শিশুসাহিত্যিক ও অঙ্কনশিল্পীদের নিয়ে প্রথমার ইফতার
Published: 20th, March 2025 GMT
প্রথমা প্রকাশনের উদ্যোগে শিশুসাহিত্যিক ও অঙ্কনশিল্পীদের নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবনে প্রথম আলো কার্যালয়ের দশম তলায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ইফতারের আগে শিশুসাহিত্যিক ও অঙ্কনশিল্পীরা শিশুসাহিত্য ও আঁকাআঁকি নিয়ে তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। শিশুদের বই কেমন হওয়া উচিত, সেই বইয়ের ছবি কেমন হওয়া উচিত—এ বিষয়গুলো নিয়ে লেখক ও অঙ্কনশিল্পীরা গঠনমূলক আলোচনায় মেতে ওঠেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রথমা প্রকাশনের শিশুসাহিত্যবিষয়ক সহযোগী সাইদুজ্জামান রওশন বলেন, প্রথমা প্রকাশন শুধু ফেব্রুয়ারি মাসের বইমেলাকে কেন্দ্র করে নয়, সারা বছর ধরে শিশু-কিশোরদের জন্য নানা ধরনের বই প্রকাশ করবে। সে জন্য তিনি লেখক ও অঙ্কনশিল্পীদের প্রথমার সঙ্গে থাকার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে লেখকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখতার হুসেন, বিনয় বর্মণ, মোস্তাক শরীফ, আহমেদ রিয়াজ, রবিউল কমল, সুলতানা লাবু, পলাশ মাহবুব, শিবব্রত বর্মণ, আশিক মুস্তাফা, কিযী তাহনিন, তারিক মনজুর, নিলয় নন্দী, ইশতিয়াক আহমেদ, রূম্পা ফারজানা প্রমুখ। অঙ্কনশিল্পীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো.
প্রথমার প্রধান সমন্বয়কারী মশিউল আলম লেখক-শিল্পীদের প্রথমা প্রকাশনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?