গাইবান্ধার শাহ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন
Published: 12th, April 2025 GMT
গাইবান্ধার ‘শাহ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়াম’ এর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এই স্টেডিয়ামের নতুন নাম রাখা হয়েছে ‘জেলা স্টেডিয়াম, গাইবান্ধা’।
শনিবার (১২ এপ্রিল) এতথ্য নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক এ.কে.এম হেদায়েতুল ইসলাম।
তিনি জানান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে গত ২৩ মার্চ প্রকাশিত এক পরিপত্রের মাধ্যমে এই নতুন নামকরণ চূড়ান্ত করা হয়।
স্থানীয় প্রশাসন জানায়, খুব শিগগিরই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্টেডিয়ামের নতুন নামফলক উন্মোচন করা হবে।
৫০-এর দশকে তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক হেলাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী গাইবান্ধা শহরের দক্ষিণে রেললাইনের পার্শ্বে বিনোদনের জন্য একটি পার্ক এবং কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ মাঠ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। এজন্য পাঁচ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ১৯৫৭ সালে এই জমির পূর্বপাশে একটি পুকুর খুঁড়ে সেই মাটি দিয়ে নিচু জায়গা ভরাট করে ঈদগাঁহ মাঠ নির্মাণ করা হয়।
পুকুরের চারপাশের পাড় মাটি দিয়ে বেঁধে পুকুরের উত্তর পার্শ্বে একটি শান বাঁধানো ঘাটও নির্মিত হয়। সম্পূর্ণ কমপ্লেক্সটির নাম মহকুমা প্রশাসকের নামানুসারে হেলাল পার্ক রাখা হয়।
বর্তমান স্টেডিয়ামের স্থানটি সেই ঈদগাঁহ মাঠ হিসেবে দুই ঈদের নামাজ এবং অন্য সময়ে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। ২০০৯ সালে গ্যালারি ও প্যাভিলিয়ন নির্মাণের মাধ্যমে স্টেডিয়ামটির আধুনিকায়নের কাজ শুরু হয়। একই বছর, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গাইবান্ধার কৃতী সন্তান ও বাংলাদেশ গণপরিষদের প্রথম স্পিকার শাহ আব্দুল হামিদের নামে স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয়।
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।