মাদারীপুরে নিহত শ্রমিক দল নেতার লাশ নিয়ে বিক্ষোভ, শ্রমিক দলের সব কমিটি বিলুপ্ত
Published: 24th, March 2025 GMT
মাদারীপুরে নিহত সদর উপজেলার শ্রমিক দলের সভাপতি শাকিল মুনশির লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। এ সময় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমানের প্রত্যাহারের দাবিও করেছেন তাঁরা।
আজ সোমবার বিকেলে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিহত শাকিলের ময়নাতদন্ত শেষে হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখান থেকে স্বজন ও এলাকাবাসী লাশ নিয়ে শাকিলের গ্রামের বাড়ি যান। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
নিহত শাকিল মুনশি (৩৩) মাদারীপুর সদর উপজেলার নতুন মাদারীপুর এলাকার মোফাজ্জেল মুনশির ছেলে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের নতুন মাদারীপুর এলাকায় শ্রমিক দলের একটি কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শাকিল মুনশিকে কুপিয়ে হত্যা করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত লিটন হাওলাদার শহরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকার মফেজ হাওলাদারের ছেলে ও আরেক অভিযুক্ত লিটনের ভাতিজা আল আমিন হাওলাদার একই এলাকার আলমগীর হাওলাদারের ছেলে।
নিহত শাকিল মুনশির মেজ ভাই রাজু হাওলাদার বলেন, ‘আমার ভাইকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত তাঁদের পুলিশ ধরছে না। তাঁদের পালানোর কাজে থানার ওসি সহযোগিতা করছেন। আমরা ওসির প্রত্যাহার চাই। একই সঙ্গে আমার ভাইকে যাঁরা খুন করেছেন, তাঁদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’
মাদারীপুর সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শাকিল মুনশিকে কুপিয়ে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে তাঁকে দেখতে হাসপাতালে ভিড় করেন স্বজন ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা। রোববার রাতে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদর উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
জর্ডানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে জর্ডানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। বিশেষ করে, রাতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৫ জুন) দূতাবাসের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জর্ডানের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি বিবেচনায় যেকোনো সময় নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করতে পারে। সে কারণে বাংলাদেশিদের স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা ও সতর্কতামূলক বার্তা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সাইরেন বাজালে তাৎক্ষণিকভাবে কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
জরুরি প্রয়োজনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একাধিক হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে +৯৬২৭৮১৬৪০০৮১ (হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমো) নম্বরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাস এ সংকটকালে সব প্রবাসী বাংলাদেশিকে সচেতন ও সতর্ক থেকে চলাফেরা করার পাশাপাশি যেকোনো প্রয়োজনে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে।
ঢাকা/হাসান/রফিক