।

২০২২ সালে ভারত জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে সরে দাঁড়ান দ্রাবিড়। এরপর রাজস্থান রয়্যালসের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প স ট কর

এছাড়াও পড়ুন:

পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা

পটুয়াখালীতে কুলসুম বেগম ও মোসা. সাহিদা বেগম নামের দুই নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত আল আমিন (২৭) সম্পর্কে নিহত সাহিদা বেগমের সৎছেলে এবং বৃদ্ধা কুলসুম বেগমের নাতি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত দুই নারীর স্বজন মো. আশ্রাফ খাঁ জানান, আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক চলাফেরা করছেন। এরপর তাঁর পরিবার তাঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে আল আমিনের বাবা রাজ্জাক খাঁ পাশের একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলে আল আমিন দা দিয়ে গলা কেটে তাঁর সৎমা সাহিদা বেগম ও বৃদ্ধ দাদি কুলসুম বেগমকে হত্যা করেন।

বাহাদুর আলম খাঁ (৫০) নামের এক আত্মীয় বলেন, নিহত সাহিদা সম্পর্কে তাঁর চাচিশাশুড়ি এবং কুলসুম বেগম দাদিশাশুড়ি। দুপুরে বাড়ির সবাই জুমার নামাজ পড়তে গেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ছেলে আল আমিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা দিয়ে প্রথমে সৎমা এবং পরে দাদিকে গলা কেটে হত্যা করেন। তিনি বলেন, আল আমিন মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তিন বছর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দেখালেও সুস্থ হননি।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই নারীকে হত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ড ঘটানো ব্যক্তি ওই পরিবারের সদস্য। ঘটনার পর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত তরুণ এখন পলাতক। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, তদন্ত করে দেখা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অ্যান্টার্কটিকায় বিরল স্কুইডের সন্ধান
  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
  • কমিটি নেই, সবাই নেতা
  • কোরবানির গরু কেনার আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিতে ব্যবসায়ী জাকিরকে হত্যা করা হয়
  • শ্রীলঙ্কা পৌঁছেছেন মিরাজ-শান্তরা
  • পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা