চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে একক সম্পত্তি বানানোর প্রবণতা চলছে
Published: 26th, March 2025 GMT
গত সাড়ে ১৫ বছর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে একপেশে করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়বাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে আওয়ামী লীগ একক সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছিল। আমরা চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সেইরকম একটা প্রবণতা লক্ষ্য করছি।”
বুধবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন এনসিপির নেতারা
বিজয় দিবসে নিরাপত্তা ঝুুঁকি নেই: ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি
নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করে একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে। তারা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট শ্রেণিগোষ্ঠীতে আবদ্ধ হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “আপনারা দেখবেন, নতুন রাজনৈতিক দলের অভিষেক অনুষ্ঠান ও তাদের যে ইফতার পার্টি হয়েছিল, সেখানে গণঅভ্যুত্থানের শহীদ মুগ্ধ ও শহীদ আবু সাঈদের নাম বারবার বলা হয়েছে। শহীদ ওয়াসিমের নামটি বাদ দেওয়া হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। কারণ তিনি ছাত্রদলের নেতা ছিলেন।”
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা দাবি করে যে রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়েছে, তারাও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের যে ইতিহাস সেটিকে বিনষ্ট করছে। যেভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ ইতিহাসকে একপেশে করেছিল।”
নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, “আমরা আজকের এই দিনে মনে করছি, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে যেমন সবার জানা উচিত, একইভাবে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের যে প্লট, যে ঘটনাগুলো সেগুলোও দেশবাসীকে জানানো উচিৎ। সেই ঘটনা কোনোভাবেই একপেশে হওয়া উচিৎ নয়।”
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল গণঅভ য ত থ ন র
এছাড়াও পড়ুন:
সনদ বাস্তবায়নে আবারো কমিশনের সভা আয়োজনের দাবি
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন অধ্যাদেশ ২০২৫-এর সুপারিশ চূড়ান্ত করতে আবারো ঐকমত্য কমিশনের সভার আয়োজন করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর তোপখানা রোডে নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম এ দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “জুলাই অভুত্থান থেকে উঠে আসা সংস্কার আকাঙ্খা বাস্তবায়নের জন্য দীর্ঘ পাঁচ মাস যাবৎ ঐকমত্য সভায় আলাপ আলোচনার পর ঐক্য কমিশন তার জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে। ঐক্য কমিশন যে ঐক্যকে সামনে রেখে প্রায় এক বছর যাবৎ তাদের কার্যক্রম চালিয়ে গেছে বাস্তবায়নের সুপারিশ সেই ঐক্যকে একটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে নিয়ে ফেলেছে।
‘চ্যালেঞ্জের মূল কারণ হচ্ছে ঐক্য কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যেটুকু আলোচনা হয়েছিল সেখানে এই প্রস্তাবে উল্লেখিত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া উপস্থাপন করা হয় নাই। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছনোর পর যদি এই প্রস্তাব জাতির সামনে হাজির করা হতো সেক্ষেত্রে এই চ্যালেঞ্জ আমরা পরিহার করতে পারতাম।”
এতে আরো বলা হয়, “ঐকমত্য কমিশনে বাস্তবায়ন নিয়ে আলাপে রাজনৈতিক দলগুলো গণভোটের মাধ্যমে পরবর্তী সংসদকে সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছিল কিন্তু যেসব প্রস্তাবে কিছু কিছু দল আপত্তি জানিয়েছিল সেগুলো কিভাবে বাস্তবায়ন হবে সেই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয় নাই।
‘এমতাবস্থায় সংস্কার প্রস্তাবে লিপিবদ্ধ আপত্তির বিষয়গুলোকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ থাকে মুছে দেওয়াতে স্বাভাবিক কারণেই রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মনে করে দ্রুত আমরা এই সুপারিশ থেকে বের হয়ে না আসলে রাজনৈতিক দলগুলোর এক অংশের ভেতরের যৌক্তিক ক্ষোভ পরবর্তীতে দেশের মানুষের ভেতর সঞ্চালিত হয়ে পড়বে।”
এতে বলা হয়, “সারা দেশের মানুষ যখন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে তখন রাজনৈতিক দলগুলোর একাংশের প্রতি কৃত অন্যায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে। আর নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠলে দেশ অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে এবং দেশের মানুষকে স্বৈরাচার সরকারের সময়ের চাইতে উন্নত কোনো জীবন উপহার দেওয়ার সুযোগ হারিয়ে যাবে।
‘বাংলাদেশ যাতে এই সংকটে গিয়ে না পড়ে সেজন্যে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, ঐক্য কমিশনকে দ্রুত তাদের এই সুপারিশ নিয়ে পুনরায় রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ঐকমত্য সভার আয়োজন করার দাবি জানাচ্ছে। সংবিধান টেকসই এবং সর্বজনীন করার জন্য তাড়াহুড়া করা থেকে বিরত থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানোই দেশ কাল ভেদে সংবিধান সংস্কারের একমাত্র পথ।”
“আমরা আশা করি ঐকমত্য কমিশন সঠিক বিবেচনাবোধকে গুরুত্ব দিয়ে দেশকে আসন্ন সংকট থেকে মুক্ত রাখতে প্রয়াস নেবে।” আশাবাদ ব্যক্ত করে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এস