Samakal:
2025-11-03@02:03:42 GMT

আইফোন কি তবে ফোল্ডেবল হবে

Published: 6th, April 2025 GMT

আইফোন কি তবে ফোল্ডেবল হবে

নতুন ঘরানার ডিভাইস উদ্ভাবনে অ্যাপল সব সময়ই ভিন্নতা নিশ্চিত করে। ইতোমধ্যে ফোল্ডেবল আইফোন নিয়ে সারাবিশ্বে বইছে হইচই। ভাঁজযোগ্য নতুন আইফোন এলে দাম কেমন হবে, তা নিয়েও চলছে বিস্তর জল্পনা-কল্পনা। অনেকে আবার ডিজাইন নিয়ে ভাবনায় ডুবেছেন।
যদিও অ্যাপল এখনও ফোল্ডেবল আইফোন উদ্ভাবন বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেনি। ডিজিটাল গ্যাজেট বিশেষজ্ঞ মার্ক গুরম্যান ফোল্ডেবল আইফোন-সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য উন্মোচন করেছেন। অতীতে অ্যাপল নিজের ঘোষণার আগেই আইফোনবিষয়ক ঠিকঠাক খবর দিয়েছেন গুরম্যান।
সুতরাং ফোল্ডেবল আইফোন নিয়ে তাঁর দেওয়া তথ্যকে কোনোভাবেই ভিত্তিহীন 
বলা যায় না।
মার্ক গুরম্যান বলছেন, অ্যাপল উদ্ভাবিত ফোল্ডেবল আইফোন দৃশ্যমান হবে ২০২৬ সালে। সাধারণত বছরের যে সময়ে আইফোন উন্মোচিত হয়, ঠিক সে সময়েই তা উন্মোচন হতে পারে। ভাঁজযোগ্য আইফোন দেখতে অনেকটা স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড সিরিজের মতো হতে পারে। ডিভাইসটি আইফোন ১৭ এয়ার মডেলের মতো স্লিম হবে। ফলে ভাঁজযোগ্য আইফোন দেখতে অন্যসব ফোল্ডেবল স্মার্টফোনের তুলনায় দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় হবে। নতুন ডিজাইনে ফোল্ড অবস্থায় ৯.

২ মিলিমিটার চওড়া হতে পারে ফোল্ডেবল আইফোন। অন্যদিকে, আনফোল্ডেড অবস্থায় মডেলটি ৪.৬ মিলিমিটার চওড়া হতে পারে। সাইড প্যানেলে থাকতে পারে টাচ সেন্সর। আর শক্তি সঞ্চয়ে ব্যাটারির ক্ষমতা হতে পারে ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার।
অ্যাপল ফোল্ডেবল স্মার্টফোনের কত দাম হতে পারে, সে বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে। সে ইঙ্গিতও দিয়েছেন গুরম্যান। যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপল উদ্ভাবিত ফোল্ডেবল আইফোন মডেলের সম্ভাব্য দাম হতে পারে 
২ হাজার ৩০০ ডলার। অ্যাপল অবশ্য অতীতের মতো মডেল উন্মোচনের আগে কোনোভাবেই মডেল ও দামের বিষয়ে তেমন কোনো ধারণা দেওয়া থেকে সব সময়ের মতো নীরব ভূমিকা পালন করছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইফ ন অ য পল

এছাড়াও পড়ুন:

দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা

সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর শহরে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)–এর কাছ থেকে পালিয়ে আসা ক্ষুধার্ত এবং নির্যাতিত মানুষেরা বিভিন্ন সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতাগুলো বর্ণনা করছেন। তবে তাঁরা পালাতে পারলেও হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশের শহর ছিল রাজ্যটিতে সুদানি সেনাবাহিনীর সর্বশেষ ঘাঁটি। গত রোববার আরএসএফ বাহিনী এটির দখল নেয়। এরপর থেকে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা স্থানীয় মানুষের পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এরই মধ্যে দারফুরে ধর্ষণ, মুক্তিপণ ও গণহত্যাসহ অন্যান্য নির্যাতনের কথা সামনে আসছে।

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ইসমাইল বলেন, ‘খার্তুমের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন এমন একজন তরুণ সেখানে ছিলেন। তিনি তাঁদের বললেন, “ওকে হত্যা করো না”। এরপর তাঁরা আমার সঙ্গে থাকা সব তরুণ ও আমার বন্ধুদের হত্যা করেন।’

তাবিলা এলাকায় পালিয়ে আসা অন্য নাগরিকেরাও তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তেমনই একজন তাহানি হাসান। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই তাঁরা সেখানে হাজির হলেন। কোথা থেকে এলেন জানি না। ভিন্ন ভিন্ন বয়সী তিন তরুণকে দেখা গেল। তাঁরা আকাশে গুলি ছুড়লেন এবং বললেন, ‘থামো, থামো’। তাঁরা আরএসএফের পোশাকে ছিলেন।’

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। আলখেইর বলেছেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত ব্যক্তি হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তাহানি হাসান বলেন, ‘এই তরুণেরা আমাদের বেধড়ক মারধর করেছেন। আমাদের পোশাক মাটিতে ছুড়ে ফেলেছেন। এমনকি আমি একজন নারী হওয়ার পরও আমাকে তল্লাশি করা হয়েছে। হামলাকারীরা সম্ভবত বয়সে আমার মেয়ের চেয়েও ছোট হবে।’

ফাতিমা আবদুলরহিম তাঁর নাতি–নাতনিদের সঙ্গে তাবিলাতে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, পাঁচ দিন ধরে অনেক কষ্ট করে হেঁটে তাবিলাতে পৌঁছাতে পেরেছেন।

ফাতিমা বলেন, ‘তাঁরা (আরএসএফের সদস্যরা) ছেলেশিশুগুলোকে মারলেন এবং আমাদের সব সম্পদ কেড়ে নিলেন। আমাদের কিছুই রাখা হলো না। আমরা এখানে পৌঁছানোর পর জানতে পারলাম, আমাদের পর যেসব মেয়ে এসেছে, তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে আমাদের মেয়েরা বেঁচে গেছে।’

পালিয়ে আসা তরুণী রাওয়া আবদাল্লা বলেছেন, তাঁর বাবা নিখোঁজ।

গত বুধবার রাতে দেওয়া এক বক্তৃতায় আরএসএফের প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালো বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তাঁর যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। হামদান ‘হেমেদতি’ নামেও পরিচিত।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানি সেনাদের সঙ্গে আরএসএফ সদস্যদের লড়াই চলছে। গত বৃহস্পতিবার আরএসএফ দাবি করে, নির্যাতনের অভিযোগে বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে আটক করেছে তারা।

তবে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার সাধারণ নাগরিকদের ওপর আরএসএফ সদস্যদের নিপীড়নের অভিযোগ তদন্তে বাহিনীটির দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরএসএফের একজন উচ্চপদস্থ কমান্ডার এই ঘটনাগুলো ‘গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর দাবি, এল–ফাশেরে নিজেদের পরাজয় ও ক্ষয়ক্ষতি আড়াল করতে সেনাবাহিনী এবং তাদের মিত্ররা এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, এ সংঘাত চলাকালে আরএসএফ ও সেনাবাহিনী—দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সংঘাতকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। বিরাজ করছে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের অবস্থা। পাশাপাশি কলেরা ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের সংক্রমণ বাড়ছে।

দারফুর থেকে পালিয়ে আসা লোকজন তাবিলা এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ