ভারত ম্যাচের জন্য ২৪ জনের বাংলাদেশ দল, কে কে আছেন
Published: 20th, March 2025 GMT
ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ সামনে রেখে ২৪ জনের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। আজ সকালে ঘোষিত দলে অবধারিতভাবে আছেন এই মুহূর্তে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন হামজা চৌধুরী।
সম্প্রতি সৌদি আরবে ১২ দিনের ক্যাম্প করে আসা ২৯ জনের দল থেকে বাদ পড়েছেন তিন ফরোয়ার্ড ফাহামিদুল ইসলাম, পিয়াস আহমেদ নোভা ও আরিফ হোসেন এবং ডিফেন্ডার তাজ উদ্দিন। ইতালিপ্রবাসী ফাহামিদুলের বাদ পড়ার বিষয়টি আগেই জানাজানি হয়েছিল। এ নিয়ে এখনো অনেক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
দলে গোলকিপার তিনজন, রক্ষণভাগে সাতজন, আক্রমণভাগে খেলবেন পাঁচজন। মাঝমাঠের খেলোয়াড়দের আধিক্য বেশি—নয়জন। হামজার সঙ্গে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, শেখ মোরছালিনের মতো উঠতি তারকা, কানাডায় দীর্ঘ দিন কাটিয়ে আসা সৈয়দ শাহ কাজেম কিরমানি আছেন এই তালিকায়। শাহ কাজেমের আরেক পরিচয় বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার হালিম শাহর ছেলে।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য ফেব্রুয়ারিতে ৩৮ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তখনই প্রথমবারের মতো ডাক পান ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা ফুটবলার হামজা।
আরও পড়ুনহামজা চৌধুরী কে, কেমন খেলেন, বাংলাদেশ দল কতটা উপকৃত হবে৩ ঘণ্টা আগেসৌদিতে ক্যাম্প করতে যাওয়ার যাওয়ার আগে স্কোয়াড থেকে এক ঝটকায় আটজনকে ছেঁটে ফেলেন কাবরেরা। ক্যাম্পে মিডফিল্ডার পাপন সিংহ ও ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরা চোটে পড়লে স্কোয়াড নেমে আসে ২৮ জনে। সেই স্কোয়াড থেকে আরও চারজনকে বাদ দিয়ে আজ ঘোষণা করা হলো চূড়ান্ত দল।
শিলংয়ে রওনা হওয়ার আগে জামাল ভূঁইয়া ও হামজা চৌধুরী.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি