চৈত্রের চলমান তাপপ্রবাহ আর অনাবৃষ্টিতে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী চুনারুঘাটের চা বাগানগুলোতে উৎপাদনে ধস নেমেছে। দীর্ঘস্থায়ী খরায় চা গাছের শিকড় শুকিয়ে গাছ মরে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বড় ধরনের লোকসানের শঙ্কা করছেন বাগান মালিকরা।
উপজেলার একাধিক চা বাগান ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র তাপদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে চা গাছগুলো লালচে বর্ণ ধারণ করেছে। বেশির ভাগ চা বাগানে আসছে না নতুন কুঁড়ি। কোনো কোনো চা বাগানের গাছ ঝলসে গেছে।
নোয়াপাড়া চা বাগানের ডেপুটি ম্যানেজার সোহাগ মাহমুদ জানান, এ বছরের মতো লম্বা সময় ধরে খরা আগে হয়নি। এ অবস্থা চলতে থাকলে বাগান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সুরমা চা বাগানের সিনিয়র ফ্যাক্টরি ম্যানেজার মিরন হোসেন বলেন, এখন ফ্যাক্টরিতে অনেক পাতা প্রক্রিয়াজাত করার সময়। কিন্তু বাগানে সেই অনুপাতে নতুন পাতা সংগ্রহ না হওয়ায় কিছুই করা যাচ্ছে না। তিনি জানান, অন্যান্য বছর এ সময় বাগানে প্রচুর সবুজ চা পাতা পাওয়া যেত। কিন্তু এখন খরায় চা গাছ টিকিয়ে রাখা কঠিন।
বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ইসমাইল হোসেন জানান, চা গাছ সর্বোচ্চ ২৯ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপ সহ্য করতে পারে। বর্তমানে তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি।
ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডের (এনটিসি) মহাব্যবস্থাপক কাজী এমদাদুল হক বলেন, চলতি অর্থবছরে প্রকৃতির বৈরী আচরণের কারণে সবকিছু উল্টাপাল্টা হয়ে যাচ্ছে। চরম খরায় বাগান টিকিয়ে রাখা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ চা শিল্প প্রকৃতির দয়া বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. আরিফুল। শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে তিনি ভবন থেকে পড়ে যান বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিংতম বলেন, বেলা এগারোটার দিকে কয়েকজন ওই শ্রমিককে নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর দেখে তখনই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নির্মাণাধীন ভবনটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোমিনুল করিম শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটির নির্মাণকাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু শ্রমিক ওই ভবনে থাকেন। দুপুরের দিকে তিনি জানতে পারেন একজন শ্রমিক ভবন থেকে পড়ে গেছেন। তাঁকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। সন্ধ্যাবেলায় তাঁকে জানানো হয় ওই শ্রমিক মারা গেছেন।
তবে এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর থেকে একজন রোগীকে আনা হয়েছিল। উনি ছাদ থেকে পড়ে গেছেন বলে জানানো হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।
শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আধা ঘণ্টা আগে খবর পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এমন একটি ঘটনা আমাদের আগে জানানো হয়নি কেন, তা জিজ্ঞাসা করেছি। বিষয়টি প্রো-ভিসি (এডমিন) দেখছেন।’