রু বে ল হা বি ব
ঘোড়ার ডিমে তা
শহর থেকে গুচ্ছ গ্রামে
আনলো ঘোড়া উচ্চ দামে
আনলো কিনে কে?
সেই সে গ্রামের গরিব প্রজা
চেনেই শুধু রাস্তা সোজা
তারাই এনেছে!
কেন এনেছে? কেন এনেছে?
কান পেতে তা বোন শুনেছে-
ঘোড়ার ডিমে তা দিয়ে রোজ
বাড়বে ঘোড়া যে।
বোন শুনে যে হাসতে থাকে
হাসতে হাসতে বলতে থাকে
সহজ সরল মানুষগুলো
খাচ্ছে ধোকা যে!
স র দা র আ বু ল হা সা ন
ভূতের বাড়ি অচিনপুরে
ভূতের ছড়া লিখবো বলে কাগজ কলম হাতে
আপন মনে ভাবছি বসে একলা গভীর রাতে।
হঠাৎ আমার পড়লো মনে ভূত থাকে বটগাছে
রাতদুপুরে তবলা বাজায় ধিনতা তাধিন নাচে।
নাঁকি সুরে গান ধরে আর হো-হো-হা-হা হাসে
সুর-লেহরি অট্টহাসি বাতাসেতে ভাসে।
মজা করে খায় ভূতেরা ইলিশ মাছের ঝোল
পাউরুটি-দই কেক-চানাচুর মিষ্টি ক্রিমরোল
আমড়া খেতে ভালোবাসে গাছের পাকা কুল
আপেল কলা মাল্টা লেবু টসটসে তেঁতুল।
আর কী খেতে ভালোবাসে বলতে আমায় মানা
বললে পরে খামচি মেরে করবে দুচোখ কানা।
দুষ্টু ভীষণ পাজির পাজি ন্যাংড়া ভূতের ছানা
ভরদুপুরে দেখলে মানুষ সেথায় দেবে হানা।
লেখাপড়ায় নেই মনোযোগ দুষ্টুমিতে সেরা
ভূতের বাড়ি অচিনপুরে চোরকাঁটাতে ঘেরা!
শা হ রি য়া র শা হা দা ত
প্যাকেট ভরা বাতাস
চিপস্ চকোবিন কোম্পানিরা
এই অভিযোগ নিন
আমরা যারা শিশু-কিশোর
কি চাই প্রতিদিন?
আমরা ছোটো তাই বলে কী
দিচ্ছে না কেউ সায়
মজার টিফিন একটু বেশি
কে খেতে না চায়?
প্যাকেট খুলেই অবাক লাগে
চিপস্ থাকে খুব কম
মনভোলানো ক্রিসপি স্বাদে
খাচ্ছি তা হরদম!
প্যাকেট মুড়ে নাইট্রোজেন গ্যাস
চিপস্ রাখে মচমচ
তাই বলে চিপস্ খাওয়া মানে
এক্কেবারেই লস্?
খুব চাওয়া নয়, একটু শুনুন
এই যে হ্যালো-হাই,
প্যাকেট ভরা বাতাস ছাড়া
চিপস্ চকোবিন চাই!
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে সেই দেশ শাসন করবে: নুরুল হক
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতনের পর আমরা গণঅভ্যুত্থানের অংশিদার অনেক রাজনৈতিক দলের মধ্যে ফ্যাসিবাদের বৈশিষ্ট লক্ষ্য করছি। আমরা চাঁদাবাজি, দখলবাজি, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। কিন্তু নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে কোথাও চাঁদাবাজি, দখলবাজি রাজনৈতিক দুবৃত্তায়ন বন্ধ হয়নি। যারা ভাবছেন ভোট কেন্দ্র দখল করে, ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভরবেন- তাদের সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নই থেকে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আগামীতে জনগণ যাকে ভোট দিয়ে নেতা বানাবে, জনপ্রতিনিধি বানাবে, জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে সেই দেশ শাসন করবে। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে জনগণকে সচেতন করা। পরিবর্তনের যে ডাক গণঅধিকার পরিষদ দিয়েছে সেই বার্তা জনগনের কাছে পৌঁছে দেওয়া।’
শুক্রবার বিকেলে বিসিক এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুব অধিকার পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘যে যত বড়, তার দাায়িত্ব তত বেশি। যে বড় জায়গায় আছে, তার তত বেশি কাজ করার সুযোগ আছে।’ তিনি বড় রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘পাঁচ আগস্টের পর ফ্যাসিবাদি হাসিনার পতনের পর আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও জনগনের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের সকলকে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখতে হবে। কিন্তু কোনো দল যদি মনে করে আমরা একাই একশ, আমরা একাই সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করব, আমারই সব হতাকর্তা- তাদেরকে বলব আওয়ামী লীগের পতন থেকে শিক্ষা নেন। এই দেশের মানুষ কাউকে পরোয়া করে না। বিগত ১৬ বছরের হাসিনার দানবীয় শাসন হটাতে এই দেশের ছাত্র-জনতা, শ্রমিক, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ রাজপথে বুক পেতে দিয়েছে। আগামীতে নতুন করে তারা এই দেশে কোনো ফ্যাসিবাদ তৈরি হতে দেবে না।’
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুব আধিকার পরিষদের সভাপতি শেখ সাব্বির হোসেন রাজের সভাপতিত্বে সমাবেশ বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ও মুখপত্র ফারুক হাসান, কেন্দ্রীয় নেতা ওয়াহিদুর রহমান মিল্কি, আবুল খায়ের শান্ত, জেলা গণআধিকার পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ, সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিয়ান শিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিন আহমেদ জয়সহ অনেকে।