শিগগিরই ঘরে আসছে নতুন অতিথি। সেই অতিথির জন্য সবকিছুই চাই নতুন– সেই ভাবনা থেকেই নতুন বাড়ির আবদার কিয়ারা আদভানির। এই বলিউড অভিনেত্রী ঠিকানা বদলে নতুন বাড়িতে যাওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন তাঁর স্বামী অভিনেতা সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। শুধু তাই নয়, এরই মধ্যে নতুন বাড়ি খোঁজা শুরু করে দিয়েছেন এই তারকা দম্পতি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, ২৬ মার্চ কিয়ারা ও সিদ্ধার্থ মুম্বাইয়ে নতুন বাড়ি খুঁজতে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় যেসব ছবিশিকারি তাদের পিছু নিয়েছিলেন, তারা দাবি করেছেন, ভাড়া নয়, নতুন একটি বাড়ি কিনে ফেলেছেন এই তারকা দম্পতি। আর সেই বাড়ির অন্দরসজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের স্ত্রী গৌরী খান। তাদের সঙ্গে গৌরীকে দেখামাত্রই শুরু হয়েছে জল্পনা, তা হলে হবু সন্তানের ঘরের সাজসজ্জার দায়িত্ব গৌরীকে দিতে চান তারকা দম্পতি! নিমেষে ছড়িয়ে যায় এই ভিডিও।
এ দিন কিয়ারার পরণে ছিল কালো প্যান্ট ও গোলাপি রঙের জামা। সিদ্ধার্থকে জলপাই রঙের কার্গো প্যান্ট এবং নীল শার্ট পরতে দেখা যাচ্ছে। দু’জনেরই মুখে ছিল মাস্ক। তারপরও এই তারকা দম্পতিকে চিনে নিতে কষ্ট হয়নি কারও। সেসব অনুরাগীদের মতো আগের চেয়ে কিয়ারার ওজন অনেকটা বেড়েছে। তবে সিদ্ধার্থ আছেন এ রকম।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন অতিথি আসার সুখবর দিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আদভানি। জানিয়েছিলেন সমাজমাধ্যমে ছোট্ট এক জোড়া মোজার ছবি পোস্ট করে তারকা দম্পতি জানিয়েছেন, এবার দুই থেকে তিন হতে চলেছেন তারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক য় র আদভ ন নত ন ব ড়
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।