Samakal:
2025-08-01@04:35:43 GMT

আইফোন কি তবে ফোল্ডেবল হবে

Published: 6th, April 2025 GMT

আইফোন কি তবে ফোল্ডেবল হবে

নতুন ঘরানার ডিভাইস উদ্ভাবনে অ্যাপল সব সময়ই ভিন্নতা নিশ্চিত করে। ইতোমধ্যে ফোল্ডেবল আইফোন নিয়ে সারাবিশ্বে বইছে হইচই। ভাঁজযোগ্য নতুন আইফোন এলে দাম কেমন হবে, তা নিয়েও চলছে বিস্তর জল্পনা-কল্পনা। অনেকে আবার ডিজাইন নিয়ে ভাবনায় ডুবেছেন।
যদিও অ্যাপল এখনও ফোল্ডেবল আইফোন উদ্ভাবন বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেনি। ডিজিটাল গ্যাজেট বিশেষজ্ঞ মার্ক গুরম্যান ফোল্ডেবল আইফোন-সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য উন্মোচন করেছেন। অতীতে অ্যাপল নিজের ঘোষণার আগেই আইফোনবিষয়ক ঠিকঠাক খবর দিয়েছেন গুরম্যান।
সুতরাং ফোল্ডেবল আইফোন নিয়ে তাঁর দেওয়া তথ্যকে কোনোভাবেই ভিত্তিহীন 
বলা যায় না।
মার্ক গুরম্যান বলছেন, অ্যাপল উদ্ভাবিত ফোল্ডেবল আইফোন দৃশ্যমান হবে ২০২৬ সালে। সাধারণত বছরের যে সময়ে আইফোন উন্মোচিত হয়, ঠিক সে সময়েই তা উন্মোচন হতে পারে। ভাঁজযোগ্য আইফোন দেখতে অনেকটা স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড সিরিজের মতো হতে পারে। ডিভাইসটি আইফোন ১৭ এয়ার মডেলের মতো স্লিম হবে। ফলে ভাঁজযোগ্য আইফোন দেখতে অন্যসব ফোল্ডেবল স্মার্টফোনের তুলনায় দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় হবে। নতুন ডিজাইনে ফোল্ড অবস্থায় ৯.

২ মিলিমিটার চওড়া হতে পারে ফোল্ডেবল আইফোন। অন্যদিকে, আনফোল্ডেড অবস্থায় মডেলটি ৪.৬ মিলিমিটার চওড়া হতে পারে। সাইড প্যানেলে থাকতে পারে টাচ সেন্সর। আর শক্তি সঞ্চয়ে ব্যাটারির ক্ষমতা হতে পারে ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার।
অ্যাপল ফোল্ডেবল স্মার্টফোনের কত দাম হতে পারে, সে বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে। সে ইঙ্গিতও দিয়েছেন গুরম্যান। যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপল উদ্ভাবিত ফোল্ডেবল আইফোন মডেলের সম্ভাব্য দাম হতে পারে 
২ হাজার ৩০০ ডলার। অ্যাপল অবশ্য অতীতের মতো মডেল উন্মোচনের আগে কোনোভাবেই মডেল ও দামের বিষয়ে তেমন কোনো ধারণা দেওয়া থেকে সব সময়ের মতো নীরব ভূমিকা পালন করছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইফ ন অ য পল

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ