চড়কি থেকে চড়ক শব্দটি এসেছে বলে মনে করা হয়। যার অর্থ ঘূর্ণন বা ঘোরা। চড়কের মাধ্যমে গাজন উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। চৈত্র মাসের শেষ দিন একটি শালের খুঁটি মাটিতে পুঁতে তার মাথায় একটা বাঁশ বাঁধা হয়। সন্ন্যাসীরা পিঠে বড়শি বিদ্ধ অবস্থায় ওই বাঁশ থেকে ঘোরেন। ঢাকঢোলের বাদ্যে আন্দোলিত হয় গোটা অঞ্চল। অনুষ্ঠিত হয় চড়কপূজা। বহু আলোচনা এবং লেখা থেকে জানা যায়, ১৪৮৫ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ, রাজা সুন্দরানন্দ ঠাকুর চড়ক অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এও শোনা যায়, যেসব কৃষক বছর শেষে খাজনা শোধ করতে পারতেন না, তাদের নাকি পিঠের চামড়া ফুটো করে বড়শিতে ঝুলিয়ে এভাবে গাছে বেঁধে ঘোরানো হতো। ১৮৬৫তে আইন করে বাণ ফোঁড়া, কাঁটা ঝাঁপ দেওয়া ইত্যাদি বন্ধ হয়। একে পাশ কাটিয়ে চড়ক এখনও চলছে সদর্পে। সাধকজনের ত্যাগ আর আত্মপীড়নের এ এক উজ্জ্বল স্বাক্ষর।
কলকাতা শহরের চারদিকে ঢাকের বাজনা শোনা যাচ্ছে, চড়কির পিঠ সড় সড় কচ্চে কামারেরা বাণ, দশলকি, কাঁটা ও বঁটি প্রস্তুত কচ্চে; সর্বাঙ্গে গহনা, পায়ে নূপুর, মাথায় জরির টুপি, কোমরে চন্দ্রহার, সিপাই পেড়ে ঢাকাই শাড়ি মালকোচা করে পরা, তারকেশ্বরের ছোবান গামছা হাতে, বিল্বপত্র বাঁধা সুতা গলায় যত ছুতর, গয়লা, গন্ধবেনে ও কাঁসারির আনন্দের সীমা নাই– ‘আমাদের বাবুদের বাড়ি গাজোন!’ কালীপ্রসন্ন সিংহ এভাবেই হুতোম প্যাঁচার নকশায় (১৮৬২) কলকাতার চড়কপার্বণ লেখার সূচনা করেছেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দুই মিনিটের বিতর্কিত দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, পরে বলিউডকে বিদায় জানান সেই অভিনেত্রী
বলিউডের ইতিহাসে এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা শূন্য থেকে শুরু করে রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছেন; পরে আবার হঠাৎই হারিয়ে গেছেন। কিমি কাতকার তেমনই একজন। ১৯৮০-এর দশকে বলিউডে তিনি ছিলেন আলোচিত ও সাহসী অভিনেত্রীদের একজন।
কিমির উত্থান
আশির দশকটি বলিউডে সৃজনশীল ও পরিবর্তনের সময় ছিল, যেখানে অনেক প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রী তাঁদের ছাপ ফেলেছেন। কিমি ছিলেন সেই সময়ের অন্যতম উদীয়মান নায়িকা। পর্দায় সাহসী দৃশ্যের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। যদিও তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত; কিন্তু এর মধ্যেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন।
মুম্বাইতে জন্ম নেওয়া কিমি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে, পরে তিনি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। ১৯৮৫ সালে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’ দিয়ে আলোচিত হন তিনি। সিনেমার সাফল্য তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। হেমন্ত বীরজের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দর্শকদের মন মাতিয়ে দেন। তবে এ ছবিতেই একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনায় আসেন। দৃশ্যটি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘সেই সময় আমি জানতাম না এই দৃশ্য কতটা বিতর্কিত হবে। কিন্তু অভিনয় আমার জন্য সব সময় ছিল সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ।’ এরপর ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর, গোবিন্দ ও আদিত্য পঞ্চোলির সঙ্গেও সিনেমা করেন তিনি। তাঁর নাচ ও অভিনয়ের দক্ষতা দর্শকদের কাছে তাঁকে প্রিয় করে তোলে।
‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’-এ কিমি কাতকার। আইএমডিবি