নিলামে দল না পাওয়া শার্দুলই এখন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি!
Published: 28th, March 2025 GMT
নিলামে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহ দেখায়নি, আইপিএলে খেলার সম্ভাবনাও ছিল ক্ষীণ। তবে পরিবর্তন খেলোয়াড় হিসেবে সুযোগ পেয়েই লখনৌ সুপার জায়ান্টসের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করছেন শার্দুল ঠাকুর। শুধু ভালো বোলিংই নয়, আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর পার্পল ক্যাপ এখন তার মাথায়। নিজের সাফল্যের কৃতিত্ব তিনি দিচ্ছেন লখনৌর মেন্টর জহির খানকে।
মহসিন খানের চোটের কারণে লখনৌ শার্দুলকে দলে নেয়। তবে তার আগে থেকেই এলএসজি ম্যানেজমেন্ট তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। নেট বোলার হিসেবে তাকে আমন্ত্রণ জানান জহির খান। শার্দুলের প্রতি আলাদা নজরও রেখেছিলেন তিনি। সুযোগ আসতেই সেটাকে কাজে লাগিয়ে ৭ ম্যাচ শেষে তিনি এখন আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
হায়দরাবাদে বৃহস্পতিবার সানরাইজার্সকে ৫ উইকেটে হারানোর ম্যাচেও দারুণ অবদান রাখেন শার্দুল। ১৯০ রানে প্রতিপক্ষকে থামাতে ৩৪ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। তার বোলিংয়ের কল্যাণে লখনৌ ২০০ রানের নিচে লক্ষ্য পায় এবং মিচেল মার্শ (৩১ বলে ৫১) ও নিকোলাস পুরানের (২৬ বলে ৭০) ঝড়ে ২৩ বল আগে ম্যাচ জিতে নেয়।
ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে শার্দুল বলেন, ‘আইপিএলে দল না পাওয়ায় আমি ইংল্যান্ডে গিয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলার পরিকল্পনা করেছিলাম। রঞ্জি ট্রফি চলাকালে জহির খান আমাকে ফোন করে বলেছিলেন ‘তোমাকে বিকল্প খেলোয়াড় হিসেবে ডাকা হতে পারে, তাই আশা ছাড়ো না।’ তার কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমি প্রস্তুতি চালিয়ে গেছি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
আরেকটি সংকট ভুয়া সমন্বয়ক: দুদক চেয়ারম্যান
ভুয়া সমন্বয়কদের বিষয়ে সতর্ক করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর হঠাৎ করে একটি বাহিনীর আবির্ভাব ঘটেছিল, যেটাকে বলা হতো সিক্সটিন ডিভিশন। এখন আরেকটি সংকট হলো ভুয়া সমন্বয়ক। আপনাদের এখনই প্রতিরোধ শুরু করতে হবে, নইলে ভবিষ্যতে বড় সংকট হবে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউস মিলনায়তনে ‘দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত নাগরিক সেবা ও সেবার মানোন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। বরিশাল বিভাগে কর্মরত সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের এখন বড় সুযোগ সামনে এসেছে। কারণ, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রয়েছে, যার কোনো রাজনৈতিক পক্ষপাত নেই। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না থাকলে আমাদের কাজের পরিবেশ অনেক ভালো হয়।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকার পালিয়ে যায়, সরকার চলে যায়। কিন্তু আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক অবক্ষয় এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ সেবা নিশ্চিত করাই দুদকের মূল লক্ষ্য। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।’
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওসার। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন, বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মো. মঞ্জুর মোরশেদ, জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন দুদেকর বিভাগীয় পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার।
মতবিনিময় সভায় দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা অনেক সময় বলি, প্রশাসন রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। কিন্তু আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, বিষয়টি উল্টো। আমরাই বরং রাজনীতিবিদদের কাছে যাই। যদি আমরা একটি নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকতে পারি, তাহলে পরিবর্তন আনা খুব সহজ হবে।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘কারও পক্ষ নেওয়া আমাদের জন্য ভালো নয়। আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষ সেবা দেওয়া। আমরা সেই দায়িত্ব নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি একটা স্ট্যান্ড নিতে পারি, স্ট্যান্ড নিতে পারলে আমরা পরিবর্তন আনতে পারি। এই পরিবর্তন আমাদের এবং আপনাদের পক্ষে আনা খুব সহজ। আমার মনে হচ্ছে, আমরা একটা সুবর্ণ সুযোগ পাচ্ছি।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগামী নির্বাচন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতিকে একটি ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেখানে আমাদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।’
মতবিনিময় সভায় দুদকের কাজের ধরন নিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের উচিত ভবিষ্যতের দুর্নীতি প্রতিরোধে বেশি কাজ করা। আগের দুর্নীতি নিয়ে কম সময় ব্যয় করা দরকার। আমরা শতভাগ সময় অতীতের দুর্নীতি তদন্তে ব্যয় করি, এটা আমাদের ভুল। এই ভুল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’