আ.লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না
Published: 24th, March 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। আওয়ামী লীগকে একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। দলটির নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে আমরা সরকারের কাছে এই দাবি জানিয়েছি।
সোমবার নারায়ণগঞ্জে জেলা এনসিপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা সংস্কারের কথা বলছি। মানুষ আসলে পরিবর্তন চায়। আমরা দেখছি, বিভিন্ন পুরোনো বন্দোবস্তকেই সমর্থন দেওয়া হচ্ছে। সংস্কারে অনেকেরই অনাগ্রহ। যতই অনাগ্রহ থাকুক না কেন, আমরা যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছিলাম, তারা অবশ্যই পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করব।
এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, নারায়ণগঞ্জ সব আন্দোলন ও সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জুলাই আন্দোলনেও নারায়ণগঞ্জের ছাত্রছাত্রীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আমার অনেক ভাইবোন আহত হয়েছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টি একটি নতুন রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা মানুষের প্রত্যাশা, ভালোবাসা এবং সমর্থন নিয়েই নতুন রাজনীতি করতে চাই।
বক্তব্যে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, পুরো জনগোষ্ঠীর একটি ধারাবাহিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি। বাংলাদেশে একটি নতুন সংবিধান প্রয়োজন। সেই সংবিধান অর্জনের জন্য আমাদের অবশ্যই গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এই সংবিধান একটি প্রশ্নবিদ্ধ সংবিধান, অভিশপ্ত সংবিধান। এই সংবিধানের মধ্যে মানুষের মতামতের জায়গা রাখা হয়নি।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, ঐকমত্য কমিশনে অনেকেই গণপরিষদ নির্বাচনের বিরোধিতা করেছেন। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, গণপরিষদ নির্বাচন ব্যতীত বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন এই গণঅভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট ধারণ করবে না।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল আমিনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদস্য আহমেদুর রহমান তনু, শওকত আলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনস প জ ত য় ন গর ক প র ট ন হ দ ইসল ম র জন ত এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত
নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বন্দর প্রেসক্লাবের ২০২৫-২৭ মেয়াদের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বন্দর প্রেসক্লাবের নবাগত সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল আলম জাহিদের সঞ্চালনায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন। প্রধান আলোচক ছিলেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিআইডি) হারুন অর রশিদ, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আনিসুর রহমান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন মিয়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী প্রমুখ।
উদ্বোধকের বক্তব্যে সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, বন্দর প্রেসক্লাবের নবাগত কমিটির সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানায়। আজকে তিন বিষয়ে আজকে গুরুত্ব বহন করে। এক. পেশাগত নিয়ে তাদের সম্মান নিয়ে কথাটা, দুই. সাংবাদিকদের প্রশিক্ষিণের ব্যাপারটা, তিন. হলো আমাদের বিষয় নিয়ে।
সেটা হলো, বেগম খালেদা জিয়া সরকার মেয়াদকালে একটি সমানজ্জল্য পালন করতে পেরেছিলাম। আমাদের তখন স্বার্থক ছিলো বন্দর প্রেসক্লাবকে একটি জমি দিতে সক্ষম হয়েছিলাম। আজকের বন্দর প্রেসক্লাব সেটা স্বীকার করে নিলো সেটা কৃর্তত্ব আমার নয়, এটার কৃর্তত্ব বেগম খালেদা জিয়া। তিনি দিয়েছিলেন বলে আমাদের স্বার্থকতা পেলাম।
তিনি আরো বলেন, একটা কথা বিরাজমান, হলুদ সাংবাদিকতা। এই শব্দটা এখন ডেঙ্গু’র মত অবস্থা। এটা আমার কাছে দুঃখজনক অবস্থা যারা সৎ সাংবাদিকতা হিসেবে পেশাকে গ্রহণ করেছেন, করেন তাদের জন্য কষ্টকর বিষয়। আশা করবো, আপনাদের ঘর আপনাদের ঠিক রাখতে হবে। সংবাদ প্রকাশ করার আগে অবশ্যই যাচাই বাছাই করা উচিত।
সংবাদে বিশেষ বিশ্লেষণ করে প্রকাশ করা ভালো। একটি দুসময় আমরা পাড় হয়ে এসেছি। চার সংবাদপত্র ছাড়া বাকি বিলুপ্ত করা হয়েছিলো। এখন সাংবাদিক পেশা মহান হিসেবে ধরে রাখতে হবে। রাজনীতিবিদ সাথে সাংবাদিক সম্পর্ক পারিবারিকভাবে হয়ে যায়। আমাদের কর্মদক্ষতা সাংবাদিকরা লিখনী মাধ্যমে প্রকাশ করেন।
সাংবাদিকদের দক্ষতা কারণে আমাদের কাজের গতি বৃদ্ধি পায়। এই পেশা কারথে আমাদের উৎসাহ করে কাজ করার। বন্দর প্রেসক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের এখানে সাধারণ সম্পাদক আছেন, দুই প্রেসক্লাবই আমার নির্বাচনী এলাকার ভিতরে। আমার ব্যক্তিভাবে কোন প্রয়োজন হয়, তাহলে সকল কিছুতে প্রস্তুত।
প্রধান অতিথি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও পিআইডি সদস্য আবু সালেহ আকন বলেছেন, মফস্বল সাংবাদিক আর কেন্দ্রীয় সাংবাদিক বলে কিছু নেই। আমরা সবাই গণমাধ্যম কর্মী সবাই সাংবাদিক। তবে স্থানীয়ভাবে যারা পত্রিকাগুলোতে কাজ করেন তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করেন।
কিন্তু ঠিকমতো তারা বেতন ভাতা পান না। ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী তাদের বেতন ভাতা পরিশোধ করা হয় না। স্থানীয় সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন ভাতা পরিশোধ করা উচিত। যে সমস্ত পত্রিকা ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের ব্যর্থ সেগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।