বৈশাখের আনন্দ তিনগুণ বেড়ে গেছে, কেন বললেন বুবলী
Published: 14th, April 2025 GMT
ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এম রাহিমের সিনেমা ‘জংলি’। রোববার রাতে রাজধানীর একটি মাল্টিপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয় সিনেমাটির বিশেষ প্রদর্শনী। বিশেষ প্রদর্শনী শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ‘জংলি’র অভিনেত্রী শবনম বুবলী।
বুবলী বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) পয়লা বৈশাখ, সবাইকে শুভ নববর্ষ। পয়লা বৈশাখের আনন্দ আরও দ্বিগুণ-তিন গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে আজকের এই আয়োজন।’
‘জংলি’ সিনেমায় তিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন বুবলী। দর্শক নন-গ্ল্যামারস লুকে বুবলীকে পছন্দই করেছেন। পুরোমাত্রার বাণিজ্যিক সিনেমার পাশাপাশি অফট্র্যাক চরিত্র তিনি ভালো সামলাতে পারেন, সে প্রমাণ ‘টান’ বা ‘দেয়ালের দেশ’-এ পাওয়া গেছে। ‘জংলি’র ইন্টার্ন চিকিৎসকের চরিত্রটিও তেমনই।
‘জংলি’ এখন আবেগের নাম উল্লেখ করে বুবলী আরও বলেন, ‘সিনেমার বড় প্রচারটা হয় দর্শকের মুখ থেকে। অন্যদের বলছে, সে কারণে শো দ্বিগুণ হচ্ছে। এটিকে পারিবারিক সিনেমা, কমেডি সিনেমা, পাশাপাশি মিউজিক্যাল সিনেমা বলা যায়। সিনেমাটি দর্শক দেখবে, আমাদের এমন বিশ্বাস ছিল। সবার ভালোবাসা দেখে আমরা অভিভূত।’
এর আগে বুবলী বলেন, ছোট ছোট বাচ্চারা থেকে আশি বছরের দর্শক ‘জংলি’ দেখছে। বিশেষ করে বলতে হয় আমাদের সিনিয়র সিটিজেন হলে ফিরেছেন। তারা পরিবার নিয়ে আসছেন সিনেমা দেখতে। এটা খুবই ইতিবাচক। পরবর্তী কাজের জন্য আবার খুব চ্যালেঞ্জ। আমার কাছে মনে হয় প্রতিটি গল্পই আলাদা মানুষকে কাঁদানো-হাসানো কঠিন কাজ। সেখানে বাংলা সিনেমা জংলি দেখে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন দর্শক। তারা হাসছেন, কাঁদছেন। পরবর্তী সিনেমা করতে দায়িত্ববোধ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
‘জংলি’র প্রধান চরিত্রে আছেন সিয়াম আহমেদ। সিয়াম, বুবলী ছাড়াও এ ছবিতে দেখা গেছে নৈঋতা হাসিন রৌদ্রময়ী, দীঘি, দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপুকে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
কোন সালের জন্য পুরস্কার —ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
পুরস্কার মল্যমান কত —১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ —আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।
৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।
৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।
৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।
৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।
৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।