, জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেরা দল 

২০২৩ বিশ্বকাপের পরপর দেশের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি সিরিজ খেলে লাল সবুজের দল। জয় তো দূরে থাক ড্র'ও করতে পারেনি টাইগাররা।

এবার বাংলাদেশ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে। সিলেট ও চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে দলটি। প্রথম টেস্টের জন্য মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের মিশেলে শক্তিশালী দল গঠন করেছে বিসিবি। ইনজুরির কারণে দলে নেই তাসকিন আহমেদ আর পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) জন্য ছুটিতে থাকায় লিটন দাসকে রাখা হয়নি।

সবমিলিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শক্তিশালী দল গঠনের কারণ ব্যাখা করেছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। দেশের মাঠে গত এক বছরের বাজে পারফরম্যান্স থেকে বেরিয়ে আসতেই মূলত এমন দল গড়া।

লিপু বলেন, “গত এক বছরে আমাদের দেশের পারফরম্যান্স নিয়ে আমরা যথেষ্ট চিন্তিত। সেকারণে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে আমাদের সম্ভাব্য সেরা দলটি নিয়ে আমরা খেলার চেষ্টা করছি।” 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ সব মিলিয়ে ১৮টি টেস্ট খেলেছে। তাতে শান্তরা জয় পেয়েছেন ৮টিতে আর হেরেছেন ৭টিতে। ৩টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। সবশেষ ২০২০ সালে বাংলাদেশে এসেছিল জিম্বাবুয়ে। সেবার ধবলধোলাই হয় সফরকারীরা। এরপর ২০২১ সালে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়েতে খেলতে যায়। সেবারও জয়ী দলের নাম বাংলাদেশ।

তিনজন ওপেনার, তিন জন স্পিনার এবং ৪ জন পেসার নিয়ে দল সাজিয়েছে বাংলাদেশ। কনকাশনের বিষয়টি মাথায় রেখে এমন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক।

“কনকাশন আসার পর থেকে লাইক টু লাইক রিপ্লেসমেন্টের (একই ধরণের ক্রিকেটার) যে কথাটা চলে আসছে, সে কারণে একজন বাড়তি ওপেনার, মিডল অর্ডারে একটা রাখা, স্পিনে একজন রাখা, পেস বোলিংয়ে যদি তিনজন সিমার থাকে সেখানেও একজন রাখে। সেকারণে আমাদের স্কোয়াডটা আমরা ১৫ জনের করেছি।”

লিটন দাস না থাকায় ছয় কিংবা সাতে দেখা যেতে পারে জাকের আলী অনিক কিংবা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে। দুজনেই টেস্টে নবাগত। কে খেলবেন এটা বাছাইয়ের জন্য ম্যানেজম্যান্টকে মধুর সমস্যায় পড়তে হবে বলে মনে করেন আশরাফ।

“৬ বা ৭ এ লিটন দাস না থাকাতে এখানে একটা মধুর সমস্যা আছে। এটা বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। পাশাপাশি আমাদের স্পিনে অনেক অপশন আছে, মেহেদী মিরাজ অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন, তাইজুল আছেন, নাঈম আছেন, সো এই অপশনটাও রাখা হয়েছে। চারজন পেসার আছেন, সেখানেও অপশন থাকবে।”

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়

আগের দিন রোহিত শর্মার রেকর্ড ভেঙেছিলেন বাবর আজম। লাহোরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অপরাজিত ১১ রানের ইনিংস খেলেই ভারতের সাবেক অধিনায়ককে টপকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড়েছিলেন বাবর। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে কেড়েছেন আরেক ভারতীয় কিংবদন্তি বিরাট কোহলির রেকর্ড। ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাবরের এটি ৪০তম ৫০ ছোঁয়া ইনিংস। ৩৯টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে এত দিন বাবরের সঙ্গে  রেকর্ডটির যৌথ মালিক ছিলেন কোহলি।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৩ ইনিংস পর ফিফটি পাওয়া বাবরের ইনিংসে ভর করেই লাহোরে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিটা ৪ উইকেট জিতেছে পাকিস্তান। তাতে তিন ম্যাচের সিরিজটা পাকিস্তান জিতল ২-১ ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচ হারার পর ঘুরে দাঁড়িয়েই সিরিজ জিতল পাকিস্তান।

টসে হেরে ব্যাটিং পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে করে ১৩৯ রান। রানটা ৬ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে পাকিস্তান।

রান তাড়ায় ইনিংসের ১১তম বলে ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। বাবর ব্যাটিংয়ে নামেন এরপরই। দ্বিতীয় উইকেটে সাহিবজাদা ফারহানকে নিয়ে ৩৬ রান জুটি গড়া বাবর তৃতীয় উইকেটে সালমান আগাকে নিয়ে ৫২ বলে  যোগ করেন আরও ৭৬ রান। ২৬ বলে ৩৩ রান করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান যখন ফেরেন ২৭ বলে ২০ রান দরকার পাকিস্তানের।

৫ রান যোগ হওয়ার পর চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন বাবর ৪৭ বলে ৯ চারে ৬৮ রান করা বাবর ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপর ১৫ রানের প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে আরও ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের অপেক্ষা একটু লম্বা করেছে পাকিস্তান।

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন ওপেনার রিজা হেনড্রিকস। এ ছাড়া অধিনায়ক ডোনোভান ফেরেইরা ১৪ বলে ২৯ ও অলরাউন্ডার করবিন বশ ২৩ বলে করেন ৩০ রান। পাকিস্তানি পেসার শাহিন আফ্রিদি ২৬ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।

দুই দল এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। সিরিজের প্রথম ম্যাচ মঙ্গলবার ফয়সালাবাদে।

সংক্ষিপ্ত স্কোরদক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৩৯/৯ (হেনড্রিকস ৩৪, বশ ৩০*, ফেরেইরা ২৯, ব্রেভিস ২১; আফ্রিদি ৩/২৬, তারিক ২/২৬, ফাহিম ২/২৮)।
পাকিস্তান: ১৯ ওভারে ১৪০/৬ (বাবর ৬৮, সালমান ৩৩, ফারহান ১৯; বশ ২/২৪, উইলিয়ামস ২/২৬)।
ফল: পাকিস্তান ৪ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ৩-ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ২-১ ব্যবধানে জয়ী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • অ্যালবামের গল্প বলবে ‘পেনোয়া’
  • অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪০ জন
  • খেলার নামে আদম পাচার ঠেকাতে তৎপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ
  • বোলাররা ভাসান, ব্যাটসম্যানেরা ডোবান—আজ কী করবে বাংলাদেশ