আমেরিকায় মিশাকে স্বাগত জানালেন জায়েদ খান
Published: 17th, March 2025 GMT
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেতা মিশা সওদাগর। শুটিংয়ের কারণে বেশির ভাগ সময় দেশেই কাটে তার। তবে সময় পেলেই আমেরিকায় ছুটে যান। ২০১৮ সালের পর থেকে মার্কিন মুলুকে বসবাস করছেন তার স্ত্রী-সন্তানেরা। ছেলেরাও সেখানে পড়াশোনা করেন। তাদের দেখাশোনার জন্য মিশাকে প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্র যেতে হয়।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছেন মিশা সওদাগর। এ যাত্রায় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “স্বাগতম মিশা ভাই। আজ অনেকদিন পর আবার দেখা হলো। আল্লাহ আপনাকে সুস্থ রাখুন, ভালো রাখুন।”
ঢাকাই সিনেমার দুই প্রজন্মের দুই অভিনেতা মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান। তবে দুজনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক দারুণ। মিশা সওদাগরকে বড় ভাইয়ের মতোই সম্মান করেন জায়েদ খান। একসঙ্গে শিল্পী সমিতির রাজনীতিও করেছেন তারা। দুই মেয়াদে মিশা সভাপতি ও জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
মিশা সওদাগর এখন সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। শেষ করেছেন ‘বরবাদ’ সিনেমার শুটিং। খুব শিগগির ‘তছনছ’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমার কাজ শুরু করবেন এই খলনায়ক।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান
করিডর দেওয়া না–দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের কাছ থেকে আসতে হবে বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মহান মে দিবসে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে ‘করিডর’ নিয়ে কথা বলেন তারেক রহমান। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের রাখাইনে সহায়তা পাঠানোর জন্য ‘মানবিক করিডর’ স্থাপন নিয়ে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণ মনে করে, করিডর দেওয়া না–দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের কাছ থেকে। সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশে দেশে এটাই নিয়ম, এটাই রীতি।’
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এই সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে লিপ্ত মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশকে করিডর হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার নাকি নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিন্তু জনগণকে জানায়নি। এমনকি জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও কোনো আলোচনা করার প্রয়োজন বোধ করেনি।
দেশের জনগণকে না জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি না কিংবা নেওয়া উচিত কি না, এই মুহূর্তে সেই বিতর্ক তুলতে চান না উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপির বক্তব্য স্পষ্ট—বিদেশিদের স্বার্থ নয়, অন্তর্বর্তী সরকারকে সবার আগে দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে।
ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানের পর এ বছর রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে সহনীয় থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানান তারেক রহমান। তবে তিনি বলেন, রমজান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার চাল ও তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চাল–তেলের দাম বেড়েছে কিন্তু মানুষের আয় বাড়েনি। তাহলে জনগণ এখন তাদের এমন ভোগান্তির কথা কার কাছে, কোথায় কীভাবে বলবে?
নয়াপল্টনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে সমাবেশে নেতা-কর্মীদের একাংশ। ঢাকা, ১ মে