‘অনেক দিন পর দারুণ কিছু দেখলাম’, এক দর্শক এমন মন্তব্য করেছেন চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন ২’ দেখে। সিরিজটি দেখেননি এমন একজন সামাজিক মাধ্যমে তাঁর বন্ধুকে মেনশন করে লিখেছেন, ‘এই সিরিজটা মিস করা যাবে না, বাসায় আসলে একসাথে দেখব।’ অর্থাৎ সিরজিটি যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা জানাচ্ছেন ভালো লাগার কথা, আর যাঁরা দেখেননি, তাঁরা প্রকাশ করছেন সিরিজটি দেখার আগ্রহ। এভাবেই বাড়ছে অ্যালেন স্বপন সিরিজের জনপ্রিয়তা।
প্রথম সিজন থেকেই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অ্যালেন স্বপন সিরিজ ও চরিত্র। দুটি সিজনই দেখেছেন এমন দর্শক জানিয়েছেন, ‘সিজন ১ এবং ২– দুইটাই দেখেছি, সেই।’
যেসব কারণে দ্বিতীয় সিরিজটি নিয়ে দর্শকদের ভালো লাগা, তার মধ্যে অন্যতম স্বপন চরিত্রের অভিনেতা নাসির উদ্দিন খানের অভিনয় এবং এর গল্প। এক দর্শক বলছেন, ‘নাসির উদ্দিন খান সত্যি আমাদের অভিনয়জগতে এক অভাবনীয় আবিষ্কার।’

মিথিলাকে নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘মিথিলার অভিনয় খুবই পরিণত।’ নির্মাতা শিহাব শাহীনের প্রশংসা করে তিনি জানিয়েছেন, ‘গল্প, পরিচালনা নিয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না, কতটা ভালো হয়েছে। প্রথম সিজনকে ছাড়িয়ে গেছে। অসাধারণ। ধন্যবাদ শিহাব শাহীন!’
সিরিজটিকে ‘পিওর এন্টারটেইনমেন্ট’ এবং ‘লোকাল কালচারে রুটেড’ বলে উল্লেখ করছেন তাঁরা। ফেসবুক গ্রুপে এক দর্শক লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের কনটেন্ট যে এই দিকেও যেতে পারে, এই সিরিজ তার লাইভ প্রমাণ।’ আরেকজনের মতে, ’মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন ২ একদম টাইম পাস করার মতো সিরিজ না, এটা পুরোপুরি বিনোদনের ডোজ! অ্যালেন স্বপন, সিন্ডিকেট আর নতুন নতুন মোচড়—সব মিলিয়ে দারুণ কিছু হয়েছে।’

আরও পড়ুনঅ্যালেন স্বপন ফিরলেন, রোমাঞ্চ ফিরল কি ০৭ এপ্রিল ২০২৫সিরিজটি নিয়ে দর্শকদের ভালো লাগা, তার মধ্যে অন্যতম স্বপন চরিত্রের অভিনেতা নাসির উদ্দিন খানের অভিনয়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অ য ল ন স বপন স র জট

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ