বদ্দা তো একদম আগের মতোই ফর্মে...
Published: 17th, April 2025 GMT
‘অনেক দিন পর দারুণ কিছু দেখলাম’, এক দর্শক এমন মন্তব্য করেছেন চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন ২’ দেখে। সিরিজটি দেখেননি এমন একজন সামাজিক মাধ্যমে তাঁর বন্ধুকে মেনশন করে লিখেছেন, ‘এই সিরিজটা মিস করা যাবে না, বাসায় আসলে একসাথে দেখব।’ অর্থাৎ সিরজিটি যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা জানাচ্ছেন ভালো লাগার কথা, আর যাঁরা দেখেননি, তাঁরা প্রকাশ করছেন সিরিজটি দেখার আগ্রহ। এভাবেই বাড়ছে অ্যালেন স্বপন সিরিজের জনপ্রিয়তা।
প্রথম সিজন থেকেই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অ্যালেন স্বপন সিরিজ ও চরিত্র। দুটি সিজনই দেখেছেন এমন দর্শক জানিয়েছেন, ‘সিজন ১ এবং ২– দুইটাই দেখেছি, সেই।’
যেসব কারণে দ্বিতীয় সিরিজটি নিয়ে দর্শকদের ভালো লাগা, তার মধ্যে অন্যতম স্বপন চরিত্রের অভিনেতা নাসির উদ্দিন খানের অভিনয় এবং এর গল্প। এক দর্শক বলছেন, ‘নাসির উদ্দিন খান সত্যি আমাদের অভিনয়জগতে এক অভাবনীয় আবিষ্কার।’
মিথিলাকে নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘মিথিলার অভিনয় খুবই পরিণত।’ নির্মাতা শিহাব শাহীনের প্রশংসা করে তিনি জানিয়েছেন, ‘গল্প, পরিচালনা নিয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না, কতটা ভালো হয়েছে। প্রথম সিজনকে ছাড়িয়ে গেছে। অসাধারণ। ধন্যবাদ শিহাব শাহীন!’
সিরিজটিকে ‘পিওর এন্টারটেইনমেন্ট’ এবং ‘লোকাল কালচারে রুটেড’ বলে উল্লেখ করছেন তাঁরা। ফেসবুক গ্রুপে এক দর্শক লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের কনটেন্ট যে এই দিকেও যেতে পারে, এই সিরিজ তার লাইভ প্রমাণ।’ আরেকজনের মতে, ’মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন ২ একদম টাইম পাস করার মতো সিরিজ না, এটা পুরোপুরি বিনোদনের ডোজ! অ্যালেন স্বপন, সিন্ডিকেট আর নতুন নতুন মোচড়—সব মিলিয়ে দারুণ কিছু হয়েছে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অ য ল ন স বপন স র জট
এছাড়াও পড়ুন:
বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম
উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক