ভয়াবহ ভূমিকম্পে মিয়ানমারে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশের উদ্ধারকারী ও চিকিৎসা সহায়তাকারী দলটি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দলটি নৌবাহিনীর জাহাজে করে দেশে পৌঁছায়। আজ বুধবার দলটির প্রত্যেক সদস্যকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে।

আজ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় এই মিশনের আওতায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সমন্বয়ে ত্রাণ, উদ্ধারকারী দল ও চিকিৎসা সহায়তাকারী দলকে মিয়ানমারে পাঠানো হয়। ৩ ধাপে মিয়ানমারে ১৫১ দশমিক ৫ টন ত্রাণসহায়তা পাঠানো হয়। গতকাল বিকেলে সহায়তাকারী দলটি দেশে পৌঁছায়।

উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তাকারী দলটির প্রত্যেক সদস্যকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। আজ ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে এক বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান তাঁদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। এ সময় ঢাকায় মিয়ানমারের মিলিটারি, নেভাল অ্যান্ড এয়ার অ্যাটাশে, বাংলাদেশের সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে একই স্থানে মিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে প্রেস ব্রিফিং করেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের অপারেশনস ও পরিকল্পনা পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.

আলীমুল আমীন। ব্রিফিংয়ে সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে দলের প্রত্যেক সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে যাঁরা এই মানবিক সহায়তা করেছেন, তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সশস ত র ব হ ন

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ