ভাস্কর মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দেওয়া ন্যাক্কারজনক: সাদা দল
Published: 16th, April 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের প্রাক্তন ছাত্র ভাস্কর মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাবির বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম এবং অধ্যাপক ড.
বিবৃতিতে সাদা দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা ১৪৩২ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তবে আগের দিন দষ্কৃতিকারীরা চারুকলা নির্মিত ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি ও পায়রার মোটিফ পুড়িয়ে দেয়। এ সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট শিল্পী ও শিক্ষার্থীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তা মেরামত এবং পুনর্নির্মাণ করার মাধ্যমে আনন্দ শোভাযাত্রা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ঢাবি গ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ মে
জুনে ডাকসু নির্বাচন চাই: বিন ইয়ামিন
তবে ওই একই দুষ্কৃতিকারীরা মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে চারুকলা অনুষদের বিশিষ্ট অ্যালামনাই শিল্পী ভাস্কর মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দিয়েছে। কারণ তিনি অ্যালামনাই শিল্পীদের সঙ্গে নিয়ে মোটিফ নির্মাণে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করেছেন। এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং ন্যাক্কারজনক।
তারা আরও বলেন, গত কয়েকদিন ধরে শোভাযাত্রা কার্যক্রমে যুক্ত বেশ কয়েকজনকে ভিনদেশী ফোন নম্বর থেকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অব্যাহতভাবে নানা ধরনের কটু কথার প্রচার চলছে। আমরা ভাস্কর মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দেওয়ার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
পাশাপাশি অতিদ্রুত অপরাধীকে সনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।