মাদক মামলায় চার বছরের সাজা নিয়ে পলাতক ছিলেন এক যুবক। এই অবস্থায় আবারও মাদকসহ আটক হয়েছেন তিনি। এবার তাঁর কাছ থেকে ১ হাজার ৩৫টি ইয়াবা ও তিনটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে।

আটক ব্যক্তির নাম মো. নাজমুল ইসলাম ওরফে বাবু (৩৫)। তিনি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার পাশুন্ডিয়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে। আজ শনিবার ভোরে পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভা বাজার থেকে তাঁকে আটক করে র‍্যাব। দুপুরে র‍্যাব–৫–এর অধিনায়কের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

র‍্যাব জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাহিনীটির একটি দল জানতে পারে রাজশাহীর কাটাখালী বাজারে এক ব্যক্তি মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছেন। পরে র‍্যাবের গোয়েন্দা দল ওই ব্যক্তির গতিবিধি পর্যবেক্ষণে অভিযান পরিচালনায় নাজমুলকে আটক করে। পরে তাঁর শরীর তল্লাশি করে ইয়াবা পাওয়া যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব আরও জানিয়েছে, নাজমুল রাজশাহীর চারঘাটের মাদক সম্রাট নামেও পরিচিত। এর আগে তিনি একবার র‍্যাবের কাছে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সেই মামলায় জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন। ওই মামলাসহ তাঁর নামে আরও ১৩টি বিভিন্ন ধরনের মাদকের মামলা আছে। একাধিক ওয়ারেন্টে তাঁর চার বছরের সাজার রায় হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক টেকনাফ ও অন্যান্য স্থান থেকে সংগ্রহের পর রাজশাহী নগর ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের কাছে বিক্রি করে আসছেন।

ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় কাটাখালী থানায় র‍্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এ মামলায় নাজমুল ইসলামকে কাটাখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিতর্কিত তিন নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (১৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে আলোচনা শেষে এ নির্দেশ দেন তিনি। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টা অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন: ফখরুল

ইউনূস-তারেক বৈঠক
রমজান শুরুর আগের সপ্তাহেও নির্বাচন হতে পারে: যৌথ বিবৃতি

বৈঠকে কমিশন সদস্যগণ জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। 

কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, ‍“বেশকিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। খুব শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করে ফেলা সম্ভব হবে।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।”

বৈঠকে লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, “লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তারা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তারা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে, মতামত দিয়েছে। যেখানেই গেছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?’ আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।”

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “সব রাজনৈতিক একমত হয়েছে যে, অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।”

ঢাকা/হাসান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ