গাজীপুরে কৃষক দল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
Published: 12th, April 2025 GMT
গাজীপুরে কৃষক দলের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে নগরের দাখিনখান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রাকিব মোল্লা (২৯)। তিনি দাখিনখান এলাকার বাসিন্দা ও গাজীপুর সদর থানা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ও নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে দাখিনখান এলাকায় ইন্তাজ ও সেলিম মিয়া নামের দুজনে মিলে কেব্ল টিভি (ডিশ) ও ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসা করছিলেন। সম্প্রতি রাকিব মোল্লা সেই ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নেন। এ নিয়ে এলাকাটিতে উত্তেজনা চলছিল। রাকিবের সঙ্গে ইন্তাজ ও সেলিম মিয়ার প্রকাশ্যে বিরোধ দেখা দেয়। গতকাল রাত ৯টার দিকে রাকিব দাখিনখান এলাকায় অবস্থান করছেন—এমন খবরে প্রতিপক্ষ ইন্তাজ, সেলিমসহ অন্তত ৭ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেখানে যান। একপর্যায়ে তাঁরা রাকিবের ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের কোপে রাকিব গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে গেলে হামলাকারীরা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ইন্তাজ ও সেলিম পালিয়ে যান। এ কারণে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইন ত জ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব