ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢা‌বি) চারুকলা অনুষদের প্রাক্তন ছাত্র ভাস্কর মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাবির বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম এবং অধ্যাপক ড.

মো. আবুল কালাম সরকার স্বাক্ষ‌রিত এক বিবৃ‌তি‌তে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে সাদা দ‌লের নেতৃবৃন্দ ব‌লেন, বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা ১৪৩২ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তবে আগের দিন দষ্কৃতিকারীরা চারুকলা নির্মিত ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি ও পায়রার মোটিফ পুড়িয়ে দেয়। এ সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট শিল্পী ও শিক্ষার্থীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তা মেরামত এবং পুনর্নির্মাণ করার মাধ্যমে আনন্দ শোভাযাত্রা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ঢাবি গ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ মে

জুনে ডাকসু নির্বাচন চাই: বিন ইয়ামিন

তবে ওই একই দুষ্কৃতিকারীরা মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে চারুকলা অনুষদের বিশিষ্ট অ্যালামনাই শিল্পী ভাস্কর মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দিয়েছে। কারণ তিনি অ্যালামনাই শিল্পীদের সঙ্গে নিয়ে মোটিফ নির্মাণে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করেছেন। এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং ন্যাক্কারজনক।

তারা আরও বলেন, গত কয়েকদিন ধরে শোভাযাত্রা কার্যক্রমে যুক্ত বেশ কয়েকজনকে ভিনদেশী ফোন নম্বর থেকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অব্যাহতভাবে নানা ধরনের কটু কথার প্রচার চলছে। আমরা ভাস্কর মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দেওয়ার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।

পাশাপাশি অতিদ্রুত অপরাধীকে সনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে ভারত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সতর্কবার্তার পরে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ ভারত। দেশটি সমুদ্রপথে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের বৃহত্তম ক্রেতা।

রিফাইনারদের ক্রয় পরিকল্পনার সাথে পরিচিত চারটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ভারতের রাষ্ট্রীয় পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এবং ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেড গত সপ্তাহে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের বাজারে প্রবেশ করেনি।

চারটি পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠান নিয়মিতভাবে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনে। তারা ভারতের মোট ৫২ লাখ ব্যারেলের দৈনিক পরিশোধন ক্ষমতার ৬০ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করে। এদের বাইরে বেসরকারি তেল পরিশোধনকারী সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং নায়ারা এনার্জি হচ্ছে ভারতের বৃহত্তম রুশ তেল ক্রেতা।

১৪ জুলাই ট্রাম্প রাশিয়ার তেল কিনবে এমন দেশগুলির উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। বুধবার ট্রাম্প ভারতের রপ্তানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এর বাইরে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার অপরাধে বড় অংকের জরিমানা আরোপ করেছেন। তবে সেই অর্থের পরিমাণ সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ