সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নির্ভর জনগোষ্ঠীর জন্য বিকল্প কর্মসংস্থা‌নের উদ্যোগ নেওয়া হ‌চ্ছে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপ‌দেষ্টা ব‌লেন, “সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন সীমিত করার ফলে জীবিকার যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করেই বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।”

আরো পড়ুন:

পরিবেশ রক্ষায় ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে: রিজওয়ানা

সৈকতে জেগে ওঠা কংক্রিট-জিও ব্যাগ পর্যটকদের গলার কাঁটা

এর আগে অনু‌ষ্ঠিত সভায় দ্বীপের মানুষের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান নির্ধারণে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে একটি ওয়ার্কিং টিম গঠন করা হয়েছে।

কমিটিতে কৃষি, মৎস্য, ট্যুরিজম বোর্ড, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বন বিভাগ, জেলা প্রশাসন, ব্রাক ও কোস্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা থাকবেন। এ কমিটি এ বিষয়ে দ্রুত সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবে।

সভায় বলা হয়, মাছ ধরায় সহযোগিতা, পরিবেশবান্ধব জাল ও আধুনিক ডিভাইস দেওয়া হতে পারে। শুটকি মাছের বাজারজাতকরণে ব্র্যান্ডিং করা হবে। সিউইড, মাশরুম, সবজি চাষ, পোল্ট্রি ও গবাদিপশু পালন, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন, ব্লগিং, ফটোগ্রাফি প্রশিক্ষণের কথা বলা হয়। নারীদের জন্য সেলাই, নকশি কাঁথা, স্মারক সামগ্রী তৈরি, নারিকেল ছোবড়া দিয়ে দড়ি তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা সহায়তা, অন্যান্যদের বৃক্ষরোপণ, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, রেস্টুরেন্টে কাজ শেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। স্থানীয় যুবকদের পরিবেশ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে ট্যুর গাইড হিসেবে গড়ে তোলা হবে। জমির ধরণ অনুযায়ী সবজি উৎপাদনেও উৎসাহ দেওয়া হবে। সেন্টমার্টিনের শুটকি মাছ উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহ ও বাজারজাতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.

ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন, কোস্ট গার্ড, টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব শ উপদ ষ ট স ন টম র ট ন পর ব শ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

‘বউ পেটানো’ অভিনেতার দ্বিতীয় সংসার ভাঙার গুঞ্জন

সৈয়দা আলিজা সুলতানের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেতা ফিরোজ খান। তাদের এই সংসার ভেঙে গেছে। আলিজা অভিযোগ করেছিলেন, তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন ফিরোজ। কেবল তাই নয়, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ছবিও প্রকাশ করেছিলেন। এরপর তোপের মুখে পড়েন ফিরোজ খান। নেটিজেনদের অনেকে তাকে ‘বউ পেটানো’ অভিনেতার তকমাও দেন।

প্রথম সংসার ভাঙার প্রায় দুই বছর পর ডা. জয়নবের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ফিরোজ খান। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্বিতীয় সংসার ভাঙার গুঞ্জন ছড়িয়েছে। মূলত, বিনোদনভিত্তিক একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ডা. জয়নবের ইনস্টাগ্রাম পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করা হয়। তারপরই শুরু হয় ফিরোজ খানের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে জয়নবের অভিযোগের স্ক্রিনশট। 

ডা. জয়নব কথিত এই নোটে বলেন, “আমি আমার সহনসীমার শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছি। অবিরাম মানসিক চাপ ও উদ্বেগে ক্লান্ত। এমন একজন মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে আছি, যে আমাকে বিশ্বাস করে না। আমি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমি এখন ক্লান্ত। প্রতিটি কথোপকথন একটা লড়াইয়ের মতো লাগে, প্রতিটি মতবিরোধ যেন যুদ্ধ। এমন আচরণের শিকার হয়ে আমি ক্লান্ত। আমি যখন তাকে কিছু বলি, সে আমার উপর রাগ ঝাড়ে।”

স্ত্রী জয়নবের সঙ্গে ফিরোজ খান

সুখ স্মৃতিগুলো কষ্টে ঢাকা পড়ে গিয়েছে। এমন মন্তব্য করে জয়নব বলেন, “সত্যি বলতে, আমরা একসঙ্গে যে স্মৃতিগুলো তৈরি করেছিলাম, তা এখন কষ্ট ও আঘাতে ঢাকা পড়ে গেছে। আমি অসংখ্যবার তাকে ক্ষমা করেছি। কিন্তু সেই ক্ষতগুলো কখনো পুরোপুরি সারেনি। বুঝতে পারছি, আমি এক ধরণের মানসিক অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি, একটা সম্পর্কে আটকে আছি, যা আমার জীবনের শক্তি শুষে নিচ্ছে। আমি জানি, আমি এর চেয়ে ভালো কিছু পাওয়ার যোগ্য। আমি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও কোমলতার যোগ্য। সবকিছু ঠিক আছে—আমি আর এই ভান করতে চাই না।”

ডিভোর্সের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে জয়নব বলেন “এমন বিষাক্ত একটা সম্পর্কের জন্য আমি আমার সুখ ত্যাগ করেছি। আমি এখন নিজের জন্য, নিজের মানসিক সুস্থতার জন্য দাঁড়াচ্ছি। বেদনা ও কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে, আমি আমার জীবনের এই অধ্যায় (বিবাহিত জীবন) শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ডিভোর্স নিচ্ছি। কারণ আমি জানি, এর চেয়ে ভালো কিছু পাওয়ার যোগ্য। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর জন্য আমি প্রস্তুত, যেখানে আমাকে মূল্য দেওয়া হবে, সম্মান করা হবে, ভালোবাসা হবে।”

জয়নবের এই ‘ডিভোর্স নোট’ নিয়ে যখন জোর চর্চা চলছে, তখন মুখে কুলুপ এঁটেছেন ফিরোজ খান। তবে এর আগে ফিরোজ খানের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি পোস্টে দেখা যায়। তাতে জয়নবের বিরুদ্ধে ‘ব্ল্যাকমেইল’ ও ‘মানসিক চাপের’ অভিযোগ তোলেন। যদিও পরবর্তীতে পোস্টটি মুছে ফেলা হয়। পাশাপাশি এই অভিনেতা জানান, তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল।

ডা. জয়নব

তবে সংসার ভাঙার গুঞ্জনে সরাসরি কোনো বক্তব্য দেননি ফিরোজ খান কিংবা তার স্ত্রী ডা. জয়নব। তবে বিনোদনভিত্তিক যে পেজ থেকে জয়নবের ‘ডিভোস নোট’ ছড়ানো হয়েছে, সেই পোস্টে মন্তব্য করেছেন তিনি। তাতে জয়নব লেখেন, “এই ধরনের পেজগুলো আনফলো করুন অথবা রিপোর্ট করুন। এই ধরনের পেজ থেকে ভুয়া খবর ছড়িয়ে মানুষকে বিরক্ত করা হচ্ছে। সত্যি বলছি, আমি জানি না কীভাবে তারা আমার স্টোরিতে পোস্টটি করার অ্যাকসেস পেয়েছে। এই পোস্ট আমি কখনো করিনি।”

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম স্ত্রী সৈয়দ আলিজা সুলতানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় ফিরোজ খানের। এ সংসারে সুলতান খান ও ফাতিমা খান নামে দুই সন্তান রয়েছে। বর্তমানে দুই সন্তানের দায়িত্ব নিয়ে আদালতে মামলা লড়ছেন এই প্রাক্তন দম্পতি। ২০২৪ সালে ডা. জয়নবকে বিয়ে করেন ফিরোজ খান।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ