হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মন্দরি ইউনিয়নের রত্না নদীর তীরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আন্নর আলী (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। 

নিহত আন্নর আলী উপজেলার সোনামপুর গ্রামের বাসিন্দা। 

স্থানীয়রা জানান, সোনামপুর গ্রামের আরজত আলী ও রশিদ মিয়ার মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এরই জেরে বুধবার বিকেলে তাদের লোকজন রত্না নদীর তীরে সংঘর্ষে জড়ায়। তারা একে অন্যকে লক্ষ্য করে টেঁটা ও ফিকল (দেশীয় অস্ত্র) নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় আন্নর আলীসহ তিনজন টেঁটাবিদ্ধ হলে তাদের হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সন্ধ্যায় আন্নর আলীকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। টেঁটাবিদ্ধ অন্য দুইজন হলেন-  একই গ্রামের উমর আলীর ছেলে মানিক মিয়া ও রশিদ মিয়া। তারা হবিগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আরো পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত একজনের মৃত্যু

মাদারীপুরের রাজৈরে ১৪৪ ধারা জারি

মন্দরি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হাবিব মিয়া বলেন, “নিহত আন্নর আলী কোনো পক্ষের লোক ছিলেন না। তিনি তৃতীয়পক্ষ হিসেবে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।”

বানিয়াচং থানার ওসি মো.

কবির হোসেন বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়।সোনামপুর গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ন হত আহত স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মিনিটের বিতর্কিত দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, পরে বলিউডকে বিদায় জানান সেই অভিনেত্রী

বলিউডের ইতিহাসে এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা শূন্য থেকে শুরু করে রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছেন; পরে আবার হঠাৎই হারিয়ে গেছেন। কিমি কাতকার তেমনই একজন। ১৯৮০-এর দশকে বলিউডে তিনি ছিলেন আলোচিত ও সাহসী অভিনেত্রীদের একজন।

কিমির উত্থান
আশির দশকটি বলিউডে সৃজনশীল ও পরিবর্তনের সময় ছিল, যেখানে অনেক প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রী তাঁদের ছাপ ফেলেছেন। কিমি ছিলেন সেই সময়ের অন্যতম উদীয়মান নায়িকা। পর্দায় সাহসী দৃশ্যের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। যদিও তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত; কিন্তু এর মধ্যেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন।

মুম্বাইতে জন্ম নেওয়া কিমি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে, পরে তিনি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। ১৯৮৫ সালে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’ দিয়ে আলোচিত হন তিনি। সিনেমার সাফল্য তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। হেমন্ত বীরজের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দর্শকদের মন মাতিয়ে দেন। তবে এ ছবিতেই একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনায় আসেন। দৃশ্যটি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘সেই সময় আমি জানতাম না এই দৃশ্য কতটা বিতর্কিত হবে। কিন্তু অভিনয় আমার জন্য সব সময় ছিল সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ।’ এরপর ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর, গোবিন্দ ও আদিত্য পঞ্চোলির সঙ্গেও সিনেমা করেন তিনি। তাঁর নাচ ও অভিনয়ের দক্ষতা দর্শকদের কাছে তাঁকে প্রিয় করে তোলে।

‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’-এ কিমি কাতকার। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই মিনিটের বিতর্কিত দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, পরে বলিউডকে বিদায় জানান সেই অভিনেত্রী
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
  • নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ৩১ বিভাগকে প্রস্তুতির নির্দেশ ইসির