এবার সিলেটে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদীর ও আরিফুল হক চৌধুরী–সমর্থিত নেতা-কর্মীদের এক কাতারে দেখা গেছে। আজ শনিবার নগরের আরামবাগ এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে এই দোয়া ও ইফতার মাহফিল হয়।

এর আগে ৯ মার্চ একই কনভেনশন সেন্টারে ইফতারের আয়োজন করেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয়-স্থানীয় নেতা-কর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার কয়েক হাজার মানুষ অংশ নিলেও খন্দকার আবদুল মুক্তাদীর ও স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দেখা যায়নি।

স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, সিলেটে বিএনপির রাজনীতি এখন দুটি বলয়ে বিভক্ত। একটির নেতৃত্বে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে দলীয় প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদীর। অন্যটির নেতৃত্বে আছেন আরিফুল হক চৌধুরী।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী আজ দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। এতে মুক্তাদীর ও আরিফুল বলয়ের প্রায় সব প্রভাবশালী নেতা-কর্মীই উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনসিলেটে আরিফুলের ইফতারে ছিলেন না মুক্তাদীরসহ স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ নেতারা১০ মার্চ ২০২৫

ইফতার মাহফিল-পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্ব সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ আহমদ খসরু। কর্মসূচিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, খন্দকার আবদুল মুক্তাদীর ও আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক এম এ সালাম, ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সহসম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ সুজাত মিয়া, ফয়সল আহমদ চৌধুরী ও হাদিয়া চৌধুরী মুন্নি, জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামের পর ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে। মানুষ দীর্ঘদিন থেকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। দেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য প্রতীক্ষায় রয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে অতীব জরুরি সংস্কার শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জোর দাবি জানান বক্তারা।

ইফতার মাহফিলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এম সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, সহ–উপাচার্য সাজেদুল করিম, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য আশরাফুল আলম, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সচিব চৌধুরী মামুন আকবর, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ সিলেটের আহ্বায়ক শামীমুর রহমান ও সদস্যসচিব শাহনেওয়াজ আহমদ, বাংলাদেশ বেতার সিলেটের আঞ্চলিক পরিচালক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তারিকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইফতার শেষে যোগাযোগ করলে মিফতাহ্ সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপিতে কোনো কোন্দল-বিভাজন নেই। যে বা যাঁরা বলয়ের কথা বলছেন, সেটা সঠিক নয়। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির সবাই ঐক্যবদ্ধ। আজকের ইফতার মাহফিলে সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি আমাদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানকেই প্রমাণ করেছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন য় ব এনপ র ব এনপ র স উপস থ ত

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, নিহত ১

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে বাসের ধাক্কায় জকির আহমদ জেকি (৪০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার হ্নীলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জকির আহমদ জেকি হোয়াইক্যং হোয়াব্রাং এলাকার মৃত নাগু সওদাগরের ছেলে।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জায়েদ নুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

তিনি জানান, ‘পালকি পরিবহন’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস হ্নীলা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সামনে চলে আসে। এতে মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে চাপা পড়ে। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের লবণ মাঠে উল্টে যায়। সেসময় স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হ্নীলা ও টেকনাফের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জকির আহমদ জেকি মারা যান। 

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হোয়াইক্যং নয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায় এবং সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

সালাহউদ্দিন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “মোটরসাইকেলটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। হ্নীলা স্টেশন থেকে হোয়াব্রাংয়ের দিকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সামনে ঢুকে পড়ে, মুহূর্তেই বাসটি উল্টে যায়।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, হ্নীলা-টেকনাফ সড়কে বেপরোয়া গতিতে যান চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। এ জায়গায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

ঢাকা/তারেকুর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজধানীর দক্ষিণখানে নিজ বাসা থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
  • নির্বাচনের আগে একটি দল জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • টেকনাফে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, নিহত ১