বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ক্লাব ট্রাস্ট ও আইন সহায়তা তথ্য মানবাধিকার ফাউন্ডেশন,  নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা'র  মানবিক, সমাজসেবক,সংগঠক ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ওলামাদের মাধ্যমে  পবিত্র কোরআন খতম, নাগরিক কল্যণে সংগঠনের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা  শেষে যে সকল নর- নারী সকলের মাঝ থেকে  শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে  চীর বিদায় নিয়েছেন তাদের সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ও যারা বেচে আছেন তাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিষয় দোয়া'র  মোনাজাত করেন নিউ চাষাড়া জামতলা মদিনা জামে মসজিদ এর পেশ ইমাম ও খতিব মাও:মোঃ মনসুর আহমেদ।  পরিশেষে  ইফতার পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। 

শনিবার বিকেল ৪ টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে এ আয়োজন করা হয়। 

এ সময় মেহমান হিসেবে উপস্থিত  থেকে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক এম.

সামাদ মতিন,কবি ও সাংবাদিক ইয়াদী মাহমুদ, সাংবাদিক এস,এম,ইমদাদুল হক মিলন, সাংবাদিক হামিদ কাফি, সাংবাদিক শাহ আলম, সাংবাদিক এনামুল হক প্রিন্স, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর ডালিম,নারী উদ্যোক্তা সাবিরা সুলতানা নীলা, আনন্দধাম এর  নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমু, সাংবাদিক মহসিন আলম, সাংবাদিক শান্ত, সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী মেজবাহউদ্দিন আহম্মেদ, মানবাধিকার কর্মী সাথী আক্তার, মাহমুদ, রাজু আহমেদ, কবি আবুল কালাম আজাদ। 

আলোচনায় বক্তরা তাদের বক্তব্যে বলেন,  সামাজিক সেবামূলক কাজ ও মানুষের কল্যাণে  এ মানবাধিকার ও সাংবাদিক  সংগঠন যেনো নিরলসভাবে সততার সহিত  তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন। সে কামনা করি এবং  সেই সাথে সংগঠনের সাংবাদিকগণ যেনো  বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে তাদের স্বচ্ছতা জনসম্মুখে তুলে ধরতে পারেন  এ জন্য  সকলের  সহযোগিতা'র আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ক্লাব ট্রাস্ট এর সভাপতি ও  আইন সহায়তা তথ্য মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি এস. এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ এর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ক্লাব ট্রাস্ট এর সাধারণত সম্পাদক ও আইন সহায়তা তথ্য মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর  নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম আরজু'র  সার্বিক তত্বাবধানে সাংবাদিক সংগঠন  নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির  নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এড. মোঃ শহিদুল ইসলাম টিটু, মোহাম্মদ  মনিরুল ইসলাম মনির,  মোঃ আসলাম মিয়া, মোঃ সোহেল, রাজু আহমেদ,  শাহ আলম, জামিল হোসেন, মোঃ কাউসার হোসেন,  মোঃ শাহ আলম,  মোঃ জাকির আহম্মেদ, মোঃ মনির হোসেন, মোঃ কামরুজ্জামান,হারুন অর রশিদ সাগর, জি.এ. রাজু,মোঃ মিঠুন মিয়া,  মোঃ ওয়ারদে রহমান, এড. শারমিন আক্তার রেখা, কাজী আনিসুল হক হীরা,মোহাম্মদ ইমাম হোসেন, মোঃ শফিকুল ইসলাম ও শাহীন মিয়া।

 মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন. মোঃ রাশেদ ফেরদৌস সোহেল মোল্লা,পিয়াশা বেগম,মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন,   অর্ক প্রধান, মোহাম্মদ সোহান, সাজ্জাদ আহম্মেদ খোকন,এড. মনি গাঙ্গুলি,মাহফুজা আক্তার মুক্তা, মোঃ জাকির হোসেন,মোঃ জাহিদ হোসেন, সাদিয়া আফরিন তমা, শাকিলা ইসলাম,বাবেয়া খন্দকার  রিয়া, আফরোজা আক্তার,উন্মে কুলসুম, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, সাইফুল ইসলাম, মোঃ জুয়েল, মোঃ নাসির উদ্দীন, দেবাশীষ ঘোষাল,শুক্কুর মাহমুদ জুয়েল,এস এ বিপ্লব,উজ্জ্বল ও আলী হোসেন শেখসহ প্রমূখ।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইফত র ন র য়ণগঞ জ জ ল র ল ইসল ম কম ট র সকল র স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ পাকিংয়ে তীব্র যানজট, জনদুর্ভোগ চরমে

বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যানজট। এ যানজটের কারণে মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তা পেরুতে সময় লেগে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। ফলে প্রতিনিয়ত চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জবাসীকে।

নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগ কিংবা সিটি কর্পোরেশন এ যানজট থেকে জেলাবাসীকে পরিত্রাণ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে দিন যতই বড়ছে ততই বাড়ছে নারায়ণগঞ্জবাসীর দুর্ভোগ।

নারায়ণগঞ্জে এমন কোন সড়ক নাই সেই সড়কে যানজট নাই। মূল সড়ক থেকে শুরু করে অলি-গলি সব জায়গায়ই যানজট আর যানজট। তবে এ যানজটের পেছনে মূল সড়কের যানজটকেই দায়ি করছেন অনেকে।

তারা বলছেন, মূল সড়ক যদি যানজট মুক্ত থাকতো তাহলে এর আশেপাশের সড়কগুলো যানজটের সুষ্টি হতো না। মূল সড়কে তীব্র যানজটের কারণেই এর প্রভাব পড়ছে অন্য সড়কগুলোতেও।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে শহরের চাইতে চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণে করেছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচলের কথা শুনলেই মানুষ আতকে উঠে। কারণ, যানজটের মাত্র পনেরো মিনিটের রাস্তা পাড় হতে সময় লাগে ঘন্টার পর ঘন্টা। 

এ রাস্তায় এ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীকেও যানজটে আটতে থাকতে দেখা যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। একবার যানজটে আটকা পড়লেই দিন শেষ। কখন বাড়ী কিংবা অফিসে যাবেন তার কোন ঠিক নেই।

অনুসন্ধানে জানাগেছে, এ যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে পঞ্চবটি-মুক্তারপুর ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ। ফ্লাইওভারের কর্মযজ্ঞের ফলে যানবাহনগুলোকে একটু ধীর গতিতে যেতে হয়। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।

তবে এ যানজটের আরও একটি বড় কারণ চোঁখে পড়ে, আর তা হলো পঞ্চবটি এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচে এবং চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কের দু’পাশে ট্রাক ও কভার্ডভ্যানগুলো অবৈধভাবে পাকিং করে রাখা। 

এসব যানবাহনগুলো সড়কের দু’পাশে পার্কিং করে রাখার কারণে মূল সড়ক অনেকটাই সরো হয়ে যায়। ফলে এ সড়ক দিয়ে অন্যসব যানবাহনগুলো ঠিকমত চলাচল করতে পারে না। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

অথচ, পঞ্চবটির খুব কাছেই রয়েছে ট্রাক ও কভার্ডভ্যান স্ট্যান্ড। যানবাহনের চালকরা ওই স্ট্যান্ডে গাড়ী না রেখে সড়কের পাশে অবৈধভাবে বাঁকাত্যাঁড়া গাড়ীগুলো রাখছেন। এর ফলে যে, ওই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং যানজটের কবলে পড়ে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, এ বিষয়ে যেন তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। 

তাদের ভাব-নমুনা দেখা মনে হয় যে, তারাই যেন এ সড়কটির মূল মালিক। না পুলিশে তাদের কিছু বলে, না তারা জনগণের কোন কথা শোনে। তারা তাদের ইচ্ছেমত গাড়ীগুলো রেখে যানজটের সৃষ্টি করছেন।

চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে চলাচল করা ভুক্তভোগী পথচারিরা বলছেন, এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করাটা বর্তমানে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এত ভয়াবহ যানজট আমরা কখনোই চোঁখে দেখিনি। পঞ্চবটি ফ্লাইওভারের নিচে যেভাবে ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো রাখা হয় পুরো সড়কটা তারা কিনে নিয়েছে। পুলিশও কিছু বলে না। 

এছাড়া চাষাঢ়া থকে পঞ্চবটি পর্যন্ত পুরো সড়কে দু’পাশেই তারা গাড়ীগুলো রাখছেন। রাস্তাটি পাশে এমনিতেই জায়গা কম, আবার যদি তারা এভাবে গাড়ী রাখেন তাহলে যানজটের সৃষ্টিতো হবেই। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল বলেন, আসলে নিতাইগঞ্জ এলাকা থেকে ট্রাক স্ট্যান্ডটি সরিয়ে নেয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আইভী একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। তিনি শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে পঞ্চবটি এলাকাতে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে একটি ট্রাক স্ট্যান্ড গড়ে তোলেন এবং সেখানে এ স্ট্যান্ডকে স্থানান্তর করেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। 

এখন তারা কিছু গাড়ী ওই স্ট্যান্ডে রাখে বাকি গাড়ীগুলো সড়ক দখল করে এলোপাথারিভাবে রাখে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলেও যেন কারো কোন কিছু বলার নেই। কারণ, এ সমস্যা নিয়ে বহুবার ডিসি-এসপির সাথে বসা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে কিন্তু সুরাহা হয় নাই। 

তবে, ৫ আগস্টে দেশে একটি বড় পরিবর্তনের পর আশা করছিলাম এবার হয়তো এর একটা সুরাহা হবে। কিন্তু না। সড়ক দখল করে রাখা ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে মানুষকে বাধ্য হয়েই যানজটের মত দুর্ভোগ দুর্দশাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পথ চলতে হচ্ছে।

তারা বলেন, আসলে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য সেদিন ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এতবড় একটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু দেশের মানুষ যদি সেই শান্তি শৃঙ্খলা ভোগই করতে না পারে, তাহলে এত প্রাণ দিয়ে কি লাভ হলো? 

আমরা জানিন না, প্রশাসন আসলে কাদেরকে খুশি করাতে চাচ্ছেন? মুষ্টিম কিছু চালকদের জন্য হাজার হাজার মানুষের এ কষ্ট কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি করবো, তারা যেন খুব শীঘ্রই এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়। নারায়ণগঞ্জবাসীকে যেন কিছুটা স্বস্তি দেয়।

এ বিষয়ে টিআই করিম বলেন, ৫ আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জে যানজটের যে ভয়াবহতা সৃষ্টি হয়েছিলো বর্তমানে তা কমে আসছে। আশাকরছি, আগামীতে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। পঞ্চবটি সড়কে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এজন্য এ রুটে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

 এমতাবস্তায় যদি কোন চালক রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে গাড়ী পার্কিং করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • “শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ইন্ধন থাকতে পারে তৃতীয় পক্ষের”
  • শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০ (ভিডিও)
  • শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০
  • ফতুল্লায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
  • সোনারগাঁয়ের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির চিঠি
  • নারায়ণগঞ্জে বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ গ্রেপ্তার ৩
  • সড়ক দুর্ঘটনায় যুবদল নেতা রিয়াদের দুই মেয়ে গুরুতর আহত : দোয়া প্রার্থনা 
  • আড়াইহাজারের সেপটি ট্যাংকির ঝুঁকি ও করণীয় নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা
  • বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত
  • ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ পাকিংয়ে তীব্র যানজট, জনদুর্ভোগ চরমে