পাবনা শহরের সেন্ট্রাল হাসপাতালে এক নারী রোগীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে হাসপাতালের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গ্রেপ্তাররা হলেন, পাবনা সদর উপজেলার গাছপাড়া এলাকার আবুল হোসেন (৩০), ভাঙ্গুড়া উপজেলার আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৪) ও পাবনা পৌর সদরের চক পৈলানপুর এলাকার মোত্তাকিন বিশ্বাস (৩৭)।

আরো পড়ুন:

ডাকসুতে বিজয়ী নারীদের ‘গৃহ দাসী’ বললেন ঢাবি শিক্ষার্থী

রাবির আবাসিক হলের ৯১ ছাত্রীকে ‘যৌনকর্মী’ বললেন ছাত্রদল নেতা

শনিবার (১৮ অক্টোবর) মধ্য রাতে পাবনা শহরের সেন্ট্রাল হাসপাতালে এ যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটে। রবিবার ((১৯ অক্টোবর) দুপুরে ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার রাতে পাবনা শহরের সদর হাসপাতাল সংলগ্ন সেন্ট্রাল হাসপাতালে এক রোগীর সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। অপারেশন শেষে ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার সময় হাসপাতালেরর এক কর্মী তাকে যৌন হয়রানির করেন বলে স্বজদের কাছে জানান ভুক্তভোগী।

ভুক্তভোগীর আত্মীয়-স্বজন প্রতিবাদ করতে গেলে প্রথমে হাসপালটির কর্মচারীদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। ভুক্তভোগীর রোগীর স্বজন ও পাবনা সরকারী এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থী রেদোয়ান আহমেদ শুভর সঙ্গেও সেখানে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে হাসপাতালের কর্মচারীদের সঙ্গে বহিরাগতরা যোগ দিলে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়।

এ খবর সরকারী এডওয়ার্ড কলেজের ছাত্রদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ওই ছাত্রের সহপাঠিরা এসে হাসপাতালে অতর্কিত হামলা চালান এবং বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনার জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের নির্দেশনায় হাসপাতালটির সব ধরনের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী মোমিন সরদার বাদী হয়ে রবিবার সকালে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে আটক হাসপাতালের তিন কর্মীকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানে হয়েছে।

ঢাকা/শাহীন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ন হয়র ন

এছাড়াও পড়ুন:

সেন্ট্রাল হাসপাতালে নারী রোগীকে যৌন হয়রানি, গ্রেপ্তার ৩

পাবনা শহরের সেন্ট্রাল হাসপাতালে এক নারী রোগীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে হাসপাতালের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গ্রেপ্তাররা হলেন, পাবনা সদর উপজেলার গাছপাড়া এলাকার আবুল হোসেন (৩০), ভাঙ্গুড়া উপজেলার আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৪) ও পাবনা পৌর সদরের চক পৈলানপুর এলাকার মোত্তাকিন বিশ্বাস (৩৭)।

আরো পড়ুন:

ডাকসুতে বিজয়ী নারীদের ‘গৃহ দাসী’ বললেন ঢাবি শিক্ষার্থী

রাবির আবাসিক হলের ৯১ ছাত্রীকে ‘যৌনকর্মী’ বললেন ছাত্রদল নেতা

শনিবার (১৮ অক্টোবর) মধ্য রাতে পাবনা শহরের সেন্ট্রাল হাসপাতালে এ যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটে। রবিবার ((১৯ অক্টোবর) দুপুরে ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার রাতে পাবনা শহরের সদর হাসপাতাল সংলগ্ন সেন্ট্রাল হাসপাতালে এক রোগীর সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। অপারেশন শেষে ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার সময় হাসপাতালেরর এক কর্মী তাকে যৌন হয়রানির করেন বলে স্বজদের কাছে জানান ভুক্তভোগী।

ভুক্তভোগীর আত্মীয়-স্বজন প্রতিবাদ করতে গেলে প্রথমে হাসপালটির কর্মচারীদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। ভুক্তভোগীর রোগীর স্বজন ও পাবনা সরকারী এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থী রেদোয়ান আহমেদ শুভর সঙ্গেও সেখানে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে হাসপাতালের কর্মচারীদের সঙ্গে বহিরাগতরা যোগ দিলে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়।

এ খবর সরকারী এডওয়ার্ড কলেজের ছাত্রদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ওই ছাত্রের সহপাঠিরা এসে হাসপাতালে অতর্কিত হামলা চালান এবং বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনার জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের নির্দেশনায় হাসপাতালটির সব ধরনের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী মোমিন সরদার বাদী হয়ে রবিবার সকালে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে আটক হাসপাতালের তিন কর্মীকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানে হয়েছে।

ঢাকা/শাহীন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ