এনজেড টেক্স গ্রুপ-ক্র্যাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) উদ্যোগে কোরআন তিলাওয়াত, হামদ, নাত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

ক্র্যাব সদস্যদের সন্তানদের মধ্যে গত ১৮ মার্চ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২০ জন অংশ নেন।  

আরো পড়ুন:

সাংবাদিকদের সমস্যা চিহ্নিতে কাজ চলছে: কামাল আহমেদ

বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই’র ইফতার মাহফিল

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ক্র্যাবের সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিএনপির মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, “ক্র্যাব প্রতি বছর এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে শুনে খুব ভালো লাগছে। জাতীয় প্রয়োজনে ক্র্যাব সদস্য সাংবাদিকরা অতীতের মতো ভবিষ্যতেও ভূমিকা রাখবে।”

জামায়াতের ড.

শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, “জাতীয় ঐক্যর লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সাংবাদিক সমাজের ভূমিকা অপরিসীম। যেকোনো প্রয়োজনে দেশের স্বার্থে ক্র্যাব ডাকলে তিনি সাড়া দিতে প্রস্তুত রয়েছেন।”

এবি পার্টির ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ক্র্যাবের সদস্যদের বিগত জুলাই আন্দোলনের সময়কার ত্যাগের কথা তুলে ধরেন। নূরুল হক নূর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোয় ক্র্যাবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জামায়াতের ঢাকা মহানগর কমিটির সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান, গণ-অধিকার পরিষদের নূরুল হক নূর, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি আবু সালেহ আকন, ভারতীয় হাইকমিশনের ফাস্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক, গণমাধ্যম ও তথ্য) গোকুল ভি কে, পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামূল হক সাগর, র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান, পুলিশ দপ্তরের তথ্য অফিসার এ কে এম কামরুল আহছান, বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাবের সহ-সভাপতি উমর ফারুক আল হাদী, যুগ্ম সম্পাদক নিয়াজ আহম্মেদ লাবু, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ খান, দপ্তর সম্পাদক ওয়াসিম সিদ্দিকী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিহাল হাসনাইন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম মানিক, প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক জসীম উদ্দীন, আইন ও কল্যাণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক হাবিবুল্লাহ মিজান, কার্যনির্বাহী সদস্য ইমরান রহমান, মোহাম্মদ জাকারিয়া।

ঢাকা/এএএম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ত ল ইসল ম সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ