মাদক মামলায় ৪ বছরের সাজা মাথায় নিয়ে ইয়াবাসহ আটক
Published: 15th, March 2025 GMT
মাদক মামলায় চার বছরের সাজা নিয়ে পলাতক ছিলেন এক যুবক। এই অবস্থায় আবারও মাদকসহ আটক হয়েছেন তিনি। এবার তাঁর কাছ থেকে ১ হাজার ৩৫টি ইয়াবা ও তিনটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তির নাম মো. নাজমুল ইসলাম ওরফে বাবু (৩৫)। তিনি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার পাশুন্ডিয়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে। আজ শনিবার ভোরে পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভা বাজার থেকে তাঁকে আটক করে র্যাব। দুপুরে র্যাব–৫–এর অধিনায়কের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাহিনীটির একটি দল জানতে পারে রাজশাহীর কাটাখালী বাজারে এক ব্যক্তি মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছেন। পরে র্যাবের গোয়েন্দা দল ওই ব্যক্তির গতিবিধি পর্যবেক্ষণে অভিযান পরিচালনায় নাজমুলকে আটক করে। পরে তাঁর শরীর তল্লাশি করে ইয়াবা পাওয়া যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরও জানিয়েছে, নাজমুল রাজশাহীর চারঘাটের মাদক সম্রাট নামেও পরিচিত। এর আগে তিনি একবার র্যাবের কাছে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সেই মামলায় জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন। ওই মামলাসহ তাঁর নামে আরও ১৩টি বিভিন্ন ধরনের মাদকের মামলা আছে। একাধিক ওয়ারেন্টে তাঁর চার বছরের সাজার রায় হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক টেকনাফ ও অন্যান্য স্থান থেকে সংগ্রহের পর রাজশাহী নগর ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের কাছে বিক্রি করে আসছেন।
ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় কাটাখালী থানায় র্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এ মামলায় নাজমুল ইসলামকে কাটাখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫