এবারের রমজানে ডিমের দাম কমায় ভোক্তারা খুশি হলেও বিভিন্ন পর্যায়ের পোলট্রি খামারিরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। এ পরিস্থিতিতে ডিমের সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণসহ ছয়টি প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)।

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিপিআইসিসি ও ওয়ার্ল্ডস পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবগুলো তুলে ধরে। ছয় প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে– সরকারিভাবে ডিম-মুরগির ‘সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য’ নির্ধারণের পাশাপাশি ‘সর্বনিম্ন মূল্য’ নির্ধারণ; কোল্ডস্টোরেজে ডিম সংরক্ষণের সরকারি বাধা প্রত্যাহার; অফ-সিজনে তৃণমূল খামারির জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা; ফিডের দাম কমানো; ডিম-মুরগির উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিপণনবিষয়ক কৌশলপত্র প্রণয়ন এবং স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়া নিশ্চিত করা।

ওয়াপসা-বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিটি ডিম ১০ থেকে সাড়ে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঢাকা, ময়মনসিংহসহ আশপাশের এলাকায় খামার পর্যায়ে প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে গড়ে ৮.

৫০ টাকায়; অন্যদিকে টাঙ্গাইল, নরসিংদীসহ অন্য জেলায় বিক্রি হচ্ছে গড়ে ৮ টাকায়। অথচ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রতিটি ডিমের দাম নির্ধারণ করেছে খামার পর্যায়ে ১০.৫৮ টাকা, পাইকারিতে ১১.০১ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ১১.৮৭ টাকা (সংযুক্তি)। প্রতি ডিমের উৎপাদন খরচ ধরা হয়েছে ১০.১৯ টাকা। সে হিসাবে প্রতিটি ডিম বিক্রি করে খামারির লোকসান হচ্ছে গড়ে প্রায় ১.৬৯ থেকে ২.১৯ টাকা। ডিমের দৈনিক উৎপাদন সাড়ে ৪ কোটি পিস ধরলে গত ২১ দিনে খামারির লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫৯ থেকে ২০৬ কোটি টাকা। লোকসান সামাল দিতে না পেরে অনেক খামারি মুরগি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন, যা আশঙ্কাজনক। কারণ, রমজান শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত খুললে চাহিদা বাড়বে, তখন সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হলে দাম বাড়বে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিপ্লব কুমার প্রামাণিক, মো. নজরুল ইসলাম, আফতাব আলম, শাহ্ ফাহাদ হাবীব, আসাদুজ্জামান মেজবাহ, তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর য য়

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের পতাকা বুকে নিয়ে কানাডার লিগে শমিত

বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ করেই কানাডা ফিরে গেছেন শমিত শোম। জাতীয় দলের দায়িত্ব শেষ করে এবার ব্যস্ত ক্লাব ফুটবলে। গতকাল রাতেই তিনি মাঠে নেমেছেন নিজের ক্লাব ক্যাভালরি এফসির হয়ে।

ক্যাভালরি এফসি তাদের সামাজিক মাধ্যমে ১১ জন খেলোয়াড়ের একটি ছবি পোস্ট করেছে। সেখানে শমিতকে দেখা গেছে বাংলাদেশের পতাকাসহ জার্সিতে। ছবির ক্যাপশনে ১০টি দেশের পতাকার ইমোজি দেওয়া হয়, যার মধ্যে বাংলাদেশের পতাকা ছাড়াও আছে যুক্তরাজ্য (দুইবার), সোমালিয়া, জার্মানি, জ্যামাইকা, পোল্যান্ড, ইতালি, কলম্বিয়া, নিউজিল্যান্ড ও বেলজিয়ামের পতাকা। একই ছবি পোস্ট করা হয়েছে ক্লাবটির অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডল ও ফেসবুক পেজে।

পোস্টে শমিতকে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন অনেক ভক্ত। কেউ লিখেছেন, ‘আমাদের বাঘ শমিত শোম।’ মন্তব্যের ঘরে বেশিরভাগই বাংলাদেশি ভক্তদের। 

গত রাতে ওয়ান্ডারার গ্রাউন্ডসে অনুষ্ঠিত কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ক্যাভালরি এফসি ১-১ গোলে ড্র করেছে ওয়ান্ডারার্স এফসির সঙ্গে। ক্যাভালরির হয়ে গোল করেন ক্যানিগিয়া এলভা, আর ওয়ান্ডারার্সের পক্ষে স্কোর করেন তিয়াগো কোয়েম্বরা। এই ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন শমিত, খেলেছেন ৬৮ মিনিট। ১০ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে এখন লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে ক্যাভালরি। সমান ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আতলেতিকো।

এর আগে ১০ জুন ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ২-১ গোলে হারে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে শমিত সামাজিক মাধ্যমে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সতীর্থ, কোচিং স্টাফ, বাফুফে ও সমর্থকদের প্রতি।

বাংলাদেশের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পরবর্তী দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে অক্টোবরে। ৯ অক্টোবর হংকংকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ, এরপর ১৪ অক্টোবর তারা খেলবে হংকংয়ের মাঠে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ