সেন্টমার্টিনে পর্যটননির্ভর বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার
Published: 13th, April 2025 GMT
সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নির্ভর জনগোষ্ঠীর জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন সীমিত করার ফলে জীবিকার যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করেই বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।”
আরো পড়ুন:
পরিবেশ রক্ষায় ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে: রিজওয়ানা
সৈকতে জেগে ওঠা কংক্রিট-জিও ব্যাগ পর্যটকদের গলার কাঁটা
এর আগে অনুষ্ঠিত সভায় দ্বীপের মানুষের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান নির্ধারণে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে একটি ওয়ার্কিং টিম গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে কৃষি, মৎস্য, ট্যুরিজম বোর্ড, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বন বিভাগ, জেলা প্রশাসন, ব্রাক ও কোস্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা থাকবেন। এ কমিটি এ বিষয়ে দ্রুত সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবে।
সভায় বলা হয়, মাছ ধরায় সহযোগিতা, পরিবেশবান্ধব জাল ও আধুনিক ডিভাইস দেওয়া হতে পারে। শুটকি মাছের বাজারজাতকরণে ব্র্যান্ডিং করা হবে। সিউইড, মাশরুম, সবজি চাষ, পোল্ট্রি ও গবাদিপশু পালন, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন, ব্লগিং, ফটোগ্রাফি প্রশিক্ষণের কথা বলা হয়। নারীদের জন্য সেলাই, নকশি কাঁথা, স্মারক সামগ্রী তৈরি, নারিকেল ছোবড়া দিয়ে দড়ি তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা সহায়তা, অন্যান্যদের বৃক্ষরোপণ, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, রেস্টুরেন্টে কাজ শেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। স্থানীয় যুবকদের পরিবেশ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে ট্যুর গাইড হিসেবে গড়ে তোলা হবে। জমির ধরণ অনুযায়ী সবজি উৎপাদনেও উৎসাহ দেওয়া হবে। সেন্টমার্টিনের শুটকি মাছ উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহ ও বাজারজাতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব শ উপদ ষ ট স ন টম র ট ন পর ব শ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি