বাংলাদেশের মাটিতে আসন্ন দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজকে ঘিরে ১৫ সদস্যের শক্তিশালী স্কোয়াড ঘোষণা করেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড। ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেছেন দলের অন্যতম অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শন উইলিয়ামস। পাশাপাশি অধিনায়ক হিসেবে দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ ক্রেইগ আরভিন।

চলতি বছরের শুরুর দিকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে শেষ মুহূর্তে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন আরভিন। সে ম্যাচে চোটের কারণে ছিলেন না উইলিয়ামসও। তবে এবার দুইজনই ফিরেছেন গুরুত্বপূর্ণ সফরে।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টেস্টে আরভিনের বদলি হিসেবে খেলা ওয়েসলি মাধেভেরে জায়গা ধরে রেখেছেন স্কোয়াডে। তবে সেই ম্যাচের দল থেকে তিনটি পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশ সফরের দলে।

দুই বছর পর উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসেবে দলে জায়গা পেয়েছেন তাফাদজওয়া সিগা। জায়গা হারিয়েছেন জয়লর্ড গাম্বি। অন্যদিকে বামহাতি স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ফিরেছেন নিউম্যান নিয়ামুরির জায়গায়। সর্বশেষ ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছিলেন মাসাকাদজা।

ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ইতিহাস গড়া ব্লেসিং মুজারাবানি আবারও পেস আক্রমণে নেতৃত্ব দেবেন। সে ম্যাচে এক ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়ে নজর কেড়েছিলেন তিনি। পেস ইউনিটে তাকে সঙ্গ দেবেন রিচার্ড এনগারাভা। দলে একমাত্র এখনো অভিষিক্ত নন লেগ স্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসা।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির পর আবারও বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে আসছে জিম্বাবুয়ে। সফরের প্রথম ম্যাচটি ২০ এপ্রিল শুরু হবে সিলেটে, দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটি চট্টগ্রামে শুরু হবে ২৮ এপ্রিল। সর্বশেষ বাংলাদেশের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে এক ইনিংস ও ১০৬ রানে হেরেছিল জিম্বাবুয়ে।

জিম্বাবুয়ের টেস্ট স্কোয়াড: ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), ব্রায়ান বেনেট, জনাথন ক্যাম্পবেল, বেন কারান, ট্রেভর গুয়ান্ডো, ওয়েসলি মাধেভেরে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ভিনসেন্ট মাসেকেসা, নিয়াশা মায়াভো, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা, ভিক্টর নিয়াউচি, তাফাদজওয়া সিগা, নিকোলাস ওয়েলচ ও শন উইলিয়ামস।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আরভ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

ইরান থেকে তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনার অভিযোগে ৬টি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে মোট ২০টি প্রতিষ্ঠানকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, যাদের মধ্যে ভারতের ৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা এসব প্রতিষ্ঠান ইরানের পেট্রোলিয়াম পণ্য কেনাবেচা ও বিপণনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেনদেনে ইচ্ছাকৃতভাবে অংশ নিয়েছে। এতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিষয়ক নিষেধাজ্ঞা ভেঙেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, যেসব ভারতীয় কোম্পানির ওপর মার্কিন সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেগুলো হচ্ছে, অ্যালকেমিক্যাল সলিউশনস, গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস, জুপিটার ডাই কেম, রমনিকলাল এস গোসালিয়া অ্যান্ড কোম্পানি, পার্সিসটেন্ট পেট্রোকেম ও কাঞ্চন পলিমার্স।

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের

ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

 

নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে এবং মার্কিন নাগরিক ও কোম্পানিগুলো তাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না। এদের অধীন যেসব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি মালিকানা রয়েছে, তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।

ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ইরানের ‘ছায়া নৌবহর’ ও বিশ্বব্যাপী মধ্যস্বত্বভোগীদের দমন করা, যারা ইরানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য পরিবহনে সহায়তা করে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান থেকে এই ধরনের পণ্য কেনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো তেহরানকে অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর এই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে হিজবুল্লাহ, হুথি বিদ্রোহী, হামাসসহ অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় এবং যুদ্ধপরিস্থিতি উসকে দিতে। মার্কিন সরকারের মতে, ইরান সরকারের এই নীতিমালার কারণে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়ছে এবং এতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।

ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় কোম্পানি ছাড়াও তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ