৬ বছর পর পাবিপ্রবির বর্ষবরণে বাঙালি সংস্কৃতির ছোঁয়া
Published: 14th, April 2025 GMT
৬ বছর পর পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ এর আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে ছিল উৎসবের রঙ, বাঙালি সংস্কৃতির ছোঁয়া।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় আয়োজনের অংশ হিসেবে শুরু হয় বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা।
পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.
আনন্দ শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মূল মঞ্চে এসে শেষ হয়। মহিশের গাড়ি, পালকি, মুখোশ, গ্রামীণ খেলনা, রঙিন ব্যানার, পটচিত্র ও বাদ্যযন্ত্রে মুখর ছিল পুরো আয়োজন।
দিনব্যাপী বর্ষবরণের আয়োজনে আরো ছিল স্বাধীনতা চত্ত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলা। এতে উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, পাবিপ্রবি প্রেসক্লাব, ছাত্র ও ছাত্রী হলকে স্বতন্ত্রভাবে বর্ণিল সাজে সজ্জিত দোকানে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার অংশগ্রহন করতে দেখা যায়।
ইইসিই বিভাগের শিক্ষার্থী ইউসুফ খান রাচি বলেন, “এই প্রথমবার আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান দেখতে পারছি। শুনেছি এর আগে ২০১৯ সালে আমাদের ক্যাম্পাসে এরকম উৎসব মুখর পরিবেশে এমন আয়োজন হয়েছিল। নিজেদের হাতে স্টল সাজানো, পিঠা বানানো, বিক্রি করা। সব মিলিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা। বাংলা সংস্কৃতির এমন প্রাণবন্ত আয়োজন আমাদের মন ছুঁয়ে গেছে।”
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব বলেন, “সারাদিন ক্যাম্পাসে একটা অন্যরকম অনুভূতি ছিল। সবাই যেন একে অপরের আপন। এই ধরনের আয়োজন আমাদের মধ্যে বন্ধন গড়ে তোলে, সংস্কৃতির সঙ্গে জুড়ে দেয়।”
৬ বছর আগে ২০১৯ সালে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষের উৎযাপন করা হলেও মাঝখানে করোনা, রোমজান থাকার কারনে গত কয়েকবছর এই উৎসব পালন করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকা/আতিক/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জবি ছাত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় আটক তরুণ
রাজধানীর লক্ষ্মীবাজারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সংগীত বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা প্রণব মজুমদার (৫৯) বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে সূত্রাপুর থানা মামলা করেন। মামলায় ইয়াছিন মজুমদার (২৩) নামের এক তরুণকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
আজ বুধবার সূত্রাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নিহত শিক্ষার্থী হলেন প্রত্যাশা মজুমদার অথৈ।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ‘ইয়াছিন মজুমদার দীর্ঘদিন ধরে অথৈকে উত্যক্ত করছিল। স্কুলজীবনে তাদের মধ্যে পরিচয় ছিল। আমার মেয়ে ঢাকা চলে এলে ইয়াছিন তাকে অনুসরণ করে ঢাকায় আসে এবং লালবাগ থানা এলাকায় জমিদারী ভোজ নামক রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের চাকরি নেয়। সে আগের মতো আমার মেয়েকে উত্যক্ত করতে থাকে। পরবর্তীতে ইয়াছিন কৌশলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে। একপর্যায়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত উৎসবের অনুশীলন শেষে মেসে ফেরার পথে ইয়াসিন অথৈকে গালমন্দ করে ও উৎসবে অংশ না নিতে চাপ দেয়। পরে তার (অথৈ) রুমের দরজা ভেঙে তাকে অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার। মেসের মালিকের স্ত্রী মোসা. জ্যোৎস্না বেগম প্রথম ঘটনাটি জানতে পারেন। এরপর ইয়াছিন মজুমদারসহ কয়েকজন অথৈকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
এজাহারে নিহতের বাবা প্রণব মজুমদার বলেন, ‘আমার ধারণা, বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মেয়ের সহপাঠীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ছুটে আসি।’
এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানার ওসি বলেন, ‘আমরা অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। কোর্টে চালান দিয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, ‘মেয়ের বাবার মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রশাসনকে বলেছি, আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নিতে।’