Samakal:
2025-05-01@05:36:55 GMT

ছিটকে গিয়েও দলের পাশে মেসি

Published: 19th, March 2025 GMT

ছিটকে গিয়েও দলের পাশে মেসি

নেইমার ছিটকে গেছেন আরও আগে। এবার লিওনেল মেসিকেও একই ভাগ্য বরণ করতে হলো। চোটের কারণে তিনিও আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি ঘোষিত দলে জায়গা পাননি। ফলে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা লড়াইয়ে দেখা যাবে না দুই সেরা তারকাকেই।
বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা মার্চের বাছাই পর্বের দুটি ম্যাচ খেলবে মেসিকে ছাড়া। বাংলাদেশ সময় ২২ মার্চ ভোর সাড়ে ৫টায় মন্টিভিডিওতে উরুগুয়ের এবং ২৬ মার্চ সকাল ৬টায় বুয়েন্স আইয়ার্সে ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে তারা। ৩৩ জনের প্রাথমিক দলে থাকলেও সোমবার ঘোষিত ২৬ জনের দলে রাখা হয়নি মেসিকে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মেজর সকার লিগে আটালান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির ২-১ গোলে জেতা ম্যাচে বাঁ ঊরুতে ব্যথা পান মেসি। এমআরআই স্ক্যানে ধরা পড়ে তাঁর পায়ের পেশিতে ‘লো-গ্রেড ইনজুরি’ রয়েছে। সুস্থ হয়ে উঠতে আপাতত যুক্তরাষ্ট্রেই থাকবেন তিনি।

জাতীয় দলের সঙ্গে গত দুই দশকের পথচলায় বিশ্বকাপ, দু’বার কোপা আমেরিকাসহ অনেক শিরোপা জিতেছেন মেসি। তার পরও এ দুটি ম্যাচ খেলতে পারছেন না বলে বেশ হতাশ ইতিহাসের অন্যতম সেরা এ ফুটবলার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই হতাশার কথা তুলে ধরে সমর্থক হিসেবে দলের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি, ‘জাতীয় দলের হয়ে উরুগুয়ে ও ব্রাজিলের বিপক্ষে দুটি খুবই স্পেশাল ম্যাচে খেলতে না পারা দুঃখজনক। বরাবরের মতো আমি সেখানে থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ছোট একটি চোট আমাকে আবার খেলা থেকে বিরতি নিতে বাধ্য করেছে। দল থেকে আমাকে ছিটকে দিয়েছে। আমি এখান থেকেই দলকে উৎসাহ দেব এবং অন্য আরেকজন ভক্তের মতো দলকে সমর্থন করব ও গলা ফাটাব। এগিয়ে চলো আর্জেন্টিনা.

..!’ মেসির পাশাপাশি আগামী দুই ম্যাচে পাওলো দিবালা, গঞ্জালো মন্তিয়েল ও জিওভান্নি লে সেলেসোকে পাচ্ছে না আর্জেন্টিনা। উঠতি তারকা ক্লদিও এচেভেরিও নেই। তাই আক্রমণভাগ নিয়ে কিছুটা চিন্তায় আছেন আর্জেন্টিনা বস স্কালোনি। অবশ্য ৫ পয়েন্টের ব্যবধানে শীর্ষে আছে বলে বাছাই পর্ব উতরানোর ব্যাপারে খুব একটা শঙ্কায় নেই তারা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ