‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের আরেক সহযোগী গ্রেপ্তার
Published: 7th, April 2025 GMT
চট্টগ্রামে জোড়া খুনের মামলায় ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেনের আরেক সহযোগীকে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্তের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নাম মো. সজীব (২৯)। গতকাল রোববার রাতে জেলার ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে মো. মানিক ও বেলাল নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে জোড়া খুনের মামলায় গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যা দাঁড়াল ৩। তবে ঘটনায় ব্যবহৃত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
জোড়া খুনের ঘটনাটি ঘটে গত ২৯ মার্চ রাতে। ওই দিন রুপালি রঙের একটি প্রাইভেট কার কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে বাকলিয়া অ্যাকসেস রোডে আসতে থাকে। গাড়িটি শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর পেছন থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেল সেটিকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। প্রাইভেট কারের ভেতর থেকেও মোটরসাইকেল আরোহীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। গুলিতে অনেকটা ঝাঁঝরা হয়ে যায় গাড়িটি। নিহত ব্যক্তিরা হলেন বখতিয়ার হোসেন (৩০) ও মো.
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের করা মামলায় বলা হয়েছে, দুই সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ ও সরোয়ার হোসেনের বিরোধের জের ধরে আলোচিত জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী করে ক্ষুব্ধ হয়ে সরোয়ার ও তাঁর অনুসারীদের ওপর এই হামলা চালানো হয়।
সন্ত্রাসী সাজ্জাদ, তাঁর স্ত্রী তামান্না শারমিনকে হুকুমের আসামিসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে গত মঙ্গলবার বাকলিয়া থানায় মামলা করেন নিহত বখতিয়ারের মা ফিরোজা বেগম। মামলার বাকি পাঁচ আসামি হলেন মো. হাছান, মোবারক হোসেন, মো. খোরশেদ, মো. রায়হান ও মো. বোরহান। তাঁরা সবাই সাজ্জাদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। পরে পুলিশ গত বুধবার রাতে মো. বেলাল ও মো. মানিক নামের দুজনকে সিসিটিভি ক্যামেরায় শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে।
বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িত সজীবকে শনাক্ত করা হয়। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ফটিকছড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক আরও বলেন, গ্রেপ্তার সজীব ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
এদের কোনো দিন শিক্ষা হবে না
আগের পর্বআরও পড়ুন‘বাংলাদেশের কি সুপারফোরে ওঠার চান্স আছে?’১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫