না’গঞ্জ জেলার মানবাধিকার ও সাংবাদিক সংগঠনের দোয়া ও ইফতার মাহফিল
Published: 22nd, March 2025 GMT
বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ক্লাব ট্রাস্ট ও আইন সহায়তা তথ্য মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা'র মানবিক, সমাজসেবক,সংগঠক ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ওলামাদের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন খতম, নাগরিক কল্যণে সংগঠনের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা শেষে যে সকল নর- নারী সকলের মাঝ থেকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে চীর বিদায় নিয়েছেন তাদের সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ও যারা বেচে আছেন তাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিষয় দোয়া'র মোনাজাত করেন নিউ চাষাড়া জামতলা মদিনা জামে মসজিদ এর পেশ ইমাম ও খতিব মাও:মোঃ মনসুর আহমেদ। পরিশেষে ইফতার পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
শনিবার বিকেল ৪ টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে এ আয়োজন করা হয়।
এ সময় মেহমান হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক এম.
আলোচনায় বক্তরা তাদের বক্তব্যে বলেন, সামাজিক সেবামূলক কাজ ও মানুষের কল্যাণে এ মানবাধিকার ও সাংবাদিক সংগঠন যেনো নিরলসভাবে সততার সহিত তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন। সে কামনা করি এবং সেই সাথে সংগঠনের সাংবাদিকগণ যেনো বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে তাদের স্বচ্ছতা জনসম্মুখে তুলে ধরতে পারেন এ জন্য সকলের সহযোগিতা'র আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ক্লাব ট্রাস্ট এর সভাপতি ও আইন সহায়তা তথ্য মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি এস. এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ এর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ক্লাব ট্রাস্ট এর সাধারণত সম্পাদক ও আইন সহায়তা তথ্য মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম আরজু'র সার্বিক তত্বাবধানে সাংবাদিক সংগঠন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এড. মোঃ শহিদুল ইসলাম টিটু, মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম মনির, মোঃ আসলাম মিয়া, মোঃ সোহেল, রাজু আহমেদ, শাহ আলম, জামিল হোসেন, মোঃ কাউসার হোসেন, মোঃ শাহ আলম, মোঃ জাকির আহম্মেদ, মোঃ মনির হোসেন, মোঃ কামরুজ্জামান,হারুন অর রশিদ সাগর, জি.এ. রাজু,মোঃ মিঠুন মিয়া, মোঃ ওয়ারদে রহমান, এড. শারমিন আক্তার রেখা, কাজী আনিসুল হক হীরা,মোহাম্মদ ইমাম হোসেন, মোঃ শফিকুল ইসলাম ও শাহীন মিয়া।
মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন. মোঃ রাশেদ ফেরদৌস সোহেল মোল্লা,পিয়াশা বেগম,মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, অর্ক প্রধান, মোহাম্মদ সোহান, সাজ্জাদ আহম্মেদ খোকন,এড. মনি গাঙ্গুলি,মাহফুজা আক্তার মুক্তা, মোঃ জাকির হোসেন,মোঃ জাহিদ হোসেন, সাদিয়া আফরিন তমা, শাকিলা ইসলাম,বাবেয়া খন্দকার রিয়া, আফরোজা আক্তার,উন্মে কুলসুম, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, সাইফুল ইসলাম, মোঃ জুয়েল, মোঃ নাসির উদ্দীন, দেবাশীষ ঘোষাল,শুক্কুর মাহমুদ জুয়েল,এস এ বিপ্লব,উজ্জ্বল ও আলী হোসেন শেখসহ প্রমূখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইফত র ন র য়ণগঞ জ জ ল র ল ইসল ম কম ট র সকল র স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে সেনাবাহিনীর উদ্ধারকৃত ডিএনডি খাল দখল করে চাঁদাবাজি!
সিদ্ধিরগঞ্জের হীরার্ঝিল আবাসিক এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্ধারকৃত ডিএনডি (ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা) খাল দখল করে দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। এর ফলে ডিএনডি খালটি ফের সংকুচিত হতে শুরু করেছে। পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
এদিকে এই এলাকাটি শিমরাইল পাম্প স্টেশনের নিকটবর্তী এলাকা হওয়ায় দোকানগুলোর কারণে ঠিকমতোন পানি সরবরাহ হতে পারছে না। তবে প্রশাসনের ভাষ্য, খুব শিগগিরই এখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে নাসিক ১নং ওয়ার্ডের হীরাঝিল আবাসিক এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বালু খালপাড় দখল করে হরেক রকমের ছোট-বড় প্রায় ২৫টি দোকান বসানো হয়েছে। হাবিবুল্লাহ হবুলের মালিকানাধীন হাবিবুল্লাহ টাওয়ার থেকে শুরু করে মোক্তার হোসেন সরকারের মালিকানাধীন বিএম ভবন, সিদ্দিকুর রহমানের মালিকানাধীন মমতাজ ভিলা, নূর মোহাম্মদ টাওয়ার, নুরুল হুদা’র বাড়ির সামনে এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।
এর বিনিময়ে প্রতি দোকান থেকে টাকা তুলছেন স্ব স্ব বাড়ির মালিকরা। চাঁদা তোলার বিষয়টি কয়েকজন বাড়িওয়ালা অকপটে স্বীকারও করেছেন।
এদিকে, দোকানগুলোর কারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নির্মিত ওয়াকওয়ে দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে পথচারীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। পাশাপাশি হীরাঝিল এলাকাবাসীকেও ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, হীরাঝিল আবাসিক এলাকা একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। যানবাহন ও মানুষের চাপ বেশি থাকায় এই এলাকায় সবসময় যানজট লেগেই থাকে। চলাচলের সুবিধার্তে এলাকাবাসী ডিএনডি খালের পাড় দিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যস্থলে যেতেন। কিন্তু কয়েকজন বাড়িওয়ালা এহেন কর্মকান্ডের কারণে হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন।
এসব দোকানের কারণে খালের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পানি নিষ্কাশন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং চাঁদাবাজি প্রশাসন বন্ধ করতে না পারলে আগামীতে ফের বন্যা হওয়ার শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। তাই এ বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত প্রদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ‘কাবাব বাড়ি’ ভবনের মালিক মো. রফিক বলেন, আমার বাড়ির সামনে ডিএনডি খাল দখল করে আমি কোনো দোকান বসাই নি। আমি নিজেও চাই এখানে কোনো দোকান না বসুক। কিন্তু আমি যতটুকু শুনেছি টিএইচ তোফা নামের এক ব্যক্তি এই দোকানগুলো বসিয়েছেন। আমি অনেক চেষ্টা করেছে দোকানগুলো সরিয়ে দেওয়ার। আর এখানে দোকান বসিয়ে টাকা তোলার প্রশ্নই উঠে না।
একই অভিযোগ স্বীকার করে মমতাজ ভিলার মালিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অন্যসবাই দোকান বসিয়েছে। আমি তা দেখাদেখি ২টি দোকান বসিয়েছি। এটা আমার অপরাধ হয়েছে তা আমি নিজেও বুঝি। আমি মূলত সবার দেখাদেখি দোকান বসিয়েছি।
নুরুল হুদা নামের আরেক বাড়িওয়ালা বলেন, আমি দোকান বসিয়েছি। কিন্তু ওইখান থেকে কোনো অর্থ আদায় করি না। চাইলে এ বিষয়ে তদন্ত করা হতে পারে। আর এখানে দীর্ঘদিন ধরেই দোকান ছিল।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনূর আলম বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়টি আমাদের জানা নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুভ আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। তবে অভিযোগ যেহেতু পেয়েছি তাহলে অবশ্যই ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হবে। ডিএনডি খালপাড় থেকে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রথমে আমরা একাধিকবার তাদের নোটিশ পাঠাবো।
যদি তারা কথা না শোনেন তাহলে আইন অনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। খাল দখলের বিরুদ্ধে আমরা সবসময় জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন খাল পরিষ্কার করা শুরু করেছি। ডিএনডি খালসহ যেকোনো খাল এভাবে দখল হয়ে থাকলে দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি শিগগিরই এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ৮ ডিসেম্বর ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়নে ডিএনডি প্রকল্প হাতে নেয় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। শুরুতে প্রকল্পের বাজেট ৫৫৮ কোটি টাকা ধরা হলেও তা বাস্তবায়নে সবমোট ১৩০০ কোটি টাকা খরচ হয়।
২০২৫ সালের জুন মাসে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর প্রকল্প বাস্তবায়ন করাকালে তখন খালটি দখল না হলেও প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পর পরই হীরাঝিল এলাকার কয়েকজন বাড়িওয়ালা ডিএনডি খাল দখল করে দোকান বসানো শুরু করে।