কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গাদের নিয়ে ডুবে যাওয়া একটি নৌযানে উদ্ধার অভিযান চালাতে গিয়ে সাগরে নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের জিরো পয়েন্ট সৈকত এলাকায় লাশটি ভেসে আসে।

গতকাল শনিবার ভোরে সাগরে পড়ে নিখোঁজ হন বিজিবির ওই সদস্য। একই দুর্ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় টেকনাফে নাফ নদীর দমদমিয়া এলাকা থেকে এক শিশুসহ চার রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার হলো।

নিহত বিজিবি সদস্যের নাম মোহাম্মদ বেলাল। তিনি শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত ফাঁড়িতে সেপাই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরের কাজিয়াতল এলাকায়। তাঁর দুটি মেয়েসন্তান রয়েছে।

বিজিবি জানায়, গতকাল ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া ঘাটের কাছ দিয়ে রোহিঙ্গাদের একটি নৌকা অবৈধভাবে সাগরপথে বাংলাদেশে আসছিল। পথে প্রবল স্রোতে নৌকাটি উল্টে যায়। খবর পেয়ে সৈকতের পাশে কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যরা তৎক্ষণাৎ স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। তাঁরা ২৪ জন রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করেন। উদ্ধারকাজ চলাকালে সমুদ্র উত্তাল ছিল। এ সময় বিজিবির সদস্য মোহাম্মদ বেলাল পা পিছলে সাগরে পড়ে যান।

এ ঘটনার পর থেকে বিজিবি-কোস্টগার্ড নিখোঁজ বেলালকে উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে আসছিলেন। স্থানীয় জেলেরাও নৌকা নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালান। এর মধ্যে আজ দুপুরে লাশটি সাগরে ভাসতে দেখা যায়। সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, বিজিবি-কোস্টগার্ড লাশটি উদ্ধার করেছে।

বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.

আশিকুর রহমান বলেন, সাগরে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার হয়। সেটি কূলে নিয়ে আসার পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের লাশ উদ্ধার হলেও এখন পর্যন্ত ১১ জন রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সদস য র

এছাড়াও পড়ুন:

খামেনিকে হত্যায় ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দেন ট্রাম্প

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এমন সময় এ খবর সামনে এসেছে, যখন ইরানে চালানো হামলার প্রথম দিনই দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।

মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না। যতক্ষণ না তারা তা করছে, ততক্ষণ আমরা রাজনৈতিক নেতৃত্বের পেছনে লাগার বিষয়ে, এমনকি আলাপও করছি না।’

খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার ফক্স নিউজকে বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’

ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’

নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ