মিয়ানমারের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রবিবার এক হাজার ৭০০ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। 

বিবিসি জানিয়েছে, বিদেশী উদ্ধারকারী দল এবং ত্রাণ সংস্থাগুলো মিয়ানমারে ছুটে যেতে শুরু করেছে। ভারত, চীন এবং থাইল্যান্ড ত্রাণ সামগ্রী ও উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। পাশাপাশি মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও রাশিয়া থেকেও  ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মী কর্মী এসে পৌঁছেছে।

সামরিক সরকার জানিয়েছে, গত এক শতাব্দির মধ্যে মিয়ানমারের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এক হাজার ৭০০ জন নিহত, তিন হাজার ৪০০ জন আহত এবং ৩০০ জনেরও বেশি নিখোঁজ রয়েছে।

আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য বিরল আহ্বান জানানোর তিন দিন পর জান্তা প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে এবং তার প্রশাসন একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে। 

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ এক বিবৃতিতে বলেছে, “ব্যাপক ধ্বংস হয়েছে এবং মানবিক চাহিদা প্রতি ঘণ্টায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বর্ষাকাল ঘনিয়ে আসার মতো দ্বিতীয় সংকট দেখা দেওয়ার আগে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়গুলোকে স্থিতিশীল করার জরুরি প্রয়োজন।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয়: মেক্সিকোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল পেরু

পেরুর সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেটসি শ্যাভেজকে মেক্সিকোর দূতাবাসে আশ্রয় দেওয়ায় উত্তর আমেরিকার দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরু। সোমবার (৩ অক্টোবর) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হগো দে জেলা এই ঘোষণা দেন। 

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হগো দে জেলা সাংবাদিকদের জানান, পেরুর কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন যে, সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্টিলোর অধীনে দায়িত্ব পালনকারী বেটসি শ্যাভেজ লিমায় অবস্থিত মেক্সিকান দূতাবাসে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন।

দে জেলা বলেন, “এই অপ্রীতিকর কাজের প্রতিক্রিয়ায় এবং মেক্সিকোর বর্তমান ও সাবেক প্রেসিডেন্টদের বারবার পেরুর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে, পেরু সরকার আজ মেক্সিকোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্যাভেজ ২০২২ সালের শেষের দিকে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্টিলোর কংগ্রেস ভেঙে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছিলেন। কাস্টিলকে সেই সময় ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল এবং তিনি এখনও গ্রেপ্তার আছেন।

শ্যাভেজ ২০২৩ সালের জুন থেকে কারাবন্দী ছিলেন, কিন্তু তার বিচার চলাকালীন গত সেপ্টেম্বরে একজন বিচারক তাকে মুক্তি দেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ