ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এম রাহিমের সিনেমা ‘জংলি’। রোববার রাতে রাজধানীর একটি মাল্টিপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয় সিনেমাটির বিশেষ প্রদর্শনী। বিশেষ প্রদর্শনী শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ‘জংলি’র অভিনেত্রী শবনম বুবলী।

বুবলী বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) পয়লা বৈশাখ, সবাইকে শুভ নববর্ষ। পয়লা বৈশাখের আনন্দ আরও দ্বিগুণ-তিন গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে আজকের এই আয়োজন।’

‘জংলি’ সিনেমায় তিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন বুবলী। দর্শক নন-গ্ল্যামারস লুকে বুবলীকে পছন্দই করেছেন। পুরোমাত্রার বাণিজ্যিক সিনেমার পাশাপাশি অফট্র্যাক চরিত্র তিনি ভালো সামলাতে পারেন, সে প্রমাণ ‘টান’ বা ‘দেয়ালের দেশ’-এ পাওয়া গেছে। ‘জংলি’র ইন্টার্ন চিকিৎসকের চরিত্রটিও তেমনই।

‘জংলি’ এখন আবেগের নাম উল্লেখ করে বুবলী আরও বলেন, ‘সিনেমার বড় প্রচারটা হয় দর্শকের মুখ থেকে। অন্যদের বলছে, সে কারণে শো দ্বিগুণ হচ্ছে। এটিকে পারিবারিক সিনেমা, কমেডি সিনেমা, পাশাপাশি মিউজিক্যাল সিনেমা বলা যায়। সিনেমাটি দর্শক দেখবে, আমাদের এমন বিশ্বাস ছিল। সবার ভালোবাসা দেখে আমরা অভিভূত।’

এর আগে বুবলী বলেন, ছোট ছোট বাচ্চারা থেকে আশি বছরের দর্শক ‘জংলি’ দেখছে। বিশেষ করে বলতে হয় আমাদের সিনিয়র সিটিজেন হলে ফিরেছেন। তারা পরিবার নিয়ে আসছেন সিনেমা দেখতে। এটা খুবই ইতিবাচক। পরবর্তী কাজের জন্য আবার খুব চ্যালেঞ্জ। আমার কাছে মনে হয় প্রতিটি গল্পই আলাদা মানুষকে কাঁদানো-হাসানো কঠিন কাজ। সেখানে বাংলা সিনেমা জংলি দেখে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন দর্শক। তারা হাসছেন, কাঁদছেন। পরবর্তী সিনেমা করতে দায়িত্ববোধ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

‘জংলি’র প্রধান চরিত্রে আছেন সিয়াম আহমেদ। সিয়াম, বুবলী ছাড়াও এ ছবিতে দেখা গেছে নৈঋতা হাসিন রৌদ্রময়ী, দীঘি, দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপুকে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।

ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়। পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।

আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।

ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।

আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।

সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।

রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসামির কাঠগড়ায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের ৪৫ মিনিট
  • পরবর্তী সরকারের পক্ষে এত সহজে সংস্কার আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করা সম্ভব হবে না: আসিফ নজরুল
  • বিসিআইসির নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ
  • এলডিসি উত্তরণের পরবর্তী প্রস্তুতি নিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন
  • ৪৪তম বিসিএস: মনোনীত প্রার্থীদের তথ্য চেয়ে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
  • ‘আগামীর বাংলাদেশে মিডিয়াকে দালাল হিসেবে দেখতে চাই না’ 
  • ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার
  • মাইলস্টোনে দগ্ধ ৩৩ জন এখনো ভর্তি, আইসিইউতে ৩
  • শেখ হাসিনার অডিওগুলো শুনলে বোঝা যায়, তাঁর এখনো প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা আছে: আইন উপদেষ্টা
  • দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে