Samakal:
2025-07-31@18:54:34 GMT

হ্যাক বুঝবেন কীভাবে!

Published: 16th, March 2025 GMT

হ্যাক বুঝবেন কীভাবে!

নিজের শরীর নিয়ে মাথাব্যথা কম থাকলেও স্মার্টফোনের পরিচালন বিপত্তির পেছনে কারণ খতিয়ে দেখতে অনেকে আগ্রহী। আবার ছোটখাটো হ্যাকের ঘটনাও ঘটে নিত্যনৈমিত্তিক। সুরক্ষার প্রশ্নে স্বাভাবিক কিছু ঘটনা সামনে আসে। কিন্তু বিশেষ নজর না দেওয়ার কারণেই ঘটে বিপত্তি। চিহ্নিত কয়েকটি কারণ নিয়ে লিখেছেন সাব্বিন হাসান

ঘুম ছাড়া স্মার্টফোন জীবনের নিত্যসঙ্গী। বিষয়টি গবেষণায় প্রমাণিত। নিজেরা যদি প্রশ্ন করি, তাহলে সদুত্তরে এমন তথ্য অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ডিজিটাল ডিভাইস বিশেষজ্ঞরা স্মার্ট গ্যাজেটস হ্যাক হওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন। যার মধ্যে অতিরিক্ত তাপ, বাড়তি কলচার্জ, অদ্ভুত ফোনকল, অনিয়ন্ত্রিত অ্যাডওয়্যার, বহুরূপী অ্যাপ ও ম্যালওয়্যার হগিং রিসোর্স অন্যতম কারণ হিসেবে দৃশ্যমান হয়েছে।
ধারাবাহিক কয়েকটি লক্ষণ দেখলে নিজের ব্যবহৃত স্মার্ট ডিভাইস হ্যাক হয়েছে কিনা, তার ঠিকঠাক ধারণা পাওয়া সম্ভব।
ব্যবহৃত স্মার্টফোন হুট করে বহুমুখী অদ্ভুত সব আচরণ দৃশ্যমান করবে– ঘটনা এমন হলে শঙ্কা হতেই পারে যে ডিভাইসটি হ্যাক হয়ে গেছে, আর তা হ্যাকারের নিয়ন্ত্রণে। সাধারণত বেশ কয়েকটি লক্ষণ দেখলে মোবাইল হ্যাক হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া সম্ভব। ঠিক যেসব কারণে ডিভাইস হ্যাক হওয়ার প্রচেষ্টা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়, সেসব কারণ শনাক্ত করলেই হ্যাক থেকে অনেকাংশে সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব।
অতিরিক্ত তাপ
প্রথমত, ডিভাইসটি হ্যাক হলে তাতে ব্যাটারি খরচ তুলনামূলক ও অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়া দৃশ্যমান হয়। কারণ, হ্যাক হলে ডিভাইসের ব্যাকগ্রাউন্ডে ক্ষতিকারক সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ডিভাইস টানা ব্যবহার করলে স্মার্টফোন গরম হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে ফোন গরম হওয়ার পেছনের কারণ ভিন্ন হতে পারে। বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করলে ডিভাইসে স্পাইওয়্যার বা ম্যালওয়্যার উপস্থিতির প্রমাণ মিললে বিশেষ সতর্ক হতে হবে।
বাড়তি কলচার্জ
ডিভাইস হ্যাক হলে সেখানে হুট করেই ডেটা খরচ বহুলাংশে বেড়ে যায়। ফলে বুঝতে হবে, আক্রান্ত ডিভাইস থেকে নিজের অজান্তে তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য প্রেরণে সক্রিয়। প্রিমিয়াম পরিষেবা বা আন্তর্জাতিক কলের জন্য চার্জ অনেকাংশে ও আগের তুলনায় নির্দেশনা ছাড়াই বাড়তি চার্জ কেটে নেওয়া।
অনিয়ন্ত্রিত অ্যাডওয়্যার
আবার ফোন হ্যাক হলে পপ আপ বা বিজ্ঞাপনের দৃশ্যমান মাত্রা আচমকা বহুলাংশে বেড়ে যায়। এমনকি কোনো ব্রাউজার ব্যবহার না করলেও ঘটনা এমন হতে পারে। অনেকে একে ‘অ্যাডওয়্যার’ সংক্রমণের লক্ষণ বলে চিহ্নিত করেছেন।
বহুরূপী অ্যাপ
ঘটনা এমনও হতে পারে, নিজের ডিভাইসে অচেনা অ্যাপ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ডাউনলোড হয়ে যেতে থাকে। যদি দৃশ্যমান পরিস্থিতি এমন হয়, তাহলে সেটা ফোন হ্যাক হওয়ার অন্যতম কারণ।
হগিং রিসোর্স
কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে ফোন আচমকা ধীরগতি (স্লো) হয়ে পড়েছে। এমনটা অনুভূত হলে বুঝতে হবে, ডিভাইসে ম্যালওয়্যার হগিং রিসোর্সের আক্রমণ হয়ে থাকতে পারে। সর্বশেষ যা ঘটলে হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা প্রায় নিশ্চিত বলে ধরে নেওয়া যায়।
অদ্ভুত ফোনকল
অন্যদিকে, কোনো ফোন হ্যাক হয়ে গেলে বিশেষ বা অপ্রয়োজনীয় কোনো কোনো অ্যাপ নিজে থেকেই স্বয়ংক্রিয় রূপ ধারণ করে বা অন্যের কাছে নিজ থেকেই মেসেজ বা ফোনকল করে বসে। যদি পরিচিতজনের কাছ থেকে এমন অভিযোগ সামনে আসে, তাহলে বুঝতে হবে ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে হ্যাকার চক্র। তখন ঘটতে পারে যে কোনো ধরনের ক্ষতি। ঘটনাটা অনুমান করা সহজ নয়। তবে বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই এমনটা ঘটেছে, তা নিশ্চিত হয়ে যাবেন। উল্লিখিত সব কারণ থেকে ডিভাইসকে সুরক্ষা দিলে হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ য ক হওয় র হ য ক হল হ য ক হয় ব যবহ

এছাড়াও পড়ুন:

কৌশলগত নেতৃত্ব বিকাশে জোর সেনাপ্রধানের

কৌশলগত নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে জাতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেছেন, এই নেতৃত্বই দেশকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে তিন সপ্তাহব্যাপী স্ট্র্যাটেজিক লিডারশিপ প্রশিক্ষণ ক্যাপস্টোন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সেনাপ্রধান ক্যাপস্টোন ফেলোদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।

এই কোর্সে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সিনিয়র চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, কূটনীতিক, সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ সর্বমোট ৪৫ জন ফেলো অংশগ্রহণ করেন।

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতি গঠনের সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশলগত নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি দেশের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য গতিশীল ও সংস্কারমুখী নেতৃত্বের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।

দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোকপাত করে সেনাপ্রধান বলেন, বিদ্যমান পরিবর্তনশীল ভূরাজনীতি, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও নতুন জাতীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্যাপস্টোন কোর্স কৌশলগত অন্তর্দৃষ্টি, সহযোগিতা ও জ্ঞানভিত্তিক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এনডিসি কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক বলেন, ‘ক্যাপস্টোন কোর্স জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বস্তুনিষ্ঠ সংলাপ ও একীভূত চিন্তাধারার বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। এতে অংশগ্রহণকারীদের সক্রিয়, চিন্তাশীল ও সশ্রদ্ধ অংশগ্রহণ তাদের কৌশলগত ও মননশীল চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটিয়েছে এবং বিভিন্ন সংস্থার নেতৃবৃন্দের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ের মেলবন্ধন তৈরি করতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।’

ন‍্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্যাপস্টোন কোর্স ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ পরিচালিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কোর্স। এই কোর্সের লক্ষ্য কৌশলগত সচেতনতা বৃদ্ধি, সূক্ষ্ম চিন্তাভাবনার বিকাশ, আন্তসংস্থার সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থার নেতৃত্ব পর্যায়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও উন্নয়নবিষয়ক সমন্বিত ধারণা গড়ে তোলা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, এনডিসির ফ্যাকাল্টি ও স্টাফ অফিসার এবং জাতীয় পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ