Samakal:
2025-05-01@05:10:38 GMT

নতুন দিগন্তে জোয়ি

Published: 20th, March 2025 GMT

নতুন দিগন্তে জোয়ি

বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয়ের জন্য এর আগে খ্যাতি অর্জন করলেও চলতি বছরে একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে (অস্কার) সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কার জিতে নতুন ইতিহাস গড়েছেন হলিউড অভিনেত্রী জোয়ি সালদানা। জ্যাক আাঁদিয়ায়ের ‘এমেলিয়া প্যারেজ’ সিনেমায় অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তিনি এ সম্মাননা পান জোয়ি।

অস্কার জয়ের পর আবেগাপ্লুত হয়ে সালদানা তাঁর পরিবার ও অভিবাসী সম্প্রদায়ের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি গর্বিত একজন অভিবাসী বাবা-মায়ের সন্তান এবং ডোমিনিকান বংশোদ্ভূত প্রথম আমেরিকান, যে অস্কার গ্রহণ করেছে।’ এর আগে একই সিনেমার জন্য চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিনি গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কারও পান। 

জোয়ি সালদানা ১৯৭৮ সালের ১৯ জুন নিউ জার্সির পাসাইক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা ডোমিনিকান এবং বাবা পুয়ের্তো রিকান বংশোদ্ভূত। ছোটবেলায় তাঁর পরিবার ডোমিনিকান রিপাবলিকে চলে যায়। যেখানে তিনি ব্যালে শেখা শুরু করেন। মাত্র ৯ বছর বয়সে বাবাকে হারান জোয়ি। বেড়ে ওঠার সময়টা তাঁর কেটেছে মায়ের কাছেই। বলতে গেলে একাই তিন মেয়েকে বড় করেছেন তাঁর মা। তাই মায়ের ঘর-বাইর সামলানোর ব্যাপারটা জোয়ির কাছে মোটেও নতুন কিছু নয়; বরং এটাই তিনি ছোটবেলায় নিজের মাকে করতে দেখেছেন। আর তাঁর ব্যক্তিত্বে মায়ের প্রভাব যে কতটা, সেটা তিনি অনেকবারই সাক্ষাৎকারে বলেছেন।

রুপালি পর্দায় জোয়ির যাত্রা শুরু হয় ২০০০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘সেন্টার স্টেজ’ সিনেমার মাধ্যমে। যেখানে তিনি একজন ব্যালে ডান্সারের ভূমিকায় অভিনয় করেন। এরপর ‘ক্রসরোডস’ এবং ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান: দ্য কার্স অব দ্য ব্ল্যাক পার্ল’ ছবিতে অভিনয় করে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে থাকেন।

জোয়ি সফলতার পথে যাত্রা শুরু করেন ২০০৯ সালে জেমস ক্যামেরুনের ‘অ্যাভাটার’ সিনেমায় ‘নেইটিরি’ চরিত্রে অভিনয় করেন। যা তাঁকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত এনে দেয়। এরপর মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের ‘গার্ডিয়ানস অব দ্য গ্যালাক্সি’ ফ্র্যাঞ্চাইজির ‘গামোরা’ চরিত্রে অভিনয় করেন, যা তাঁকে আরও বেশি জনপ্রিয় করে তোলে। স্টার ট্রেক সিরিজেও তিনি ‘নিউটা উহুরা’ চরিত্রে অভিনয় করেন, যা সাই-ফাই সিনেমায় তাঁর শক্ত অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে। এসব চরিত্রের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, তিনি কেবল গ্ল্যামারাস নায়িকা নন; বরং একজন শক্তিশালী অভিনেত্রী। সাই-ফাই থেকে অ্যাকশন, রোমান্স থেকে ড্রামা– সব ধরনের চরিত্রেই তিনি দক্ষতার ছাপ রেখেছেন। 

চলতি বছরে জোয়ির এ অর্জন শুধু ব্যক্তিগত সাফল্যই নয়, বরং হলিউডে বৈচিত্র্য ও প্রতিনিধিত্বের নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে। কারণ, তিনি সবসময় নারীদের ক্ষমতায়ন, জাতিগত বৈষম্য দূরীকরণ ও শিল্পের বহুমুখী উপস্থাপনের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। অন্যদিকে জোয়িকে সব্যসাচী বলতেই পারেন। কারণ, তিনি ঘর-বাইর দুটিই সামলেছেন সমান দক্ষতায়। হলিউডে যখন তাঁর সুসময়, তখনই তিনি সন্তান নেন। ২০১৪ সালে মুক্তি পায় জোয়ির ‘গার্ডিয়ানস অব দ্য গ্যালাক্সি’। সে বছরই জন্ম নেয় তাঁর দুই যমজ ছেলে। বোওয়ি ও সাই। ছবিটির পরের কিস্তি আসে ২০১৭ সালে। সে বছর জন্মায় তাঁর তৃতীয় ছেলে জেন। ব্যস্ত সেই সময়েও হলিউডের পাশাপাশি ঠিকই পালন করেছেন মায়ের সব দায়িত্ব।

জোয়ি কখনোই শারীরিক গড়ন বা চেহারা দিয়ে কাউকে মূল্যায়ন করেন না। কাউকে খারাপ তখনই ভাবেন, যখন সে খারাপ কথা বলে বা কথায়-কাজে খারাপ প্রবণতা প্রকাশ করে। সালদানা শুধু একজন অভিনেত্রী নন, তিনি হলিউডে লাতিনো নারীদের জন্য এক অনুপ্রেরণা। তাঁর বহুমুখী প্রতিভা, কঠোর পরিশ্রম এবং নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র জগতে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছেন। ভবিষ্যতেও তাঁর কাজ দর্শকদের আনন্দ দেবে এবং সিনেমার নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মনে করাই যায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স অব দ য কর ছ ন র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা

লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’

বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’ 

পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।

২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
  • নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক
  • টাকার জন্য দেশে ছেড়েছি, এখন টাকা খরচের সময় নেই: পিয়া বিপাশা
  • মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা