সাকিবের মতে ভোট দেওয়া ও পছন্দের দল করা মৌলিক অধিকার
Published: 16th, April 2025 GMT
আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নির্বাচন করাকে ভুল মনে করেন না সাকিব আল হাসান। তার মতে, মানুষের মৌলিক অধিকার মূলত দুটি। একটি ভোট দেওয়া এবং অন্যটি পছন্দের রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়া। তিনি তার পছন্দের রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়ে তাই ভুল করেননি। অবশ্য অংশ নেওয়া জাতীয় নির্বাচনে ভোটা দেওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল কিনা তা নিয়ে সাকিবের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সংবাদ মাধ্যম ডেইলি সানকে দেওয়া সাক্ষাৎকার সাকিব বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমাদের চিন্তা-ভাবনায় পরিবর্তন আনা। গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে, মানুষের মৌলিক অধিকার মূলত দুটি। একটি ভোট দেওয়া, অন্যটি পছন্দের রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়ে রাজনীতি করা। যদি মনে হয় সিস্টেমে সমস্যা আছে, তাহলে এটা কীভাবে পরিবর্তন করবেন? আপনি একা কীভাবে পরিবর্তন করবেন? কতদিন করবেন? এর জন্য সব দিক থেকে সহায়তা দরকার। সবাই একত্রে এগিয়ে আসলে পরিবর্তন হবে।’
সাক্ষাৎকারে সাকিব জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরে ধীরে ধীরে রাজনীতিতে সময় দেওয়া বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল তার। তিনি চেয়েছিলেন, রাজনীতি শিখে তারপর ফুলটাইম কাজ শুরু করবেন। এমপি হয়েই ঝাপিয়ে পড়তে চাননি। এছাড়া সাকিব জানান, এখন যারা রাজনীতিতে আসছে তারাও সারাজীবন ক্ষমতায় থাকবেন না। ১০ কিংবা ২০ বছর পরে তাদেরও সরে যেতে হবে। এটাই রাজনীতির ধর্ম। ভবিষ্যতে কী ঘটবে তা আগ বাড়িয়ে বলে দেওয়ার সুযোগ নেই।
রাজনীতিতে এসে সাকিবের কী শিক্ষা হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি এখন মানুষের নতুন নতুন চেহারা দেখছি। হয়তো আমি এতোদিন ঘোরের মধ্যে বাস করেছি।’ নতুন বাংলাদেশের কাছে প্রত্যাশা সম্পর্কে সাকিব জানান, কতদূর যেতে পারবে তা নিয়ে সন্দিহান তিনি, ‘আমি নিশ্চিত তারা সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে। তবে সময়ই বলে দেবে, তারা ঠিক কতদূর যেতে পারবে। এর বাইরে এখন কিছু বলতে পারছি না।’
সাক্ষাৎকারে সাকিব জানিয়েছেন, তিনি দেশের হয়ে খেলতে চান। বিসিবির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করেছেন। যদিও সীমাবন্ধতার কারণে বিসিবির তাকে খুব একটা সহায়তা করতে পারেনি। এছাড়া ভক্তদের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘গত ১৮ বছর আমি দেশের হয়ে খেলেছি। ১৮ বছর নাকি রাজনীতির ৬ মাস, কোনটা দিয়ে আমাকে বিচার করবেন, তা আপনাদের ইচ্ছা। আমি মনে করি, বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগটা আমার প্রাপ্য।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন পছন দ র র জন ত করব ন
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি