চলন্ত ট্রাকের চাকা বিস্ফোরণের পর রিংয়ের আঘাতে বিচ্ছিন্ন হলো পথচারীর পা
Published: 8th, April 2025 GMT
নাটোরের বড়াইগ্রামে চলন্ত ট্রাকের চাকা বিস্ফোরণ হলে চাকার সঙ্গে থাকা লোহার রিং ছিটকে একজন পথচারীর পায়ে লাগে। এতে ওই পথচারীর ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বনপাড়া-কুষ্টিয়া মহাসড়কের বড়াইগ্রামের ধানাইদহ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত পথচারীর নাম দুলাল প্রামাণিক (৪২)। তিনি পার্শ্ববর্তী লালপুর উপজেলার কদিমচিলান ডাঙ্গাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন ইটভাটার শ্রমিক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় একটি ইটভাটায় কাজ সেরে দুলাল প্রামাণিক মহাসড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিআরবি ক্যাবলস–এর একটি ট্রাক কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় যাওয়ার সময় ওই স্থানে পৌঁছালে সামনের বাঁ পাশের চাকা বিস্ফোরণ হয়। এতে চাকার সঙ্গে থাকা লোহার রিং ছুটে গিয়ে দুলালের ডান পায়ের হাঁটুর নিচে লাগে। এতে তাঁর পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে সামান্য ঝুলে থাকে। স্থানীয় মানুষেরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে বনপাড়া আমেনা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, ঘটনার পর ট্রাকটি ফেলে চালক পালিয়ে গেছেন। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পথচ র র
এছাড়াও পড়ুন:
একজন মার্করাম, একটি সেঞ্চুরি এবং ২৭ বছর পর একটি ট্রফি
কে বেশি ক্লান্ত—ক্রিকেট না দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিকেটের ক্লান্তি দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছু দিতে না পারার আর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্লান্তি ক্রিকেটের কাছ থেকে বৈশ্বিক কোনো শিরোপা নিতে না পারার! অবশেষে ক্লান্তির সেই কবিতার ক্লাস শেষ হলো। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছু দিল অথবা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট খেলাটিকে দায়মুক্ত করল তার কাছ থেকে একটি বিশ্বকাপ নিয়ে! ক্রিকেটকে দায়মুক্ত করা বা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যর্থতার একঘেয়ে ক্লান্তি ঘোচানোর নায়ক কে? লর্ডসে ২০২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচটি বিশ্লেষণ করলে প্রশ্নটিকে অতীব সহজ মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। উত্তরটাও সবার এখন জানা। একবাক্যে সবাই বলবেন, নায়কের নাম এইডেন মার্করাম।
টেস্ট, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি—ক্রিকেটের যে সংস্করণের কথাই বলুন, দক্ষিণ আফ্রিকা খেলাটির অন্যতম পরাশক্তি। কিন্তু ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে হওয়া আইসিসি নকআউট ট্রফি (মিনি বিশ্বকাপ) ছাড়া আজকের আগপর্যন্ত কোনো বৈশ্বিক ট্রফি প্রোটিয়াদের ছিল না।
অবশেষে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার মাথায় বিশ্বসেরার মুকুট উঠল, ক্রিকেট-তীর্থ নামে পরিচিত লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক মেইস বা গদা তুলে ধরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই দলটির অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ২৭ বছর পর বড় কোনো টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকা বলতে গেলে একা হাতে শিরোপা জিতিয়েছেন মার্করাম। আরও স্পষ্ট করে বললে আসলে প্রোটিয়াদের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা এনে দিয়েছে মার্করামের ইতিবাচকতা, আত্মবিশ্বাস ও দায়িত্ব নিয়ে খেলার দৃঢ়তা।
ঠিক ১১ বছর আগে মার্করাম নিজেকে ঠিক এ রকম তিনটি শব্দেই বর্ণনা করেছিলেন। সালটা ২০১৪, সেবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ছিলেন মার্করাম। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আইসিসির এক অনুষ্ঠানে মার্করামকে প্রশ্ন করা হয়েছিল—নিজেকে তিনটি মাত্র শব্দে কীভাবে বোঝাবেন। উত্তর যেন মুখস্থ, এমনভাবেই ১৯ বছর বয়সী তরুণ মার্করামের উত্তর ছিল—ইতিবাচক, আত্মবিশ্বাসী ও দায়িত্ববান।
সেঞ্চুরির পর মার্করাম