জুলাই আগস্ট-এর অভ্যুত্থানে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

তিনি বলেন, ‍“অভ্যুত্থানের সাত মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও বিচার কাজ এখনো উল্লেখযোগ্য মাত্রায় এগোয়নি। ফলে মানুষের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেই হতাশার প্রতিফল দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে।”

শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে পাবনার পিসিসিএস বাজার কমিউনিটি সেন্টারে গণসংহতি আন্দোলন পাবনা জেলা শাখার আয়োজনে ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও এর রূপরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের মিছিল, আটক ৩

বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলে আ.

লীগ এমনিতেই নিষিদ্ধ হয়ে যাবে: এ্যানি

জোনায়েদ সাকি বলেন, “ভারতীয় গণমাধ্যম ও ভারতীয় শাসকদল বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে ইসলামী জঙ্গিবাদের উত্থান হিসেবে দেখাতে চায়। বাংলাদেশে তৌহিদী জনতার নামে মব তৈরি করে অরাজকতা তৈরি করা হচ্ছে, মাজার ভাঙা হচ্ছে, হামলা করা হচ্ছে। আমেরিকার কাছে ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশকে যেভাবে দেখাতে চায় সেটাই ঘটছে। এটা আমাদের সতর্কভাবে ভাবতে হবে।”

পাবনা জেলা গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক জুলহাসনাইন বাবুর সভাপতিত্বে এবং জেলা সম্পাদক শেখ আজহারুল ইসলাম আজহারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলটির নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। এছাড়া জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতি পাবনা জেলার সভাপতি আরশেদ আলম, ক্যাপ্টেন ডা. সারোয়ার জাহান ফয়েজ, কবি কথা হাসনাত, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আইমান জান চৌধুরী, বেড়া উপজেলা গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক আব্দুল আলীম, পাবনা জেলার যুগ্ম সম্পাদক কামরুল হাসান লিটন, সাঁথিয়া উপজেলার আহ্বায়ক মুরাদ হোসেন বক্তব্য দেন।

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ