Samakal:
2025-08-01@09:10:46 GMT

ঐতিহ্যের চড়ক

Published: 11th, April 2025 GMT

ঐতিহ্যের চড়ক

চড়কি থেকে চড়ক শব্দটি এসেছে বলে মনে করা হয়। যার অর্থ ঘূর্ণন বা ঘোরা। চড়কের মাধ্যমে গাজন উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। চৈত্র মাসের শেষ দিন একটি শালের খুঁটি মাটিতে পুঁতে তার মাথায় একটা বাঁশ বাঁধা হয়। সন্ন্যাসীরা পিঠে বড়শি বিদ্ধ অবস্থায় ওই বাঁশ থেকে ঘোরেন। ঢাকঢোলের বাদ্যে আন্দোলিত হয় গোটা অঞ্চল। অনুষ্ঠিত হয় চড়কপূজা। বহু আলোচনা এবং লেখা থেকে জানা যায়, ১৪৮৫ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ, রাজা সুন্দরানন্দ ঠাকুর চড়ক অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এও শোনা যায়, যেসব কৃষক বছর শেষে খাজনা শোধ করতে পারতেন না, তাদের নাকি পিঠের চামড়া ফুটো করে বড়শিতে ঝুলিয়ে এভাবে গাছে বেঁধে ঘোরানো হতো। ১৮৬৫তে আইন করে বাণ ফোঁড়া, কাঁটা ঝাঁপ দেওয়া ইত্যাদি বন্ধ হয়। একে পাশ কাটিয়ে চড়ক এখনও চলছে সদর্পে। সাধকজনের ত্যাগ আর আত্মপীড়নের এ এক উজ্জ্বল স্বাক্ষর।
কলকাতা শহরের চারদিকে ঢাকের বাজনা শোনা যাচ্ছে, চড়কির পিঠ সড় সড় কচ্চে কামারেরা বাণ, দশলকি, কাঁটা ও বঁটি প্রস্তুত কচ্চে; সর্বাঙ্গে গহনা, পায়ে নূপুর, মাথায় জরির টুপি, কোমরে চন্দ্রহার, সিপাই পেড়ে ঢাকাই শাড়ি মালকোচা করে পরা, তারকেশ্বরের ছোবান গামছা হাতে, বিল্বপত্র বাঁধা সুতা গলায় যত ছুতর, গয়লা, গন্ধবেনে ও কাঁসারির আনন্দের সীমা নাই– ‘আমাদের বাবুদের বাড়ি গাজোন!’ কালীপ্রসন্ন সিংহ এভাবেই হুতোম প্যাঁচার নকশায় (১৮৬২) কলকাতার চড়কপার্বণ লেখার সূচনা করেছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ