ভেসে এল সাগরে নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের লাশ
Published: 23rd, March 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গাদের নিয়ে ডুবে যাওয়া একটি নৌযানে উদ্ধার অভিযান চালাতে গিয়ে সাগরে নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের জিরো পয়েন্ট সৈকত এলাকায় লাশটি ভেসে আসে।
গতকাল শনিবার ভোরে সাগরে পড়ে নিখোঁজ হন বিজিবির ওই সদস্য। একই দুর্ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় টেকনাফে নাফ নদীর দমদমিয়া এলাকা থেকে এক শিশুসহ চার রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার হলো।
নিহত বিজিবি সদস্যের নাম মোহাম্মদ বেলাল। তিনি শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত ফাঁড়িতে সেপাই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরের কাজিয়াতল এলাকায়। তাঁর দুটি মেয়েসন্তান রয়েছে।
বিজিবি জানায়, গতকাল ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া ঘাটের কাছ দিয়ে রোহিঙ্গাদের একটি নৌকা অবৈধভাবে সাগরপথে বাংলাদেশে আসছিল। পথে প্রবল স্রোতে নৌকাটি উল্টে যায়। খবর পেয়ে সৈকতের পাশে কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যরা তৎক্ষণাৎ স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। তাঁরা ২৪ জন রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করেন। উদ্ধারকাজ চলাকালে সমুদ্র উত্তাল ছিল। এ সময় বিজিবির সদস্য মোহাম্মদ বেলাল পা পিছলে সাগরে পড়ে যান।
এ ঘটনার পর থেকে বিজিবি-কোস্টগার্ড নিখোঁজ বেলালকে উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে আসছিলেন। স্থানীয় জেলেরাও নৌকা নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালান। এর মধ্যে আজ দুপুরে লাশটি সাগরে ভাসতে দেখা যায়। সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, বিজিবি-কোস্টগার্ড লাশটি উদ্ধার করেছে।
বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.
টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের লাশ উদ্ধার হলেও এখন পর্যন্ত ১১ জন রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস য র
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।
মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।
ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।
তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।
এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।