রাজধানীর পুরান ঢাকার সোয়ারীঘাট এলাকায় আজ শুক্রবার ভোরে ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁর নাম আসিফ মুন্সি (১৮)। আজ দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে গিয়ে স্বজনেরা তাঁর লাশ শনাক্ত করেন।

পুলিশ বলেছে, আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে চকবাজার থানার কেরানীগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ও মালামাল ছিনতাই করার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা চার যুবককে ধাওয়া দেন। ধাওয়া খেয়ে একজন পালিয়ে যান। অন্য তিনজন নদীতে ঝাঁপ দেন। তাঁরা সাঁতরে চকবাজার থানার সোয়ারীঘাটের চম্পাতলী ঘাট এলাকায় ওঠেন। এ সময় স্থানীয় জনতা তাঁদের গণপিটুনি দেয়। এতে তিনজন গুরুতর আহত হন। পুলিশ খবর পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে।

চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম সরোয়ার বলেন, আহত তিনজনকে উদ্ধার করে প্রথমে পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আসিফকে মৃত ঘোষণা করেন।

ছেলের মৃত্যুর খবরে আজ দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে যান আসিফের বাবা জহির মুন্সি ও মা তানিয়া আক্তার। তাঁরা প্রথম আলোকে বলেন, আসিফ পুরান ঢাকার ইসলামপুরের একটি কাপড়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী ছিলেন। এক ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি বড়। আসিফ তাঁদের সঙ্গে কামরাঙ্গীরচরে মুসলিমবাগের ঠোটা এলাকায় থাকতেন। তাঁদের বাড়ি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামে।

পুলিশ সূত্র জানায়, আহত দুজন এখন পুলিশি প্রহরায় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে আরেকজনের নাম জাহিদুল। আহত অন্যজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। জাহিদুলের বাবা শাহ আলম আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গিয়ে ছেলেকে শনাক্ত করেন। জাহিদুল মা-বাবার সঙ্গে কামরাঙ্গীরচরে থাকেন।

আরও পড়ুনছিনতাইকারী সন্দেহে জনতার ধাওয়ায় তিনজনের নদীতে ঝাঁপ, সাঁতরে ওঠার পর গণপিটুনিতে নিহত ১১০ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ গণপ ট ন এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

কর্মক্ষেত্রে বুলিং: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

কর্মক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির প্রতি অন্য সহকর্মী দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে ও নিয়মিতভাবে খারাপ আচরণ করাকে কর্মক্ষেত্রে বুলিং অথবা উৎপীড়ন বলে। এটি কর্মক্ষেত্রের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে, কর্মীর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়; কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে।

প্রকারভেদ

কর্মক্ষেত্রে বুলিং বিভিন্ন রকম হয়—

মৌখিক বুলিং: গালিগালাজ, অপমানজনক মন্তব্য, সবার সামনে ছোট করা, বিদ্রূপ করা।

শারীরিক বুলিং: মারামারি, ধাক্কা দেওয়া অথবা শারীরিকভাবে আঘাত করা।

সাইবার বুলিং: অনলাইনে বা সামাজিক মাধ্যমে অপমানজনক বার্তা পাঠানো, মোবাইলে ফোন করে খারাপ ব্যবহার করা।

কেন করা হয়?

এই উৎপীড়নের পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে—

কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতা জাহির করা।

সহকর্মীর প্রতি ঈর্ষা।

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সামনে নিজেকে জাহির করার ইচ্ছা।

কর্মীর পারিবারিক অথবা মানসিক সমস্যা; যা কর্মক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়।

কর্মীর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

বুলিং কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। এর কারণে অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তি চাকরি ছেড়ে দেওয়া, অনেক সময় আত্মহত্যাও করতে পারেন।

মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

ডিপ্রেশন বা হতাশা

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা

ইনসমনিয়া বা ঘুম কম হওয়া

আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া

আত্মহত্যার প্রবণতা

শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া

ওজন বেড়ে যাওয়া

হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া

মানসিক চাপ ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগকে অনিয়ন্ত্রিত করে দেয়।

প্রতিরোধের উপায়

ঊর্ধ্বতন নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার কাছে পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে বলা।

প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে মানসিক রোগবিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

ডা. নাজমুল হক মুন্না সহকারী অধ্যাপক (নিউরোলজি)

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কর্মক্ষেত্রে বুলিং: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব