প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে ১০ এপ্রিল থেকে ৩৩ দিন বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার
Published: 20th, March 2025 GMT
১০ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদের জন্য নতুন একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে প্রশ্নফাঁস ও গুজবরোধে ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে এই ৩৩ দিন সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি জোরদার করা হবে। পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর সরবরাহে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এ নির্দেশনা প্রকাশ করেছে।
শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কামাল হায়দার সমকালকে জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেটা আমরা ওয়েবসাইটে আপলোড করেছি। প্রতিবছর এটা দেওয়া হয়ে থাকে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে ও প্রশ্ন পরিবহনে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি জোরদার করবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে সব ফটোকপি মেশিন পরীক্ষা চলাকালীন বন্ধ থাকবে। প্রত্যেক বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব উত্তরপত্র কাছের ডাক বিভাগে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বোর্ডগুলো পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোকে নির্দেশনা দেবে।
২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা ১০ এপ্রিল শুরু হয়ে শেষ হবে ১৩ মে। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৫ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন, ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ২৯১টি, প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ১৮ হাজার ৮৪টি।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন, ছাত্রী ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২৫টি, প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৩টি। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ জন, ছাত্রী ৩৪ হাজার ৯২৮ জন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এসএসস পর ক ষ র থ
এছাড়াও পড়ুন:
ভোটের সরঞ্জাম আসছে ইসিতে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য ভোটের সরঞ্জাম সরবরাহ শুরু হয়েছে। কয়েক মাস আগে দেওয়া কার্যাদেশের ভিত্তিতে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে এসব সামগ্রী এনে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
ইসির উপ-সচিব রাশেদুল ইসলাম জানান, লালগালা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের লক, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, বড় ও ছোট হেসিয়ান ব্যাগসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রীর একটি অংশ এরইমধ্যে পৌঁছে গেছে। এর মধ্যে বড় ও ছোট হেসিয়ান ব্যাগের পুরো সরবরাহ শেষ হয়েছে। অন্য সামগ্রী ধাপে ধাপে সরবরাহ করা হবে।
ইসির হিসাব অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে প্রায় পৌনে ১৩ কোটি ভোটার থাকবেন। সে অনুযায়ী প্রায় ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্র ও দুই লাখের বেশি ভোটকক্ষের জন্য বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম প্রয়োজন হবে।
সরবরাহ হওয়া সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে—লালগালা: ২৩ হাজার কেজির মধ্যে এক চতুর্থাংশ সরবরাহ। ব্যালট বাক্সের লক: ৫০ লাখের বিপরীতে সরবরাহ হয়েছে ৫ লাখ।
আগস্টের শুরুতে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছিলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব ধরনের নির্বাচনি সরঞ্জাম কেনাকাটা শেষ হবে। আটটি আইটেমের মধ্যে একটি পুনরায় দরপত্র দিতে হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই সব সরঞ্জাম পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটের সামগ্রীর বেশির ভাগই কমিশন থেকে সরবরাহ করা হয়। তবে সুঁই-সুতা, দিয়াশলাই, আঠা, কলম, প্লাস্টিকের পাতসহ প্রতিটি কেন্দ্র ও বুথের জন্য প্রয়োজনীয় ২১ ধরনের কিছু জিনিস স্থানীয়ভাবে রিটার্নিং অফিসারদের সংগ্রহ করতে হয়।
তফসিল ঘোষণার পর আসনভিত্তিক ভোটার সংখ্যা, ভোটকেন্দ্র ও বুথ নির্ধারণ শেষে আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা অফিসে এসব সরঞ্জাম বিতরণ করা হবে। নিরাপত্তার মধ্যে থেকে ব্যালট পেপারসহ সব সরঞ্জাম ভোটের আগেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে।
ঢাকা/এএএম/ইভা