Prothomalo:
2025-05-01@03:15:36 GMT

পাকিস্তান যুগে বর্ষবরণ

Published: 14th, April 2025 GMT

বঙ্গীয় নববর্ষের স্বাতন্ত্র্য কোথায়? ছদ্মনামা লেখক এ বি এম ইংরেজি ১৯৬৭ সালে ‘পাকিস্তান অবজারভার’-এর পয়লা বৈশাখ ক্রোড়পত্রে লিখেছেন, ‘ঈদের উদ্‌যাপন হয় পুরো মুসলিম জাহানে,’ খ্রিষ্টান নিউ ইয়ার-এর প্রথা তো এ দেশে ব্রিটিশদের আমদানি; ‘বছরে শুধু একটা দিনই আমাদের গ্রামগুলো বিশেষ বঙ্গীয় রং আর উৎসবের চিহ্নে সেজে ওঠে।’ বাংলা নববর্ষ যেহেতু বিশেষভাবে দেশজ, অন্য কোনো উৎসবের সঙ্গে এর তুলনা হতে পারে না।

পাকিস্তান যুগের সংবাদপত্রে বঙ্গীয় নতুন সন উদ্‌যাপনের যে ভাষ্য ধরা পড়েছে, সেগুলোর ওপর ভর করে এই লেখায় আমার কাজ তিনটি। প্রথমত, এটা ব্যাখ্যা করা যে ঠিক কোন অর্থে বাংলা বর্ষপঞ্জির মহল বা তালুক হচ্ছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ত, কীভাবে বর্ষপঞ্জির প্রথম দিন উদ্‌যাপনের প্রথা আধুনিক অর্থে ‘ঐতিহ্য’ হয়ে উঠল। এবং সর্বশেষে নববর্ষের সঙ্গে ইসলামের সম্পর্কের প্রশ্নটিকে কীভাবে ফায়সালা করা হয়েছিল। বাংলা সন একান্তভাবে দেশজ—এ বি এমের এই দাবি সামান্য সঠিক হলেও সুনির্দিষ্টভাবে কথাটির মানে পাকিস্তান যুগে ছিল এই যে, বাংলা সন নির্দিষ্টভাবে বাংলার ভূগোলের মধ্যে প্রবিষ্ট। বাংলা সনের যে হিজরি এবং মোগল নছব, সেটার জিকির সূত্রে পঞ্চাশের দশক থেকেই এই ভূগোল বা স্থানিকতার কথাটা উঠতে থাকে। মোগল যুগে দরবারি বর্ষপঞ্জি হিজরি হলেও ‘পাকিস্তান অবজারভার’ তাদের ১৯৫৫ সালের নববর্ষ প্রতিবেদন-এ জানাচ্ছে: কৃষিভিত্তিক পূর্ববঙ্গে—যেখানে প্রকৃতির অলঙ্ঘ্য নিয়মে ষড়ঋতু ৩৬৫ দিন ঘিরে আবর্তিত—চান্দ্রমাসের হিজরি সন বিশৃঙ্খলা ঘটাতে বাধ্য। অর্থাৎ, একদিকে বাংলার প্রকৃতির আবর্তন এবং সেই প্রকৃতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা শ্রমের নানা রকম ধরন, আর অন্যদিকে হিজরি সনের, মধ্যে একটি অসামঞ্জস্য আছে। মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীর সিধা জবানে: চান্দ্রমাসের হিজরি সন মেনে তারিখ ঠিক করলে ‘তাহা প্রত্যেক বৎসর ফসল তোলার সময়ের সাথে মেলে না।’ (১৯৬৯)

১৩৭৩ বঙ্গাব্দের (১৯৬৭ সাল) পয়লা বৈশাখে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নববর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

সুইডেনে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৩

সুইডেনের উপসালা শহরে বন্দুকধারীর হামলায় তিনজন নিহত হয়েছে। স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। শহরের কেন্দ্রস্থলে ভাকসালা স্কোয়ারের কাছে একটি হেয়ার সেলুনে এই ঘটনা ঘটে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দুকধারী হামলার পরপরই একটি স্কুটারে করে পালিয়ে যান। হামলাকারীকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং হত্যার ঘটনাটির তদন্ত চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা পাঁচটি গুলির শব্দ শুনেছেন এবং ওই এলাকার লোকজনকে দৌড়াতে দেখেন। 

রাজধানী স্টকহোমের উত্তরে অবস্থিত বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সুপরিচিত উপসালা শহরে ওয়ালপার্গিস বসন্ত উৎসবের প্রাক্কালে এই ঘটনা ঘটে। এই উৎসবে সাধারণত শহরের রাস্তায় বিপুল সংখ্যক লোকের সমাগম হয়।

পুলিশের মুখপাত্র ম্যাগনাস জ্যানসন ক্লারিন টিভি৪ কে বলেন, বন্দুকধারীকে খুঁজে বের করার জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চলছে। অনুসন্ধান কাজে পুলিশের একটি হেলিকপ্টারও মোতায়েন করা হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘জনপদের বর্ষবরণ ১৪৩২’
  • উপহার পেল পহেলা বৈশাখে জন্ম নেওয়া জেরিনের পরিবার
  • জবি ছাত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় আটক তরুণ
  • সুইডেনে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৩
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা: হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা: হাইকোর্টের রায়  ৮ মে
  • সিডনিতে প্রতীতির বর্ষবরণে বাঙালিয়ানার জয়গান
  • ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে উৎসবকে রাজনীতি মুক্ত রাখতে হবে: মোহাম্মদ আজম
  • দৃশ্যপটে ‘আনন্দ’, মঙ্গল কোথায়
  • যেকোনো উৎসবকে রাজনৈতিক প্রভাবের ঊর্ধ্বে রাখার আহ্বান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের