তুরস্কের মহিলা ও পরিবার পরিকল্পনামন্ত্রী মাহিনুর ওজডিমির গোকটাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।

আজ রোববার তুরস্কে ‘আনাতোলিয়া কূটনীতি ফোরাম, ২০২৫’-এর ফাঁকে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাতে তুরস্ক ও বাংলাদেশের নারীদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়।

এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে যেসব বাধা রয়েছে; সেসব বাধা দূরীকরণে সরকার কাজ করছে। নারীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ, ঋণ প্রদানসহ বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান উপদেষ্টা।

এ সময় তুরস্কের মহিলা ও পরিবার পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, তুরস্ক সরকার বাংলাদেশের নারীদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতা দেবে। কর্মক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীদের সফলতা কামনা করেন তিনি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট ত রস ক সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

‘নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচনি প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা

একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসুবিধা দেখা দেবে না বলে আমরা আশা করি।” 

তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন হবে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর। এ জন্য পুলিশ ও প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।” 

নিরাপত্তা ইস্যু—কার্গো অগ্নিকাণ্ড, অস্ত্র চুরির ঘটনা থেকে শুরু করে অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিরোধী পক্ষ এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও উপদেষ্টা জানান, তদন্ত চলছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অতীতের নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কিছু বিতর্কিত ওসিদের পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে স্বীকার করলেও জানান, সীমাবদ্ধতার কারণে সবাইকে একযোগে বদলি করা সম্ভব হচ্ছে না। 

“যারা পরপর তিনটি নির্বাচনে দায়িত্বে ছিলেন, তাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে,” বলেন তিনি।

আলোচনায় উস্কানিমূলক বক্তব্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচারণা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কেও প্রশ্ন ওঠে। 

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং কেউ আইনের বাইরে গেলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ