২৪ এর জুলাই আন্দোলন পেরিয়ে এসেছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর এবার নতুন পরিবেশে বর্ষবরণ উৎসব বিশেষ মাত্রা পেয়েছে। তাই এ বছরের উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।

সকালের আলো ফুটে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশজুড়ে নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে বরণ করে নিয়েছে বাঙালি জাতি। পহেলা বৈশাখ শুধু ক্যালেন্ডারের পাতার একটি সংখ্যা নয়, এটি বাঙালির বিশেষ দিন।

এদিন ক্যালেন্ডারের পাতার সঙ্গে বদলে যায় হৃদয়ের ছন্দ, মানুষের মনে জমে থাকা প্রত্যাশার রং। পহেলা বৈশাখ বাঙালির একমাত্র উৎসব যেখানে থাকে না কোনো ধর্ম, শ্রেণি, বয়সের ভেদাভেদ।

আরো পড়ুন:

৫ বছর পর কুবিতে নববর্ষ উদযাপন

২৩ দিন পর আবারো প্রাণোচ্ছল কুবি

ফ্যাসিবাদমুক্ত নববর্ষ ১৪৩২-কে ঘিরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের রয়েছে নিজস্ব ভাবনা, প্রত্যাশা ও স্বপ্ন। রাইজিংবিডির কাছে তারা তাদের সেই ভাবনা, প্রত্যাশা ও স্বপ্নগুলো প্রকাশ করেছেন।

এখন স্বাধীনভাবে নববর্ষ উদযাপন করতে পারছি

ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে আমরা এ বছর নববর্ষ উদযাপন করছি। ২৪ এর আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের ধারণ করে র‍্যালি করেছি। আমাদের ক্যাম্পাসে সর্বশেষ ২০১৯ সালে নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছিলো। এখন আমরা স্বাধীনভাবে নববর্ষ উদযাপন করতে পারছি। ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।
(লেখক: মোহাম্মদ হান্নান রাহিম, শিক্ষার্থী, ১২তম আবর্তন, গণিত বিভাগ)

সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা

বাংলাদেশে এখন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। প্রতি বছর যেভাবে নববর্ষ উদযাপন করা হতো, এ বছর তা ভিন্ন। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে এ নববর্ষে ভিন্ন আঙ্গিক দেখা যাচ্ছে। সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।
(লেখক: জুলফা আক্তার, শিক্ষার্থী, ১৪তম আবর্তন, রসায়ন বিভাগ)

মানুষের মাঝে নব জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে

ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশে বাংলা নববর্ষ সবার মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্যের চেতনা সৃষ্টি করেছে। মানুষের মাঝে যে নব জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, স্বাধীন ও নিজস্ব ভাবধারা প্রকাশ করার তা ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আগামীর বাংলাদেশে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার সম্প্রতির বন্ধনকে অটুট করবে। একইসঙ্গে একটি আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে জুলাই আন্দোলনে শহীদরা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
(লেখক: বিএম সুমন, শিক্ষার্থী, ১৩তম আবর্তন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ)

ঢাকা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নববর ষ র

এছাড়াও পড়ুন:

ডাইনির সাজে শাবনূর!

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর এখন অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। মাঝেমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের মাধ্যমে নিজের খবর জানান দেন তিনি। এবার সেই পর্দার প্রিয় নায়িকা হাজির হয়েছেন এক ভিন্ন সাজে—ডাইনির রূপে!

প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর বিশ্বের নানা প্রান্তে পালিত হয় ঐতিহ্যবাহী হ্যালোইন উৎসব। পশ্চিমা বিশ্বে এটি এক জনপ্রিয় দিন, যেখানে মানুষ নানা ভুতুড়ে সাজে নিজেদের উপস্থাপন করে। যদিও অনেকেই মনে করেন এটি কেবল ভূতের সাজের উৎসব, আসলে মৃত আত্মাদের স্মরণেই হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী এ দিনটি উদযাপিত হয়।

আরো পড়ুন:

পর্দায় ‘মহল্লা’র ভালো-মন্দ

বাবা হওয়ার কোনো বয়স আছে? সত্তরে কেলসির চমক

সেই উৎসবের আমেজে এবার শামিল হয়েছেন শাবনূরও। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ছবিতে দেখা গেছে, ছেলে আইজানকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সেজেছেন ভয়ংকর এক ডাইনির সাজে—চোখের কোণ বেয়ে নেমে আসছে লাল রক্তের রেখা, সঙ্গে এক ‘ভূতুড়ে’ চেহারার চরিত্র।

ছবির ক্যাপশনে শাবনূর লিখেছেন, “আমি সাধারণ মা নই, আমি একজন দুর্দান্ত মা—যিনি একজন ডাইনিও! হ্যালোইনের শুভেচ্ছা, বাচ্চারা!”

পোস্টের শেষে তিনি যোগ করেছেন, “এটা শুধু মজা করার জন্য।”

ভক্তরা কমেন্টে ভরিয়ে দিয়েছেন শুভেচ্ছা ও প্রশংসায়। কেউ লিখেছেন, “শাবনূর মানেই চমক,’ কেউ আবার জানিয়েছেন, ‘হ্যালোইনেও আপনি আমাদের শাবনূরই—ভালোবাসা রইল।”

ঢাকা/রাহাত/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক
  • বিজ্ঞান উৎসব উদ্বোধন করল রোবট নাও
  • ‘ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসবে’ আলোয় ভাসল গারো পাহাড়