জুলাই অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের সহায়তা দিল সাদা দল
Published: 17th, March 2025 GMT
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। এ সময় গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ দুই ব্যক্তির পরিবারকেও সহায়তা দেওয়া হয়।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে এক ইফতার মাহফিলে এ সহায়তা দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের নয়জন আহত শিক্ষার্থী এ সহায়তা পেয়েছেন।
আর্থিক সহায়তা পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সুমন মিয়া, দর্শন বিভাগের স্বপন মিয়া, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সাব্বির আহমেদ ও মুবাশিরুজ্জান হাসান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মো.
এ সময় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের ঋণ আমরা কখনো শোধ করতে পারব না। তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বৈরাচার থেকে মুক্ত হয়েছি। আমরা তাদের পাশে ছিলাম, সব সময় পাশে থাকব।’
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুস সালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আবুল কালাম সরকার, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, প্রক্টর মো. সাইফুদ্দিন, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, থানায় অভিযোগ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় কয়েক বখাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তার স্বজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর নানা আজগর আলীকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবে পরিচিত আল-আমিন নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আজগর আলী রায়দক্ষিণ গ্রামে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। অভিযুক্ত আল-আমিন একই গ্রামের মৃত কালু প্রামাণিকের ছেলে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, যে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত বখাটেরা, তার মা পাঁচ বছর আগে মারা যান। মেয়েটি নানা আজগর আলীর বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ত। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে শিশুটিকে প্রায় উত্ত্যক্ত এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত আল-আমিন। এ নিয়ে আজগর আলীসহ মেয়েটির স্বজন বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। গত সোমবার মেয়েটির নানা আজগর আলী সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার অভিযোগটি তদন্ত করার পর তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আল-আমিন চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে সহযোগীদের নিয়ে আজগর আলীর চায়ের দোকানে যায়। তারা বৃদ্ধ আজগর আলীকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাটিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা চলে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আজগর আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আজগর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজগর আলীর শ্যালক নজরুল ইসলাম জানান, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িত বখাটে আল-আমিন।
সিংগাইর থানার ওসি তৌফিক আজম বলেন, নিহতের বড় ছেলে আইয়ুব খান বুধবার আল-আমিনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আল-আমিন ও তার সহযোগীরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।