ভালো সিনেমা নিয়ে নিশোর প্রশ্ন, জানালেন পরিকল্পনার কথা
Published: 13th, April 2025 GMT
অভিনেতা আফরান নিশো। রাজধানীর সিনেপ্লেক্সসহ দেশের আরও কিছু প্রেক্ষাগৃহে চলছে এই তার নতুন সিনেমা ‘দাগি’। এটি তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সিনেমা। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুক্তির দিন এ সিনেমা দেখতে দর্শকের ভিড় দেখা গেছে। সম্প্রতি এ সিনেমাসহ অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে।
‘দাগি’ মুক্তির দিন থেকে এ সিনেমা দেখতে দর্শকের ভিড় দেখা গেছে। দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন লক্ষ্য করছেন.
..
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমি খুব একটা সরব না। তারপরও সিনেমার রিভিউ অনেক চোখে পড়েছে। সবচেয়ে বড় কথা সিনেমাটি মুক্তির পর থেকে আমি অনেকগুলো সিনেমা হলে গিয়েছি। তখন সরাসরি দর্শকের প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। সিনেমাটি মানুষ দারুণ পছন্দ করেছে। নিজের কাজ দর্শকের কাছে প্রশংসিত হলে, মনে অনেক আনন্দ জাগে। নিজের ছবি নিয়ে একটা তো ইমোশন কাজ করে। সে জায়গা থেকে সবার প্রশংসা আমার কাছে উৎসাহ বলে মনে করি।
‘দাগি’ সিনেমায় নিজেকে ও অন্য শিল্পীদের কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
‘দাগি’ সিনেমার সব চরিত্র ভীষণ জটিল এবং কঠিন। এ চরিত্রগুলো যদি ভালোভাবে উপস্থাপন না হতো তাহলে নিশান (আমার) চরিত্রটা আসতই না। সব চরিত্রের ওপর দিয়ে নিশান চরিত্রের যাত্রা। ফলে নিশান চরিত্রটা দর্শক ভালোভাবে নিয়েছে। এ ছাড়া তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, রাশেদ মামুন অপু যা করেছেন, তাদের অভিনয় মুগ্ধ হয়ে দেখেছি। এখানে তমা মির্জা, সুনেরাহসহ যারা অভিনয়ে ছিলেন তাদের সবাইকে আমি একেকটি পিলার বলব। এর মধ্যে একটা পিলার যদি পড়ে যেত তাহলে এ সিনেমার কিছু থাকত না।
এর আগে একটি টিভি নাটকের জন্য গান করেছিলেন। এবার নিজের সিনেমার জন্য গাইলেন...
দাগির টাইটেল ট্র্যাক নিয়ে প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিলের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি একদিন আমাকে গানটির একটা ডেমো ভার্সন শুনিয়ে জানতে চাইলেন, কেমন লেগেছে। আমি বললাম, ক্যাচি অ্যান্ড পাওয়ারফুল। গানটা নিয়ে কী করা যায়? এটি ভাবতে ভাবতে একসময় আমাকে জানানো হয়, গানটিতে আমি কণ্ঠ দিলে কেমন হয়? এটি তাঁর জন্য একরকম সারপ্রাইজ ছিল। এরপর নিধি [আরাফাত মহসীন] আমাকে ফোন করে স্টুডিওতে ডাকে। কিছু সংযোজন-বিয়োজনের পর গানটিতে ভয়েস দিই। নিধি সব ঠিকঠাক করে ৪৫-৪৫ মিনিটের মধ্যে গানটি রেডি করে আমাকে দিয়েছে। ফলে এ গানের পুরো কৃতিত্ব নিধির।
‘সুড়ঙ্গ’ ও ‘দাগি’ গল্পনির্ভর সিনেমা। এ ধারাতেই এগিয়ে যাবেন?
আপনি যদি টেলিভিশনে আমার কাজগুলো দেখেন, তাহলে দেখবেন, শুরু থেকেই আমি ভালো গল্পের সঙ্গে থাকতে চেয়েছি সবসময়। সেই সূত্র ধরে আমার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘সড়ঙ্গ’তে কাজ করেছি। এরপর গল্পের কারণে দুই বছর পর ‘দাগি’ করলাম। আমি সব সময় চাই, গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে সিনেমায় অভিনয় করতে, যেখানে গল্পটিও একটি চরিত্র হবে। সেই দিক থেকে ‘দাগি’র গল্প খুব ভালো লেগেছে। সামনে আমি কমেডি, অ্যাকশন আর রোমান্টিক যে ঘরানার কাজ করি না কেন, সেখানেও একই চিন্তা থাকবে।
এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এখন থেকে নিয়মিত সিনেমায় কাজ করবেন। তা বছরে কয়টি সিনেমায় অভিনয়ের পরিকল্পনা আছে?
দেখুন, আমাদের দেশে দর্শক অনুপাতে কিন্তু ভালো সিনেমা নেই। একেক জনের তিনটি করে সিনেমা হলে ভালো সিনেমার সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫ থেকে ২০-এর ঘরে। দর্শকের চাহিদা অনুযায়ী সিনেমা বানানো উচিত। দর্শক ঈদের মধ্যে ভালো সিনেমা দেখছে। পুরো বছর সিনেমা না থাকলে দর্শক দেখবে কী! দর্শককে আশাহত না করে সুন্দর সিনেমা দেওয়া উচিত। সেই জায়গা থেকে আমি চিন্তা করেছি ঈদসহ বছরে তিনটি সিনেমায় অভিনয় করব। শুধু একা বেঁচে লাভ নেই। আমাদের সবার বাঁচতে হবে।
নাটক-ওটিটিতে আপনাকে আর দেখা যাবে না?
নাটক দিয়ে আমার অভিনয়ে যাত্রা শুরু। নাটক আমার শিকড়। এটি আমি কখনোই ভুলি না, ভুলবোও না। মাঝে ওটিটিতে কিছু কাজ করেছি। বড়পর্দায় কাজ করতে গেলে ছোটপর্দায় সময় বের করাটা অনেক কঠিন। আমার পক্ষ থেকে কোনো মাধ্যমে না নেই। সময় সুযোগ এলে সব মাধ্যমে কাজ করব।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মজাদার ডেজার্ট রেভানির রেসিপি
রেভানি তৈরি করতে পেরোতে হবে ৩টি ধাপ।
শিরাউপকরণ: পানি দেড় কাপ, চিনি ১ কাপ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, গোলাপজল ও লেবুর খোসা কোরানো সামান্য।
প্রণালি: একটি পাত্রে চিনি ও পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে ফুটতে দিন। চিনি গলে গেলে ৫-৭ মিনিট নাড়ুন। লেবুর রস ও খোসা দিন। নামিয়ে শিরা ছেঁকে এক পাশে রেখে দিন।
ক্রিমউপকরণ: দুধ ১ কেজি, কর্নফ্লাওয়ার সিকি কাপ, চিনি ৩ টেবিল চামচ, কমলার খোসা কোরানো (জেস্ট) ১ চা–চামচ, ক্রিম ১ কৌটা, মাখন কিউব কয়েকটি।
প্রণালি: একটি পাত্রে সব উপকরণ একত্রে মিশিয়ে চুলায় বসান। দ্রুত নাড়তে থাকুন। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে তাতে মাখনের কিউবগুলো দিয়ে দ্রুত মেশাতে থাকুন। ঠান্ডা
না হওয়া পর্যন্ত ঘন ঘন নাড়তে হবে।
উপকরণ: সুজি দেড় কাপ, ময়দা ২ টেবিল চামচ, চিনি আধা কাপ, লবণ সামান্য, বেকিং পাউডার ১ টেবিল চামচ, গলানো মাখন ১ কাপ, কোরানো নারকেল আধা কাপ, ডিম ৩টি, টক দই আধা কাপ, দুধ পৌনে এক কাপ।
প্রণালি: বাসবুসার জন্য একটি পাত্রে ডিম ও চিনি ভালোভাবে বিট করুন। বিট করতে করতে ফোম হলে এতে মাখন ও দই মিশিয়ে আবার বিট করুন। সুজি, ময়দা, বেকিং পাউডার ও কমলার খোসা যোগ করে হালকা হাতে মিশিয়ে নিন। একটি বাটার মাখানো বেকিং ট্রেতে অর্ধেক ব্যাটার ঢেলে ১৮০ ডিগ্রি তাপে ২০–২২ মিনিট বেক করুন।
বাসবুসা সম্পূর্ণ ঠান্ডা হলে একটা মোটা কাবাব কাঠি দিয়ে ছিদ্র করে নিন। এবার আস্তে আস্তে অর্ধেক শিরা ঢেলে দিন, যেন তা ভালোভাবে শুষে নিতে পারে। এবার তৈরি করে রাখা ক্রিম ঢেলে দিন সমান করে। এই ক্রিমের ওপর বাকি অর্ধেকটা ব্যাটার ঢেলে দিন সমান করে। এরপর আবার ওভেনে একই তাপে ২০–২২ মিনিট বেক করুন। বেকিং শেষে ওভেনের তাপমাত্রা কিছুটা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত রেখে দিন। বের করে আগের মতো একইভাবে বাকি শিরাটুকু ঢেলে দিয়ে রেভানি ২ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর টুকরা টুকরা করে কেটে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুনচিকেন বটি মাসালার রেসিপি২ ঘণ্টা আগে