পৃথিবীর যে কোনো দেশে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে শরীয়তপুরের অন্তত ৩০টি গ্রামে সুরেশ্বরীর (রহ.) ভক্ত-অনুসারীরা আজ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। 

রবিবার (৩০ মার্চ) সকালে নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবার শরীফের মাঠে হাজারো মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন।

জানা যায়, জান শরীফ শাহ সুরেশ্বরী নামে এক সুফি সাধকের ভক্ত ও অনুরাগীরা শত বছর ধরে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন। জেলায় সুরেশ্বর, কেদারপুর, চাকধসহ অন্তত ৩০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ জান শরীফ শাহ সুরেশ্বরীর অনুসারী রয়েছে। রবিবার সকালে সুরেশ্বর দরবার শরীফের মাঠে তারা ঈদের নামাজ আদায় করেন। প্রতি বছরের মতো এ বছরও সুরেশ্বর দরবার শরীফে নির্দিষ্ট সময়ে পৃথক মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজের দুইটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন শাহ সুফি সৈয়দ বেলাল নূরী আল সুরেশ্বরী ও মাওলানা মো.

জুলহাস উদ্দিন।

শাহ সুফি সৈয়দ বেলাল নূরী বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি পৃথিবীতে এক চাঁদ এক সূর্য। তাই বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে আমরা তার উপর নির্ভর করে রোজা ও ঈদ উদযাপন করি। এতে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের সঙ্গে মিলে যায়।’’ 

সাইফুল//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স র শ বর

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে অঝোরে বৃষ্টি, রাস্তায় পানি, আশঙ্কা পাহাড়ধসের

চট্টগ্রাম নগরে আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে নগরের কয়েকটি এলাকায় পানি জমে গেছে। ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ভোর পাঁচটার দিকে চট্টগ্রামে বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল ৯টা নাগাদ বৃষ্টির তীব্রতা বেড়ে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি ঝরছে।

টানা বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম নগরের সড়কগুলোয় যানবাহনের সংখ্যা বেশ কম দেখা গেছে। ব্যস্ততম মোড়গুলোয় যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশা আর রিকশাও ছিল কম। এতে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী মানুষজন। এ ছাড়া সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে যেতে যেসব অভিভাবক বাইরে বের হয়েছেন, তাঁদেরও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায়। দীর্ঘ সময় পর যানবাহন পেলেও অনেকে বাড়তি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে ছোটেন।

আবহাওয়ায় অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের পতেঙ্গা কার্যালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা) চট্টগ্রামে ৫৭ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আরও দুই থেকে তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামে পাহাড় ও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সড়কে পানি জমেছে। এ কে খান সি–গেট এলাকা, চট্টগ্রাম, ৩১ জুলাই, সকাল সাড়ে ১০টায় তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ